বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৬ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি: শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, নতুন বছরে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের মাঝে ৩৫ কোটি ৪২ লাখ ৯০ হাজার ১৬২টি পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হবে। এসব বই ছাপার কাজও ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
গত বছরের তুলনায় এ বছর ১০ লাখ ৭০ হাজার বই বেশী ছাপানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান ইতোমধ্যে ৯৭ শতাংশ অর্থাৎ ৩৪ কোটিরও বেশী বই বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পৌঁছে গেছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যে বাকি বইও পৌঁছে যাবে।
আজ রাজধানী ডেমরার মাতুয়াইলে ব্রাইট ও আনন্দ প্রিন্টিং প্রেস পরিদর্শন শেষে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৮ সালের জানুয়ারির প্রথমদিন সারাদেশে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যের এসব নতুন বই তুলে দেয়া হবে।
নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, এবার আজিমপুর গর্ভমেন্ট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে ২০১৮ সালের পহেলা জানুয়ারি বিনামূল্যে বই বিতরণের জন্য পাঠ্যপুস্তক উৎসবের আয়োজন করা হবে। সেখানে থেকে সারাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন পাঠ্যবই বিতরণের কার্যক্রম শুরু করা হবে।
এরআগে চলতি মাসের ৩০ তারিখ গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হতে ২০১৮ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যপুস্তক তুলে দেয়া হবে বলে তিনি জানান। পাশাপাশি জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফল প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেয়া হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, আগামী ৩০ ডিসেম্বর সারাদেশে একযোগে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের বইয়ের বোঝা কমানোর জন্য ইতোমধ্যে কাজ শেষ করা হয়েছে। এ বছর নবন-দশম শ্রেণিতে ১২টি সুখপাঠ্য বই দেয়া হবে। সম্পূর্ণ কালারফুল ও উন্নত মানের কাগজে এসব বই ছাপা হয়েছে। সেসব বইয়ের ছবি দেখে ও পড়ে শিক্ষার্থীরা আনন্দ পাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে কিছু সংখ্যক শিক্ষক জড়িত রয়েছেন। তারা টাকার বিনিময়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে দেয়। তিনি বলেন, বিজিপ্রেস থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসক ও থানা নির্বাহী কর্মকর্তা পর্যন্ত কোন প্রশ্নপত্র ফাঁস হয় না। যেদিন পরীক্ষা শুরু হবে, এর কিছুক্ষণ আগে শিক্ষকদের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে থাকে। এ ধরনের শিক্ষকদের নৈতিক মূল্যবোধের অভাব রয়েছে। দেশ ও জাতির স্বার্থে এর থেকে তাদের বেড়িয়ে আসতে হবে।
বিনামূলের পাঠ্যপুস্তক খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে নাহিদ বলেন, এ ধরনের সুনির্দিষ্ট তথ্য আমাদের জানা নেই। তবে অনেক প্রেস এটা করে থাকে বলে শুনেছি। এ ব্যাপারে নীতিমালা হচ্ছে, খসড়া আইনও প্রস্তুত করা হয়েছে। আইনের মাধ্যমেই এ ধরনের অভিযোগের সমাধান করা হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক শাখার অতিরিক্ত সচিব মুফাদ আহমেদ চৌধুরী, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ন চন্দ্র সাহা ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।