শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৭ অপরাহ্ন

ঘোষনা :
  সম্পূর্ণ আইন বিষয়ক  দেশের প্রথম দৈনিক পত্রিকা   দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল এর  পক্ষ থেকে সবাইকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা   । 
সংবাদ শিরোনাম :
ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাবে যা করণীয় জমি আপনার, দখল অন্যের! কী করবেন? রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ইস্যুতে সংবিধান, আইনী নৈরাজ্য ও অতীত ইতিহাস! শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র নিয়ে রাষ্ট্রপতির মিথ্যাচার বনাম সাংবিধানিক সমাধান! সহায় সম্পত্তি পুণ্যের কাজে ওয়াক্ফ গঠন ও প্রাসঙ্গিকতা! শেকড়ের সন্ধানে সাঁইজির ধামেঃ লালন কি জাত সংসারে— রক্তাক্ত মাহমুদুর রহমানের কুষ্টিয়ায় আগমন বনাম দুধের মাছিদের আনাগোনা! জনপ্রশাসন, জেলা প্রশাসক ও স্যার সম্বোধন কতটা সংবিধান ও আইনসম্মত! ক্রেতা ঠকে গেলে বিক্রেতার বিরুদ্ধে যত আইনগত প্রতিকার! আইনে জামিন চর্চা বনাম বিচারকের পদত্যাগের দাবীতে আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ!
পুলিশ আপনার গাড়ি আটক করলে কি করবেন?

পুলিশ আপনার গাড়ি আটক করলে কি করবেন?

 

এ্যাডভোকেট সিরাজ প্রামাণিক:

মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩ মোটরযানের মালিক, চালক, কন্ডাক্টরের যাবতীয় অত্যাবশ্যকীয় কাগজপত্র সংগ্রহকরণসহ বিভিন্ন দায়িত্ব কর্তব্যের নিয়মনীতি আছে। যা পূর্ণভাবে রক্ষা করে চললে অবশ্যই অনাকাঙ্খিত দূর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব। আইন থাকা সত্বেও প্রতিনিয়ত আইন ভেঙে গাড়ি চলছে। পুলিশ আটক করছে গাড়ি। আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে নিমিষেই অপরাধ ও অপরাধী দোষ মুক্ত হয়ে অপরাধের পূূনরাবৃত্তি ঘটাচ্ছে।

পুলিশ বিভিন্ন কারণে আপনার গাড়ি আটক করতে পারে, যেমন, লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালালে, নিষিদ্ধ হর্ণ ব্যবহার করলে, নির্ধারিত গতির চেয়ে দ্রুতগতিতে গাড়ি চালালে, বিপজ্জনকভাবে গাড়ি চালালে, সঠিক জায়গায় গাড়ি পার্ক না করলে, গাড়ি চলতে গিয়ে পুলিশের নির্দেশনা না মানা, গাড়ির ফিটনেস সংক্রান্ত কাগজপত্র নবায়ন না করা, ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন না করা, গাড়ির ধোঁয়া বের হওয়া, অবীমাকৃত মোটর গাড়ি চালনা ইত্যাদি।

গাড়ি আটক করার সময় পুলিশ একটি বা দু’টি কাগজ জব্দ করবে এবং আপনাকে একটি রশিদ দেবে। ঢাকা মহানগর ট্রাফিক পুলিশের চারটি জোন রয়েছে যথা- উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব এবং পশ্চিম। পুলিশের দেয়া রশিদের পেছনেই লেখা থাকবে কোন জোনের ট্রাফিক পুলিশ আপনার গাড়িটি আটক করলো। আপনাকে সেই জোনের অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করতে হবে। রশিদের পেছনে জোন ভিত্তিক উপস্থিতির সময়ও লেখা থাকে। কাজেই সে অনুয়ায়ী গেলে আপনার সময় বাঁচবে। তবে অন্তত চার-পাঁচদিন পরে যাওয়াই ভালো, কারণ কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট অফিসে পৌঁছাতে সাধারণত তিন-চারদিন সময় লাগে।

কোথায়, কি অপরাধে জরিমানা করা হল, কে জরিমানা করলেন, কত তারিখের মধ্যে হাজির হতে হবে সব কিছুই লিখে দেয়া হয় রশিদটিতে। সংশ্লিষ্ট জোনের ডেপুটি কমিশনার জরিমানা নির্ধারণের মাধ্যমে বিষয়টির নিষ্পত্তি করে থাকেন। এসব ক্ষেত্রে আপনি আপনার অনুকূলে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরতে পারেন। ডেপুটি কমিশনার পূর্ণ জরিমানার চার ভাগের এক ভাগ পর্যন্ত জরিমানা নির্ধারন করতে পারেন, এমনকি জরিমানা মওকুফও করে দিতে পারেন। তবে আপনার ড্রাইভারকে রশিদসহ পাঠিয়ে জরিমানা দিয়ে আসাটাই ভাল। জরিমানা দেবার জন্য ডেপুটি পুলিশ কমিশনার অফিস থেকে আরেকটি রশিদ দেয়া হবে আপনাকে।

