রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০৪ অপরাহ্ন
সিরাজ প্রামাণিকঃ জসিম উদ্দিন, পড়ালেখা করেছেন দুই ক্লাস পর্যন্ত। শৈশব কালে বাবার নিরুদ্দেশের কারনে পড়ালেখা এগুতে পারেননি তিনি। কিন্তু সেই ছোট বেলা থেকে বইয়ের প্রতি দুর্বলতা রয়েই গেছে। আর তাইতো নিজের ঘরের আঙিনায় গড়ে তুলেছেন ছোট্ট একটি সংগ্রহশালা। যার নাম করণ করা হয়েছে পাইকপাড়া-মির্জাপুর কমিউনিটি লাইব্রেরী। গল্প উপন্যাসসহ প্রায় ৬ শতাধিক বই রয়েছে এই লাইব্রেরীতে। জসীম উদ্দিনের বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলা শহর থেকে ঢিল ছোঁড়া গ্রাম পাইকপাড়া-মির্জাপুর। ওর পেশা কাঠমিস্ত্রি। কাজের ফাঁকে যখনই সময় পান তখনই হাতে তুলেন পত্রিকা কিংবা গল্প বা উপন্যাস।
বইয়ের প্রতি নিজের আগ্রহের পাশাপাশি জ্ঞানের বিস্তার ঘটাতে উদ্যোগী হন তিনি। কাঠমিস্ত্রির কাজ করে যা আয় হয় তার একটি অংশ তিনি বইপ্রেমীদের জন্য বরাদ্দ রাখেন।
২০১৬ সালের দিকে নিজ বাড়ির আঙিনায় গড়ে তোলেন ছোট্ট একটি লাইব্রেরী। মেঝে কাঁচা, চার চালা টিনশেড’র এই ঘর এখন তাঁর আদর্শ। ঘরের ভেতর ছোট্ট র্যাক, তাতে থরে থরে সাঁজানো বিভিন্ন গল্প, উপন্যাস আর কবিতার বই। রয়েছে বাংলাদেশের ইতিহাসসহ হরেক রকমের বই।
শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অবসর সময়ে এই লাইব্রেরীতে ছুটে আসেন বয়স্ক মানুষও। জসিম উদ্দিনের ছোট্ট এই লাইব্রেরী এখন পরিণত হয়েছে পরিপুর্ন জ্ঞান পিপাসুদের আড্ডাখানায়।
নিজে পড়েলেখা করতে পারেননি, তবে তাতে তার একটুও আপসোস নেই। কারন এলাকার মানুষের মধ্যে শিক্ষার আলো ফোটাতে পারলেই নিজেকে ধন্য মনে করবেন বলে জানান জসীম। আর তাঁর এই মহৎ উদ্যোগের সারথি হয়েছেন তার সহধর্মীনী পপি খাতুনও। লাইব্রেরীটি এখন বড় পরিসরে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেন জসীম উদ্দিন। তিনি লাইব্রেরীতে হরেক রকমের বই প্রদানে দেশের বিত্তবানদের প্রতি উদাত্ত আহবান জানিয়েছেন। ০১৭১৬৮৫৬৭২৮