ডেস্ক রিপোর্ট : চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানিতে পদদলিত হয়ে ১০ জন মারা গেছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। আহতদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ সোমবার মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানি সম্পন্ন করার জন্য ১২টি কমিউনিটি সেন্টারে ৮০ হাজার মানুষের জন্য মেজবানের আয়োজন করা হয়। এর মধ্যে রিমা কনভেনশন সেন্টারে দুপুর ১টার দিকে এ পদদলিত হওয়ার ঘটনা ঘটে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।
জামালখানের এই ‘রিমা কনভেনশন সেন্টার’-এ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ও অন্য ধর্মালম্বীদের জন্য আলাদা মেজবানের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির নায়েক মোহাম্মদ হামিদ জাগো নিউজকে খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পদদলিত হয়ে ১০ জন মারা গেছেন। নিহতদের মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
সোমবার সকাল থেকেই নির্দিষ্ট পয়েন্টগুলোতে মেজবান খেতে মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সে ভিড় জনস্রোতে রূপ নেয়। বিশৃঙ্গলা এড়াতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হলেও, হুড়োহুড়ি করতে গিয়েই এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানান এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ব্যক্তিগত সহকারী ওসমান গণি।
১৫ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী মারা যান।
১৯৯৪ সাল থেকে টানা তিনবার চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। জনপ্রিয় এই সাবেক মেয়রের বাড়ি চট্টগ্রামের ষোলো শহরে। তার বাসার গলিটি চট্টগ্রামবাসীর কাছে ‘মেয়র গলি’ হিসেবে পরিচিত।
জেলা প্রশাসক যা বললেন
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘মানুষের বিশৃঙ্খলার কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে। তারপরও আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।’
তিনি আরো বলেন, ‘১১টি কমিউনিটি সেন্টারের মধ্যে সংখ্যালঘুদের জন্য ছিল কেবল ২টি কমিউনিটি সেন্টার। মানুষ অনুপাতে সংখ্যালঘুদের জন্য ২টি কমিউনিটি সেন্টার পর্যাপ্ত ছিল না।’
‘রিমা কমিউনিটি সেন্টারের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় সেখানে ভিড় ছিল অন্য কমিউনিটি সেন্টারের চেয়ে বেশি। আবার গরুর মাংস পরিহার করে এমন মুসলিমদের ভিড়ও ছিল সেখানে,’ যোগ করেন জেলা প্রশাসক।
তিনি বলেন, ‘রাস্তার পাশে লাগানো হওয়ায় এই কমিউনিটি সেন্টারের সামনে সবসময় ভয়াবহ যানজট লেগে থাকে। যে কারণে প্রবেশ এবং বাহির হতে নানা বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। মূলত খাবার ফুরিয়ে যাবার আশঙ্কার হুড়োহুড়ির কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটে।’
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং মহিউদ্দিন চৌধুরীর পরিবারের ঘনিষ্টজন খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ‘এটি একটি অনাকাঙ্খিত মর্মান্তিক ঘটনা। কুলখানিতে আসা মানুষের বিশৃঙ্খলার কারণে মূলত এ ঘটনা ঘটেছে। তারপরও আমরা সব কিছু খতিয়ে দেখছি। এ ক্ষেত্রে কারো কোন অবহেলা ছিল কিনা তাও দেখা হচ্ছে। নিহতদের পরিবারকে আমরা নানাভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করে যাবো। আহতদের চিকিৎসার ক্ষেত্রেও আমাদের সহযোগিতা থাকবে।
https://web.facebook.com/biplob.chy.37/videos/1430919983700197/
সম্পাদক ও প্রকাশক : এ্যাডভোকেট পি. এম. সিরাজুল ইসলাম ( সিরাজ প্রামাণিক)
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় :কুষ্টিয়া আদালত চত্ত্বর, খুলনা, বাংলাদেশ।
মোবাইল : 01716-856728, ই- মেইল : seraj.pramanik@gmail.com নিউজ: dainikinternational@gmail.com