শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৬ পূর্বাহ্ন

ঘোষনা :
  সম্পূর্ণ আইন বিষয়ক  দেশের প্রথম দৈনিক পত্রিকা   দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল এর  পক্ষ থেকে সবাইকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা   । 
সংবাদ শিরোনাম :
ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাবে যা করণীয় জমি আপনার, দখল অন্যের! কী করবেন? রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ইস্যুতে সংবিধান, আইনী নৈরাজ্য ও অতীত ইতিহাস! শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র নিয়ে রাষ্ট্রপতির মিথ্যাচার বনাম সাংবিধানিক সমাধান! সহায় সম্পত্তি পুণ্যের কাজে ওয়াক্ফ গঠন ও প্রাসঙ্গিকতা! শেকড়ের সন্ধানে সাঁইজির ধামেঃ লালন কি জাত সংসারে— রক্তাক্ত মাহমুদুর রহমানের কুষ্টিয়ায় আগমন বনাম দুধের মাছিদের আনাগোনা! জনপ্রশাসন, জেলা প্রশাসক ও স্যার সম্বোধন কতটা সংবিধান ও আইনসম্মত! ক্রেতা ঠকে গেলে বিক্রেতার বিরুদ্ধে যত আইনগত প্রতিকার! আইনে জামিন চর্চা বনাম বিচারকের পদত্যাগের দাবীতে আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ!
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রবাসী হত্যার দায়ে স্ত্রী সহ চারজনের মৃত্যুদণ্ড

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রবাসী হত্যার দায়ে স্ত্রী সহ চারজনের মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ গত মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় মো. শাহজাহান খান নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে তার স্ত্রী কোহিনুর বেগমসহ চারজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক শেখ রাজিয়া সুলতানা এই রায় দেন।

উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়নের আমতলি গ্রামের চাঞ্চল্যকর ওই হত্যার মামলায়  আর দুই আসমী মোখলেছুর রহমান এবং আল আমিন কে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নিহতের স্ত্রী কোহিনুর বেগম, নবীনগর উপজেলার জালশুকা গ্রামের আবুল খায়ের, গোলাপ মিয়া এবং দোহা ওরফে দুইখ্যা। এদের মধ্যে আবুল খায়ের ছাড়া বাকি সবাই পলাতক রয়েছেন।

উল্লেখ্য যে,২০০৯ সালের ১৩ নভেম্বর সৌদি আরব প্রবাসী মোঃ শাহাজাহান খান ছুটিতে বাড়ীতে  বেড়াতে আসেন। বাড়ীতে আসার পর জানতে পারেন তার স্ত্রী অন্য একজনের সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িত, এই নিয়ে দুজনের মধ্যে মনোমালিন্য চলতে থাকে। এরই জের ধরে  ঐ বছর ২ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ১২টা থেকে ১টার মধ্যে  দিকে ঘুমন্ত শাহজাহানের আত্মচিৎকারে ঘুম ভেঙ্গে যায়  বাবা বারেক খানের, তিনি ছুটে গিয়ে দেখতে পান তার সন্তানের গলাকাটা লাশ পরে আছে বিছানায়।

এই ঘটনার পরদিন অর্থাৎ ৩রা ডিসেম্বর ২০০৯ নবীনগর থানায় নিহতের বাবা  মোঃ বারেক খান নিহতের স্ত্রী কোহিনুর বেগমকে প্রধান আসামী করে ৬ জনের  বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ কোহিনুর বেগমকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিলে তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করেন। পরবর্তীতে দীর্ঘ তদন্ত পর পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

মঙ্গলবার আদালত স্ত্রী কোহিনুর বেগম সহ চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ না থাকায় মামলায় অপর দুই আসামি মোখলেছ ও আল-আমীনকে খালাস দেয়। আসামিদের মধ্যে আবুল খায়ের ছাড়া বাকীরা জামিনে গিয়ে পলাতক।

 

এই সংবাদ টি সবার সাথে শেয়ার করুন




দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।  © All rights reserved © 2018 dainikinternational.com
Design & Developed BY Anamul Rasel