বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১০:১৭ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: গত ১০অক্টোবর বহুল আলোচিত ২১ শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় হয়। এ প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন ভিন্ন ভিন্ন মন্তব্য করেছেন।
এ প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন এ রায়ে যাদের ফাঁসি হয়েছে তাতে আমরা স্বস্তি বোধ করছি কিন্তু আরো অনেকের ফাঁসি হওয়া উচিত ছিলো কিনা তা আমরা খতিয়ে দেখব।
অপরদিকে জয়নুল আবেদীন আশা করেছেন আপিল করার পর দন্ডিতরা খালাস পাবেন।
মাহবুরেব আলম আরো বলেন যে মামলাটি নষ্ট করে দেওয়া হয়েছিলো। আসামী সাজানো হয়েছিলো জজমিয়া নামক এক নিরপরাধ মানুষকে। মামলাটি আলোর মুখ দেখেছে শেষ পর্যন্ত। আপরাধীরা পেয়েছে শাস্তি। এটি বাংলাদেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে সব থেকে বড় সার্থকতা।
তিনি আরো বলেন এটাকে কোন ভাবেই সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বলা যায় না, এটা ছিলো একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং এই কারনেই শেখ হাসিনা এবং তার দলের অন্যান্য নেতাকর্মীদের চিরতরে শেষ করে দেওয়ার জন্যই এই হত্যাকান্ড পরিচালনা করা হয়েছিলো। এই মামলাটিতে প্রমান হয়েছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা কতখানি ভয়ঙ্কর হতে পারে।
তিনি বলেন এখানে যাদের ফাঁসি হয়েছে, তাতে আমরা স্বস্তি অনুভব করছি। তবে আরও কারো কারো ফাঁসি দেওয়া উচিৎ ছিল কিনা তার জন্য রায়টা আমি খতিয়ে দেখবো। আগে রায়টা পড়ে দেখবো। যদি রায়ে উল্লেখ থাকে যে, তারেক রহমান মাস্টারমাইন্ড তাহলে অবশ্যই তার ফাঁসি দেওয়া উচিৎ ছিল।
এই দিকে ২১ শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ের প্রসঙ্গে বুধবার সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গনে এক বিক্ষোভ মিছিল শেষে জয়নুল আবেদীন বলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তারেক রহমানের নাম প্রাথমিক ভাবে সাক্ষ্যে বলেনি। ৪১০ দিন মুফতি হান্নানকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে কিন্তু একটি মামলায় ১৫ দিনের বেশি কাউকে রিমান্ডে নেওয়া যায় না। কিন্তু মুফতি হান্নানকে ৪১০ দিন রিমান্ডে রেখে অমানুষিক নির্যাতন করে তারেক রহমানের নাম বলানো হয়েছে। এই ঘটনার সাথে তারেক রহমানের কোন সম্পৃক্ততা ছিলো না।
জয়নুল আবেদীন আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার সাক্ষীতে তারেক রহমানের নাম বললে বুঝতাম যে তারেক রহমানের সম্পৃক্ততা রয়েছে। কিন্তু অন্য দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আদালতে সাক্ষ্যে দিতে যাননি এবং তারেক রহমানের নামও বলেননি। তাই এই মামলায় তারেকের সাজা দেয়ার কিছু নাই
জয়নুল বলেন, এই মামলায় তারেক রহমানসহ যাদেরকে দন্ড দেওয়া হয়েছে আমরা আশা করি আপিল করে তাদের সবাইকে খালাস করাতে সক্ষম হব।