তবে জরিমানা না দিলে বা যথাসময়ে হাজির না হলে অপরাধের ধরন, ঘটনাস্থল ইত্যাদির প্রতিবেদন সহকারে মামলাটি আদালতে প্রেরণ করা হবে ওয়ারেন্ট ইস্যু করার জন্য। এসব ক্ষেত্রে জরিমানা নির্ধারনের পর আপনি যদি মনে করেন আপনার ওপর অন্যায় করা হয়েছে তবে আদালতেও যেতে পারেন। সামান্য জরিমানার জন্য আদালতে গিয়ে আর্থিক বিচারে আপনার কোন ফায়দা হবে না, তবে রায় আপনার অনুকূলে গেলে সেটি আপনার জন্য একটি নৈতিক বিজয় হবে। বলাহুল্য এত ঝামেলা করে কেউ সাধারণত জরিমানা চ্যালেঞ্জ করতে আদালতে যায় না।

পুলিশ যদি কোন কারণে গাড়ি আটক করে থানায় নিয়ে যায় এবং মামলা হয় তাহলে গাড়িটি নিজের জিম্মায় নিতে আপনি আবেদন করতে পারবেন। প্রথমে থানা থেকে মামলার এজাহারের ফটোকপি তুলুন। সেই সঙ্গে গাড়ির নিবন্ধনের ফটোকপি কিংবা গাড়ির মালিকানা সংক্রান্ত কাগজপত্র নিয়ে একজন আইনজীবীর শরণাপন্ন হন। আইনজীবী মহোদয় আপনার আটককৃত গাড়িটি আপনার জিম্মায় নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আবেদন করবেন। শুনানীর প্রথম দিনে ম্যাজিষ্ট্রেট মহোদয় সাধারণত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে (আইও) বিআরটিএ (বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি) থেকে গাড়ির মালিকানা নিরূপণ করে কোনো অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা আছে কি-না, তা যাচাই করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য আদেশ দেবেন।

আদালতের আদেশ সাধারণত পরবর্তী কার্যদিবসে সংশ্লিষ্ট থানায় পৌঁছে যায়। জি. আর ও অফিসে যোগাযোগ করুণ। বিচারক মহোদয়ের আদেশ থানায় গেছে-কি-না, যেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন অতি সত্বর থানা থেকে আদালতে প্রেরণ করেন। প্রতিবেদন থানা থেকে আদালতে পাঠানো হলে আইনজীবী নথি পর্যবেক্ষণ করে দেখবেন যে তা নথির সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে কি-না। এরপর আইনজীবী একটি দরখাস্তের মাধ্যমে আদালতকে অবহিত করবেন যে বিআরটিএ থেকে গাড়ির মালিকানা নিরূপণ করা হয়েছে। শুনানির সময় আদালতের সামনে গাড়ির মালিককে উপস্থিত থাকতে হবে। আদালত বিআরটিএ প্রতিবেদন, তদন্তকারী কর্মকর্তার প্রতিবেদন ও আইনজীবীর শুনানিতে সন্তুষ্ট হলে থানা কর্তৃপক্ষকে আদেশ দেবেন আটক গাড়িটি জিম্মায় দেওয়ার জন্য। পরবর্তী সময়ে তদন্তকারী কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করে গাড়ি নিজের জিম্মায় নিতে পারবেন এই শর্তে যে পরবর্তী সময়ে মামলার তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজন হলে তিনি তা থানায় হাজির করবেন। এভাবে গাড়িটি জিম্মায় নিতে প্রায় এক থেকে ছয় মাস সময় লাগতে পারে।

অপরাধ ও শাস্তি

ধারা-১৩৮। লাইসেন্স ব্যতীত গাড়ি চালনা। কোন ব্যক্তি মোটরযান অধ্যাদেশের ৩ ধারা (১) উপধারা লংঘন করে কোন মোটরযান চালালে ১৩৮ ধারা মোতাবেক সর্বোচ্চ চার মাসের কারাদ- অথবা পাঁচশত টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয়বিধ শাস্তি পেতে হবে।

ধারা-১৩৯। নিষিদ্ধ হর্ণ কিংবা শব্দ উৎপাদনকারী যন্ত্র লাগানো ও ব্যবহার। যদি কোন ব্যক্তি মোটরযানে এমন ধরণের হর্ণ বা শব্দ উৎপাদনকারী যন্ত্র সংযোজন বা ব্যবহার করে যা সংশ্লিষ্ট এলাকায় যথাযোগ্য কর্তৃপক্ষ এই আইন অথবা তদধীনে প্রণীত কোন বিধি বা প্রবিধান মোতাবেক নিষিদ্ধ করেছেন তাহলে ১৩৯ ধারা মোতাবেক সর্বোচ্চ একশত টাকা পর্যন্ত জরিমানা হবে।

