শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০৩ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি : মো. আবদুল হামিদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন। প্রার্থীর সংখ্যা একজনের বেশি না হওয়ায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) খাঁন মো. নূরুল হুদা তাঁকে নির্বাচিত ঘোষণা করেন।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে রাষ্ট্রপতির মনোনয়ন যাচাই-বাছাই শেষে মিডিয়া সেন্টারে আজ এক সংবাদ সম্মেলনে সিইসি এ ঘোষণা দেন।
কমিশনের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা থেকে জানা গেছে, মো. আবদুল হামিদ প্রথমবার ২০১৩ সালের ২২ এপ্রিল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ২৪ এপ্রিল তিনি রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে রাষ্ট্রপতির পদশূন্য হওয়ার ক্ষেত্রে মেয়াদপূর্তির তারিখের আগের ৯০-৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হয়। ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এ নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
গত শুক্রবার আবদুল হামিদের পক্ষে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন এবং রোববার রাষ্ট্রপতি ওই মনোনয়নপত্রে সই করেন। এরপর সোমবার আবদুল হামিদের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
সংসদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় রাষ্ট্রপ্রধানের পদে মো. আবদুল হামিদের দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি যেকোনো দিন শপথ নিতে পারেন। তবে সম্ভবত ২৩ এপ্রিল মো. আবদুল হামিদ শপথ নিতে পারেন। আজই তাঁকে নির্বাচিত ঘোষণার গেজেট প্রকাশ করা হবে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চার নির্বাচন কমিশনার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বঙ্গভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। গত ২৫ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন সিইসি। ৫ ফেব্রুয়ারি মনোনয়ন দাখিলের দিন একমাত্র আবদুল হামিদের মনোনয়নপত্র জমা পড়ে। ফলে তফসিলে ১৮ ফেব্রুয়ারি ভোটের তারিখ রাখা হলেও তার প্রয়োজন আর হচ্ছে না।
স্বাধীনতার পর ১৯ মেয়াদে এখন পর্যন্ত ১৬ জন রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। সেই হিসেবে আবদুল হামিদ এ পদে সপ্তদশ ব্যক্তি।