মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:১৭ পূর্বাহ্ন

ঘোষনা :
  সম্পূর্ণ আইন বিষয়ক  দেশের প্রথম দৈনিক পত্রিকা   দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল এর  পক্ষ থেকে সবাইকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা   । 
সংবাদ শিরোনাম :
শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র নিয়ে রাষ্ট্রপতির মিথ্যাচার বনাম সাংবিধানিক সমাধান! সহায় সম্পত্তি পুণ্যের কাজে ওয়াক্ফ গঠন ও প্রাসঙ্গিকতা! শেকড়ের সন্ধানে সাঁইজির ধামেঃ লালন কি জাত সংসারে— রক্তাক্ত মাহমুদুর রহমানের কুষ্টিয়ায় আগমন বনাম দুধের মাছিদের আনাগোনা! জনপ্রশাসন, জেলা প্রশাসক ও স্যার সম্বোধন কতটা সংবিধান ও আইনসম্মত! ক্রেতা ঠকে গেলে বিক্রেতার বিরুদ্ধে যত আইনগত প্রতিকার! আইনে জামিন চর্চা বনাম বিচারকের পদত্যাগের দাবীতে আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ! নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের থেকেই ভিসি নিয়োগের অনুরোধ ইবি শিক্ষকদের সংবিধান সংস্কারঃ সংশোধন না-কি পুনর্লিখন?  সেনাবাহিনীর বিচারিক ক্ষমতাঃ আইন কি বলে?
কুষ্টিয়া হাউজিং নিশান মোড়ের এ ভাস্কর্যের কৌতুহুল!

কুষ্টিয়া হাউজিং নিশান মোড়ের এ ভাস্কর্যের কৌতুহুল!

 

গগন হরকরা বাংলা লোকঙ্গীতশিল্পী এবং সঙ্গীত রচয়িতা। বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত আমার সোনার বাংলা-এর সুর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সংগ্রহ করেছিলেন গগন হরকরার রচিত একটি গানের সুর হতে। গগন হরকরা ছিলেন বিশিষ্ট বাউল গীতিকার। জন্ম অধুনা বাংলাদেশের শিলাইদহের নিকটস্থ আড়পাড়া গ্রামে। পেশা ছিল শিলাইদহ ডাকঘরে চিঠি বিলি করা। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তার বিশেষ অন্তরঙ্গতা ছিল এবং প্রায়ই দুজনে রসালাপ ও সঙ্গীত চর্চা করতেন। রবীন্দ্রনাথ তাঁর গুণমুগ্ধ ছিলেন রবীন্দ্রনাথের যে তোমায় ছাড়ে ছাড়ুক ও আমার সোনার বাংলা গানদুটি, গগন হরকরার যথাক্রমে ও মন অসাড় মায়ায় ভুলে রবে ও আমি কোথায় পাব তারে গানদুটির সুর ভেঙে রচিত হয়।

নাম তার গগন চন্দ্র দাস। বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামে। এক কায়স্থ পরিবারে জন্ম আনুমানিক ১৮৪৫ খ্রি. মৃত্যু ১৯১০ সাল।

উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ের কথা। তার বাবা-মা সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা যায় না। তবে কিরণ চন্দ্র দাস নামে গগনের এক ছেলের নাম জানা যায়। দুই যুগ আগেও গগনের ভিটার অস্তিত্ব ও ফলের বাগানের সাদৃশ্য ছিল। লোকমুখে জানতে পারা যায় যে, গগন হরকরা’র একটি বড় ফলের বাগান ছিল।

উল্লেখ্য যে, গগনের বাস্তুভিটায় আসামদ্দি নামক একজন কৃষক বাড়ি করে থাকতেন এবং সেই বাড়িটি আজও ‘দাসের ভিটা’ নামে পরিচিত সে সময় দাসেরা ম-ল নামেও পরিচিত ছিল। শিলাইদহের শচীন্দ্রনাথ অধিকারী লিখেছেন গগন সামান্য শিক্ষা-দীক্ষায় পারদর্শী ছিলেন এবং তার ফলশ্রুতিতেই তৎকালীন শিলাইদহের ডাক ঘরের ডাক হরকরা’র চাকুরি পেয়েছিলেন।

গাঁয়ে গাঁয়ে চিঠি বিলি করতেন আর করতেন গান। তিনি শিলাইদহে ‘সখীসংবাদের’ গানে এমন করুণ আখর লাগিয়ে গাইতেন যে, স্রোতারা মুগ্ধ হয়ে সে গান শুনতেন। গগন সম্পর্কে পতি ক্ষিতিমোহন সেন শাস্ত্রি বলেছেন ‘লালন-এর শিষ্য ধারার একজন ছিলেন রবীন্দ্রনাথের শিলাইদহের ডাক হরকরা, যাঁর নাম গগন। রবীন্দ্রনাথ গগনকে সবার মাঝে বিভিন্ন ভাবে পরিচিত ও বিখ্যাত করে যথাসাধ্য মূল্যায়ন করেছেন।’

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৮৯ থেকে ১৯০১ সাল বাংলাদেশের শিলাইদহ ও শাহজাদপুরে জমিদারি দেখাশোনা করতে নিয়মিত যেতেন। তখন শিলাইদহে তাঁর সঙ্গে গগনের পরিচয় হয়েছিল। গগন তাকে গান গেয়ে শোনাতেন। শিলাইদহে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে গগন হরকরা, গোসাঁই গোপাল, সর্বক্ষেপী বোষ্টমী, গোসাঁই রামলাল এবং লালনের অজস্র শিষ্যের পরিচয় ঘটে।বর্তমানে তার ভাষ্কর্য কুষ্টিয়া নিশান মোড়ে সংরক্ষিত আছে।

এই সংবাদ টি সবার সাথে শেয়ার করুন




দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।  © All rights reserved © 2018 dainikinternational.com
Design & Developed BY Anamul Rasel