ধারা : ১৪১। লাইসেন্স সংক্রান্ত অপরাধসমূহঃ (১) এই অধ্যাদেশ অনুসারে ড্রাইভিং লাইসেন্স ধারণ করিবার ও পাওয়ার অযোগ্য কোন ব্যক্তি প্রকাশ্য স্থানে কোন মোটরযান চালাইলে কিংবা ড্রাইভিং লাইসেন্স যোগাড় বা উহার জন্য আবেদন করিলে এনডোর্সমেন্ট ব্যতীত সে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার অযোগ্য হওয়ার পর তাহার পূর্ববর্তী ড্রাইভিং লাইসেন্সের এনডোর্সমেন্টের কথা প্রকাশ না করিয়া পুনরায় ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ করিলে সর্বোচ্চ তিন মাসের কারাদ- অথবা পাঁচশত টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয়বিধ শাস্তি হইবে।

(২) এই আইন অনুসারে কন্ডাক্টরস লাইসেন্স ধারণ করিবার ও পাওয়ার অযোগ্য কোন ব্যক্তি প্রকাশ স্থানে ‘স্টেজ-ক্যারেজ’ করিলে সর্বোচ্চ এক মাসের কারাদ- কিংবা দুইশত টাকা পর্যন্ত জরিমানা কিংবা উভয়বিধ শাস্তি পাইতে হইবে।

(৩) যেকোন সময় মোটরযান চালনাকালে এই আইন অনুযায়ী কর্মরত যেকোন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক চাহিবামাত্র বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদর্শন করিতে ব্যর্থ হইলে দ-স্বরূপ পঞ্চাশ টাকা জরিমানা করা হইবে।

 

ধারা : ১৪২। নির্ধারিত গতির চেয়ে দ্রুতগতিতে গাড়ি চালাইলেঃ তিনি প্রথমবার অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ এক মাস কারাদ- কিংবা সর্বাধিক তিনশত টাকা অর্থদ- অথবা উভয়বিধ দ-ে দ-নীয় হইবেন এবং তৎপরবর্তী অনুরূপ অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ তিন মাস কারাদ- কিংবা সর্বাধিক পাঁচ হাজার টাকা অর্থদ- অথবা উভয়বিধ দ-ে দ-নীয় হইবেন এবং তাহার ড্রাইভিং লাইসেন্স অনধিক এক মাস মেয়াদের জন্য সাসপে- করা হইবে।

ধারা : ১৪৩। বেপরোয়াভাবে কিংবা বিপজ্জনকভাবে গাড়ি চালনাঃ প্রথমবার এই অপরাধ করিলে সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদ- কিংবা পাঁচশত টাকা জরিমানা হইবে এবং তাহার ড্রাইভিং লাইসেন্স একটা নির্ধারিত মেয়াদের জন্য সাসপেন্ড থাকিবে।

 

ধারা : ১৪৪। মদ্যপান কিংবা মাদকদ্রব্য সেবনের পর মাতাল অবস্থায় গাড়ি চালানোঃ তিনি গাড়ির উপর যথাযথ নিয়ন্ত্রণ কার্যকর করিতে অক্ষম, এমতাবস্থায় যদি তিনি গাড়ি চালান কিংবা চালানোর চেষ্টা করেন, তবে অনুরূপ অপরাধ প্রথমবার সংঘটনের জন্য সর্বোচ্চ তিন মাস কারাদ- কিংবা সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা জরিমানা কিংবা উভয়বিধ শাস্তি হইবে।

ধারা : ১৪৫। শারীরিক কিংবা দৈহিকভাবে অনুপযুক্ত অবস্থায় গাড়ি চালনাঃ প্রথমবার অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ পাঁচ শত টাকা জরিমানা হইবে এবং তাহার ড্রাইভিং লাইসেন্স নিদিষ্ট মেয়াদে বাতিল করা হইবে।

 

ধারা : ১৪৭। কতিপয় অপরাধ করিতে সহায়তার জন্য শাস্তিঃ কোন ব্যক্তি ১৪৩ কিংবা ১৪৫ ধারা অনুযায়ী কোন একটি অপরাধ সংঘটনের সহায়তা করিলে তিনি সেই অপরাধের জন্য নির্ধারিত শাস্তি পাওয়ার যোগ্য হইবেন।

