শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২৭ অপরাহ্ন
ষ্টাফ রিপোর্টারঃ ঈদের পরের দিন বিকেলে কুমারখালি উপজেলার ডাঁসা গ্রামে স্কুল মাঠে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে রাজাপুর এবং ডাঁসা গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ৬ জন আহত হন। আহতরা হলেন- জালাল উদ্দিন(৫২), মঈনুদ্দিন মধু শেখ(৪০), শরিফুল ইসলাম (৩৫), ইয়ারুদ্দিন (৫৫),রিপন( ৩০), রফি(৪০)। জালাল উদ্দিনকে গুরুতর আহত অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঈদের পরের দিন বিকেলে ডাঁশা স্কুল মাঠে একটি প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়। খেলায় রেফারির দায়িত্ব পালন করছিলেন রাজাপুর গ্রামের কাঞ্চন। খেলার নির্ধারিত সময় দুই-দুই গোলে ড্র ছিল। খেলা শেষ হওয়ার পরও জেতার জন্য রাজাপুরের রেফারি অতিরিক্ত ১৫ মিনিট খেলাতে থাকে। এতে ডাঁসা গ্রামের ব্যবসায়ী খুরশিদুল আলম মামুন প্রতিবাদ করেন। এসময় তার সঙ্গে রাজাপুরের কয়েকজনের কথা কাটাকাটি হয়। পরবর্তীতে রাজাপুরের লোকজন পরিকল্পিতভাবে হাসুয়া,লাঠি, হকস্টিক এবং দেশিয় অস্ত্র নিয়ে ডাঁসা গ্রামের লোকজনের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। সংঘর্ষে ডাঁসা গ্রামেরই ৬ জন আহত হন । ঘটানা স্থলে রাখা খুরশিদুল আলম মামুনের একটি নতুন টয়োটা হেরিয়ার জিপ ঢাকা মেট্রো-ঘ,১৮-০৩৯৫ ভাংচুর করে রাজাপুর গ্রামের লোকজন। গাড়িটির মুল্য প্রায় ৮০ লাখ টাকা। পরদিন খুরশিদুল আলম মামুন বাদি হয়ে কুমারখালী থানায় একটি হত্যা চেষ্টা ও গাড়ি ভাংচুরের মামলা করেন। ২৫-৮-২০১৮ তারিখ, মামলা নম্বর-১৪। মোঃ আরজুকে এক নম্বর আসামী এবং রানা ও ফিরোজসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা করে আরো কয়েকজনকে আসামী করা হয়। ঘটনার পর থেকে পার্শবর্তী ওই দুই গ্রামে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আসামীরা সবাই পলাতক আছেন।