সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:২৫ পূর্বাহ্ন

ঘোষনা :
  সম্পূর্ণ আইন বিষয়ক  দেশের প্রথম দৈনিক পত্রিকা   দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল এর  পক্ষ থেকে সবাইকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা   । 
ওসিকে পেটালো এসপির দুই কর্মচারী- ভেঙ্গে গেল হাড়

ওসিকে পেটালো এসপির দুই কর্মচারী- ভেঙ্গে গেল হাড়

 

স্টাফ রিপোর্টার: এসপির দুই কর্মচারী রাজধানীর শিল্পাঞ্চল থানা ওসিকে পিটিয়ে কাঁধের হাড় ভেঙ্গে দিয়েছে। ঘটনাটি ছিলো এরকম  গত শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস থেকে থানায় ফেরার পথে ভিকারুনন্নিসা নূন স্কুলের ২ নম্বর গেটের সামনে বন্ধু মো. সালামের সঙ্গে  দেখা হয় ওসির । এ সময় তারা দুজনই সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য রাস্তার পাশে গাড়ি থামিয়ে নামেন। একপর্যায়ে মো. সালাম চা পানের জন্য ওসিকে পীড়াপীড়ি করেন এবং চা আনার জন্য চালককে নিয়ে পার্শ্ববর্তী দোকানে যান। এ সময় এক মধ্যবয়সী নারী নাজমুল আলম ও মো. মিলনকে দিয়ে ভিকারুন্নিসা নূন স্কুলের পূর্বপাশের দেয়াল সংলগ্ন ফুটপাত ও রাস্তা পরিষ্কার করাচ্ছিলেন। তারা মো. সালামের গাড়ির পাশে অপেক্ষমাণ ওসিকে গাড়িটি সরিয়ে নিতে বলেন।এ সময় ওসি বলেন, চালক চা নিয়ে এলেই তারা গাড়ি দুটি সরিয়ে নেবেন। কিন্তু ওই দুজন কোনো কথা না শুনে ওসির পরিচয় জানতে চান। ওসি নিজ পরিচয় দেওয়ার পরও তার কাছে পরিচয়পত্র দেখতে চান কেয়ারটেকাররা। কিন্তু পরিচয় নিশ্চিত হলেও ওসি আব্দুর রশিদকে পথচারীদের সামনে ‘ভুয়া পুলিশ’ আখ্যা দিয়ে লাগাতার ব্যঙ্গ করতে থাকেন নাজমুল ও মিলন।

তখন ওসি তার বন্ধুকে ডেকে এনে গাড়ি সরিয়ে নিতে বলেন। বন্ধু সালাম গাড়িতে উঠে চালু করার সময় মিলন তার জামার কলার ধরে গাড়ি থেকে নিচে টেনে নামিয়ে আনেন। বন্ধুকে বাঁচাতে গেলে নাজমুল আলম ওসি রশিদকে অতর্কিত কিলঘুষি মারতে থাকেন। একপর্যায়ে ওসিকে লাথি দিয়ে রাস্তায় ফেলে লাঠি দিয়ে মাথায় মারার চেষ্টা করেন নাজমুল। পাশ কেটে গেলে লাঠির আঘাত থেকে মাথা রক্ষা পেলেও তার বাম কাঁধের হাড় ভেঙে যায়।

এদিকে ওসির বন্ধু সালামকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারছিলেন মিলন। একপর্যায়ে আহত ওসিকে টেনেহিঁচড়ে সিদ্ধেশ্বরী রোডের ৬১/বি/এ নম্বর ‘কনকর্ড মেঘনলিয়া’র পার্কিং ফ্লোরে নিয়ে যান তারা। গেট বন্ধ করে সেখানেও রড দিয়ে আব্দুর রশিদকে এলোপাতাড়ি পেটান নাজমুল আলম ও মো. মিলন। এ সময় ওসি ও তার বন্ধুর চিৎকারে স্থানীয় বাসিন্দারা এগিয়ে এসে তাদের রক্ষা করেন। খবর পেয়ে রমনা থানার পরিদর্শক (অপারশেনস) মো. মাহফুজুল হক সহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহতদের উদ্ধার করেন, আটক করেন নাজমুল আলম ও মো. মিলনকে। পরে আব্দুর রশিদকে ভর্তি করা হয় রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে।

ঘটনার শিকার ওসি মো. আব্দুর রশিদ ঘটনার পরদিন রাতে অভিযুক্ত দুই কেয়ারটেকারের বিরুদ্ধে রমনা থানায় একটি হত্যাচেষ্টার মামলা করেন।

এদিকে গত সোমবার ৫ হাজার টাকা মুচলেকায় অভিযুক্ত দুই আসামিকে নিজ জিম্মায় জামিন নিয়েছেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার শামীমা ইয়াসমীন। তিনি আদালতকে জানিয়েছেন, নাজমুল আলম ও মো. মিলন তার বাসার কর্মচারী। বাদীর সঙ্গে তাদের ভুল বোঝাবুঝি থেকে এই মামলার সৃষ্টি হয়েছে। তিনি ব্যক্তিগতভাবে বিষয়টি সমঝোতার উদ্যোগ নেবেন।

এই সংবাদ টি সবার সাথে শেয়ার করুন




দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।  © All rights reserved © 2018 dainikinternational.com
Design & Developed BY Anamul Rasel