ধারা : ১৪৮। মোটরগাড়ির দৌড়বাজি কিংবা গতি পরীক্ষাঃ সর্বোচ্চ এক মাস কারাদ- অথবা পাঁচশত টাকা জরিমানা কিংবা উভয়বিধ শাস্তি পাইবার যোগ্য হইবেন এবং তাহার ড্রাইভিং লাইসেন্স সর্বোচ্চ এক বৎসরের জন্য সাসপেন্ড করা যাইতে পারে।

 

ধারা : ১৪৯। নিরাপত্তাবিহীন অবস্থায় গাড়ি ব্যবহারঃ সর্বোচ্চ এক মাস কারাদ- কিংবা সর্বাধিক দুইশত পঞ্চাশ টাকা অর্থদ- বা উভয়বিধ দ-ে দ-ণীয় হইবেন। সর্বোচ্চ তিন মাস কারাদ- কিংবা সর্বাধিক এক হাজার টাকা অর্থদ- অথবা উভয়বিধ দ- হইবে।

 

ধারা : ১৫০। ধোঁয়া বাহির হওয়া মোটরযান ব্যবহারঃ এমনভাবে ধোঁয়া বাহির হয় যাহার ফলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হইতে পারে, অনুরূপ মোটরগাড়ি কেহ প্রকাশ্য স্থানে চালাইলে, সর্বোচ্চ দুইশত টাকা জরিমানা হইবে।

ধারা : ১৫১। এই অধ্যাদেশের সাথে সঙ্গতিবিহীন অবস্থায় গাড়ি বিক্রয় অথবা গাড়ির পরিবর্তন সাধনঃ সর্বোচ্চ দুই বৎসর মেয়াদী কারাদ- কিংবা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয়বিধ দ- দেওয়া হইতে পারে।

 

ধারা : ১৫২। রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস সার্টিফিকেট অথবা পারমিট ব্যতীত মটরগাড়ি ব্যবহারঃ কোন ব্যাক্তি ৩২, ৪৭, ৫১ (১) উপধারা অনুযায়ী পারমিট ব্যতীত মোটরগাড়ি চালাইলে। প্রথমবারের অপরাধের জন্য সর্বাধিক তিন মাস কারাদ- অথবা সর্বোচ্চ দুই হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা কিংবা উভয়বিধ দ-ে দ-িত হইবে।

ধারা : ১৫৪। অননুমোদিত ওজন অতিক্রমপূর্বক গাড়ি চালনাঃ কোন ব্যক্তি ৮৬ অথবা ৮৮ ধারার অধীনে আরোপিত কোন নিষেধাজ্ঞা লংঘন করে গাড়ি চালাইলে সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা জরিমানা।

ধারা : ১৫৫। অবীমাকৃত মোটরযান চালনাঃ কোন ব্যক্তি ১০৯ ধারার বিধান লংঘন করিয়া কোন মোটরযান চালাইলে কিংবা চালানোর অনুমতি দিলে সর্বোচ্চ দুই হাজার টাকা জরিমানা শাস্তি পাইবার যোগ্য হইবেন।

ধারা : ১৫৬। অনুমতি ব্যতীত গাড়ি চালনাঃ কোন ব্যক্তি কোন মোটরযানের কিংবা অন্য কোন আইনানুগ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত সংশ্লিষ্ট মোটরগাড়ি চালাইয়া বাহিরে লইয়া গেলে সর্বোচ্চ তিন মাস কারাদ- অথবা সর্বাধিক দুই হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয়বিধ শাস্তি পাইবার যোগ্য হইবেন।

 

ধারা : ১৫৭। প্রকাশ্য সড়কে অথবা প্রকাশ্য স্থানে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিঃ সর্বোচ্চ পাঁচশাত টাকা জরিমানা হইবে এবং অনুরূপ মোটরযান কিংবা খুচরা যন্ত্র বা জিনিসপত্র বাজেয়াফত করা হইতে পারে।

 

ধারা : ১৬০। ওয়ারেন্ট ব্যতীত গ্রেফতারের ক্ষমতাঃ এক ইউনিফরমধারী পুলিশ অফিসারের সামনে কেহ ৩২, ৫১, ১৪৩, ১৪৪, ১৪৫, ১৪৬, ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯, ১৫৪ কিংবা ১৫৬ ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য কোন অপরাধ করিলে তিনি উক্ত অপরাধীকে ওয়ারেন্ট ব্যতীতই গ্রেফতার করিতে পারেন।

লেখক : বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী, আইনগ্রন্থ প্রণেতা ও সম্পাদক-প্রকাশক ‘দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল’। Email:seraj.pramanik@gmail.com মোবাইল: ০১৭১৬-৮৫৬৭২৮

এই সংবাদ টি সবার সাথে শেয়ার করুন




দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।  © All rights reserved © 2018 dainikinternational.com
Design & Developed BY Anamul Rasel