সোমবার, ০৫ Jun ২০২৩, ০৫:৫১ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি : মাঠে মাঠে দুলছে কৃষকের সোনালি স্বপ্ন আমন ধান, এবার রোপা আমনের ফলনে বেজায় খুশি কৃষকরা। এতে কৃষকদের চোখেমুখে তাই হাসির ঝিলিক ফুটে উঠেছে। কোথাও কোথাও চলছে কাটা-মাড়াই। বাম্পার ফলনের আশায় উৎসবমুখর পরিবেশ কুষ্টিয়ার চাষিদের ঘরে ঘরে। কৃষকের পাশাপাশি কৃষাণীরাও ব্যস্ত সময় পার করছেন উঠোন ভরা স্বর্ণালী ধানের পরিচর্যায়।
অগ্রাহায়নের ভরা ক্ষেতে সুজলা সুফলা ধানের শীষ দেখে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। যদিও মৌসুমের শেষের দিকে হঠাৎ বৈরী আবহাওয়ায় উঠতি ফসল রোপা আমন ধানের ক্ষতিতে কৃষকরা শঙ্কিত ও দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়েছিল। কিন্তু ধানের ফলন সে দুশ্চিন্তা দূর করে কৃষকের মনে আনন্দের দোলা জাগিয়েছে।
জানা যায়, চলতি মৌসুমে কুষ্টিয়ায় ৮৪ হাজার ৩২৭ হেক্টর জমিতে আমান ধানের চাষ হয়েছে। তাই মাঠ ভরা ক্ষেতের ধান বুক ভরা আশা নিয়ে কাটা-মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। ধানের ফলন নিয়েও যথেষ্ট খুশি।
রিফায়েতপুর এলাকার কৃষক আব্দুল আজিজ জানান, চলতি মৌসুমে সে ৩ বিঘা জমিতে রোপা আমন ধানের চাষ করে ভাল ফলন পেয়েছে। বিঘা প্রতি ধান উৎপাদনে খরচ হয়েছে তার ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা। ফলন হচ্ছে বিঘা প্রতি ১৪ থেকে ১৮ মন পর্যন্ত। খরচ বাদ দিয়ে লাভের মুখ দেখবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
আ. জব্বার নামের এক কৃষক জানান, গত বছরের চেয়ে এ বছর খরচ কিছুটা বাড়লেও উৎপাদন ভালো হয়েছে। মৌসুমের শেষ দিকে বৃষ্টি না হলে উৎপাদন আরো বেশি হতো।
এদিকে আমন ধান চাষে কৃষকদের পরামর্শ ও তদারকি করায় ধানের ফলনে বিপর্যয় হয়নি বলে জানিয়েছেন রিফায়েতপুরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মোতালেব হোসেন।
এক একটি সোনালী ধানের শীষ যেন কৃষকের সোনালী স্বপ্নের জাল। আর স্বপ্নের সে জাল ধান কাটা উৎসবের মধ্য দিয়ে নবান্নের ঘ্রানে পরিণত হচ্ছে। সেই সাথে কৃষকের এ উৎসব ছড়িয়ে পড়েছে সবার মাঝে।