শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৪ পূর্বাহ্ন
ষ্টাফ রিপোর্টারঃ আইন বিভাগের প্রগতিশীল খন্ডকালীন শিক্ষক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান এবং মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল এক ব্যক্তি নয়। অতচ ঐ ব্যাক্তিতে স্বার্থান্বেষী মহল ছাত্রদলের সহ-প্রচার সম্পাদক হিসেবে আক্ষয়িত করে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে । সম্প্রতি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ওমর ফারুক ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম রাশেদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানিয়েছেন যে, গোপালগঞ্জ বশেমুরবিপ্রবি’তে আইন বিভাগের প্রগতিশীল খন্ডকালীন শিক্ষক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে এক শ্রেনীর স্বার্থান্বেষী মহল ছাত্রদলের সহ-প্রচার সম্পাদক হিসেবে প্রকাশ ও প্রচার করে বিভিন্ন অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ করে ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করতে চেষ্টা করছে। আসলে ঐ নামে ছাত্রদলের সহ-প্রচার সম্পাদক নেই ।
ভবিষ্যতে এ ধরণের সংবাদ প্রচারের আগে দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গের কাছ থেকে খোজ-খবর নিয়ে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করতে অনুরোধ জানিয়েছেন।
সেই সাথে এ ধরণের প্রকাশিত সংবাদের প্রতি তীব্র ঘৃণা ও নিন্দা জানিয়েছেন। পাশাপশি ছাত্রদলের ভুয়া কমিটি তৈরী করে কেউ এ ধরণের প্রচার-প্রচারণা চালালে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ইবি শাখা কোন দায়-দায়িত্ব নেবে না।
অন্যদিকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রঙ্গাপন নং শিম/শা:১১/৫-১(অংশ)/৫৮২ অনুসারে তার এসএসসি রেজাল্ট দ্বিতীয় বিভাগ এবং যা বিশ্ববিদ্যালয় প্রঙ্গাপন অনুসারে তার যোগ্যতা থাকলেও তার যোগ্যতা নাই প্রচার করা ঐ প্রতিবেদনে।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ নাসির উদ্দিনের সাফল্যকে বাঁধাগ্রস্থ করতে একটি কুচক্রী মহল উঠে পড়ে লেগেছে। সম্প্রতি আইন বিভাগের শিক্ষক সংকট, বিভাগের স্থবিরতা, শিক্ষার্থীদের অসন্তুষ্টি নিরসনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যোগ্যতার মাপকাঠিতে একজন মেধাবী ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন।
তিনি যোগদানের পরেই একটি কুচক্রী মহল তাঁকে বিএনপিপন্থী আখ্যা দিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। অথচ এ মেধাবী শিক্ষক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ছাত্রজীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি একধারে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, আওয়ামী পরিবারের সদস্য ও কর্মজীবনেও তিনি বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ ঢাকা বার শাখার একজন নিবেদিত কর্মী ছিলেন।
ঝিনাইদহ-১ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য আব্দুল হাই জানান, মোস্তাফিজুর রহমান আমার নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দা এবং তিনি আওয়ামী পরিবারের সন্তান ও ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
ঝিনাইদহ জেলার ত্রিবেনী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সেকেন্দার আলী মোল্লা জানান, মোস্তাফিজুর রহমান এর পিতা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মোস্তাফিজুর রহমান বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক।
বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ ঢাকা বার শাখার সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আয়ুবুর রহমান জানান, মোস্তাফিজুর রহমান ঢাকা বারে আইনজীবী হিসেবে কর্ম জীবন পরিচালনাকালে তিনি বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ এর একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। অথচ তাঁকে ছাত্রদলের কর্মী আখ্যা দিয়ে ভিসি মহোদয়কে চাপে ফেলে এক শ্রেণীর স্বার্থান্বেষী মহল ফায়দা লুটতে চেষ্টা অব্যহত রেখেছে।
এ বিষয়ে মোস্তাফিজুর রহমান জানান, একটি কুচক্রী মহল আমাকে নিয়ে যে ষড়যন্ত্র করছে, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করে যে সুবিধা নিতে চাচ্ছে, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে তার জোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।