সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:০৪ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: ঘূর্ণিঝড় তিতলির কারণে উপকূলীয় ১৯ জেলার সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।
আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় তিতলি উপলক্ষে সার্বিক পরিস্থিতি ও প্রস্তুতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি সকালে আঘাত হেনেছে। আমাদের এখানে আঘাত হানার আশঙ্কা ছিল। ঘূর্ণিঝড় তিতলির কারণে আমরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছি।’
তিনি বলেন, আল্লাহর কাছে শুকরিয়া যে, ঘূর্ণিঝড় তিতলি আজ ভোর রাতে ভারতের উড়িষ্যা ও অন্ধ্র উপকূল অতিক্রম করে ভারতীয় উপকূলে আঘাত হানার পর দুর্বল হয়ে পড়েছে। এ ঘূর্ণিঝড় থেকে বাংলাদেশের আর ভয়ের কোনো কারণ নেই। তবে তিতলির আঘাত ১৯ জেলায় আক্রান্তের আশঙ্কা ছিল। এসব জেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি আমরা নিয়েছি|
মন্ত্রী আরও বলেন, সব জেলায় কন্ট্রোলরুম খোলা রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সব কর্মকর্তার সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া ৫৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, ঘূর্ণিঝড় তিতলি বৃহস্পতিবার ভোরে ভারতের উডিষ্যা রাজ্যের গোপালপুরে আঘাত হানলেও তা পুরো শক্তি নিয়ে বাংলাদেশে আসার আশঙ্কা নেই। বরং নিম্নচাপ আকারে আসবে। ফলে উপকূলীয়সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভারী বৃষ্টিতে হতে পারে।
তবে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে চার নম্বর সতর্কতা দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা এবং ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় তিতলি নামটির প্রস্তাব এসেছে পাকিস্তানের কাছ থেকে। হিন্দি ভাষার শব্দ তিতলি যার অর্থ প্রজাপতি