মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:১৮ অপরাহ্ন

ঘোষনা :
  সম্পূর্ণ আইন বিষয়ক  দেশের প্রথম দৈনিক পত্রিকা   দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল এর  পক্ষ থেকে সবাইকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা   । 
সংবাদ শিরোনাম :
শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র নিয়ে রাষ্ট্রপতির মিথ্যাচার বনাম সাংবিধানিক সমাধান! সহায় সম্পত্তি পুণ্যের কাজে ওয়াক্ফ গঠন ও প্রাসঙ্গিকতা! শেকড়ের সন্ধানে সাঁইজির ধামেঃ লালন কি জাত সংসারে— রক্তাক্ত মাহমুদুর রহমানের কুষ্টিয়ায় আগমন বনাম দুধের মাছিদের আনাগোনা! জনপ্রশাসন, জেলা প্রশাসক ও স্যার সম্বোধন কতটা সংবিধান ও আইনসম্মত! ক্রেতা ঠকে গেলে বিক্রেতার বিরুদ্ধে যত আইনগত প্রতিকার! আইনে জামিন চর্চা বনাম বিচারকের পদত্যাগের দাবীতে আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ! নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের থেকেই ভিসি নিয়োগের অনুরোধ ইবি শিক্ষকদের সংবিধান সংস্কারঃ সংশোধন না-কি পুনর্লিখন?  সেনাবাহিনীর বিচারিক ক্ষমতাঃ আইন কি বলে?
জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হলো বাংলাদেশ

জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হলো বাংলাদেশ

স্টাফ রিপোর্টার:  কয়েকটি সংগঠনের আপত্তি সত্ত্বেও জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে আরও ১৬টি সদস্য দেশের সঙ্গে নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ ও ভারত। শুক্রবার (১২ অক্টোবর) সকালে ভোটাভুটিতে নির্বাচিত এই ১৮ সদস্য পরবর্তী তিন বছর মেয়াদে ৪৭ সদস্যের সংস্থার নেতৃত্ব দেবে। আঞ্চলিক গ্রুপ থেকে কোনও ধরণের প্রতিদ্বন্দিতা ছাড়াই নতুন এই ১৮ সদস্য নির্বাচিত হয়েছে।

আগে এই পদে আঞ্চলিক গ্রুপগুলোতে প্রতিদ্বন্দিতার রেওয়াজ থাকলেও মানবাধিকার গ্রুপগুলো এই রেওয়াজের বিরোধিতা করে আসছিল। এই বিরোধিতার কারণ হিসেবে বলা হতো এর ফলে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী শাসকরাও নির্বাচিত হয়ে আসার সুযোগ পায়।

জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্যরা গোপন ব্যালটে নির্বাচিত হয়ে থাকেন। কাউন্সিলে নির্বাচিত হতে প্রতিটি সদস্য দেশের কমপক্ষে ৯৭টি ভোট প্রয়োজন। এশিয়া-প্যাসিফিক ক্যাটাগরিতে ভারত, বাহরাইন, ফিজি ও ফিলিপাইনের পাশাপাশি নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ। ১৯৩ ভোটের মধ্যে ১৭৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয় বাংলাদেশ। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে নতুন মেয়াদের দায়িত্ব নেবে ঢাকা।

জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০৬ সালের মার্চে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক মূলনীতির আলোকে পরিচালিত এই কাউন্সিলে সদস্য হওয়ার জন্য প্রতিটি অঞ্চলে সমানভাবে সদস্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। বর্তমানে আফ্রিকা ও এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোর জন্য ১৩টি করে আসন বরাদ্দ রয়েছে। এছাড়া ইউরোপের দেশগুলোর জন্য ৬টি, লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলে ৮টি এবং পশ্চিম ইউরোপীয় ও অন্যান্য অঞ্চলের জন্য ৭টি আসন বরাদ্দ রয়েছে। পাঁচটি আঞ্চলিক গ্রুপ থেকেই সদস্য হতে ইচ্ছুক দেশগুলো বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তাদের প্রার্থিতা দাখিল করে।

ভোটের আগের সন্ধ্যায় তিনটি মানবাধিকার গ্রুপ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ১৮টি সদস্য দেশকে নিয়ে একটি যৌথ বিবৃতি দেয়। ওই বিবৃতিতে এসব দেশগুলোর মানবাধিকার রেকর্ড নিয়ে বিশ্লেষণ হাজির করা হয়। বিবৃতিতে বাংলাদেশসহ ছয়টি দেশ জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের যে প্রস্তাবের মাধ্যমে মানবাধিকার কাউন্সিল গঠিত তার মানদণ্ড পূরণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় ‘অযোগ্য’ ঘোষণা করা হয়। ব্যর্থ হওয়া অন্য পাঁচটি দেশ হলো বাহরাইন, ক্যামেরুন, ইরিত্রিয়া, ফিলিপাইন ও সোমালিয়া। এই ক্যাটাগরিতে ভারতকে রাখা হয়েছে ‘প্রশ্নবোধক’ তালিকায়। তার সঙ্গে রয়েছে বুরকিনা ফাসো, ফিজি এবং টোগো। মানবাধিকার সংগঠন তিনটি হচ্ছে ইউএন ওয়াচ, হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন এবং রাউল ওয়ালেনবার্গ সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উল্লিখিত দেশগুলোর মানবাধিকার রেকর্ড সমস্যাগ্রস্ত। বিবৃতিতে মাত্র আটটি দেশকে কাউন্সিলের সদস্য হওয়ার যোগ্য বলে ঘোষণা করা হয়। দেশগুলো হচ্ছে আর্জেন্টিনা, অস্ট্রিয়া, বাহমা, বুলগেরিয়া, চেক রিপাবলিক, ডেনমার্ক, ইতালি এবং উরুগুয়ে।

বিবৃতিতে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোকে অযোগ্য ছয়টি দেশকে ভোট না দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। বলা হয়, বিচার বহির্ভূত হত্যা, নির্যাতন, বিনা বিচারে আটক, সরকারি বাহিনীর মাধ্যমে গুম এবং মতপ্রকাশ ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় বাধা দেওয়ার কারণে বাংলাদেশকে এই অযোগ্য তালিকায় রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ নির্বাচিত হওয়ার ফলে কাউন্সিলের বিশ্বাসযোগ্যতা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

প্রতিষ্ঠার পর থেকেই জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থায় প্রতিবছরই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুধু ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠার বছরেই পাঁচটি আঞ্চলিক গ্রুপে নির্বাচন হয়েছিল। সম্প্রতি এই কাউন্সিল থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। এর অন্যতম কারণ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের তরফে বলা হয়েছে, এই কাউন্সিলের সদস্য দেশগুলোর শাসকদের মানবাধিকার রেকর্ড দুর্বল। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও অভিযোগ করেছেন, সদস্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে দেশগুলো পরস্পরের সঙ্গে আঁতাত করছে। এখানে কোনও নিরপেক্ষ বা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন প্রক্রিয়া নেই। তবে অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের পদক্ষেপের কারণেই ট্রাম্প প্রশাসন এই কাউন্সিলের সমালোচনায় মেতেছে।

 

এই সংবাদ টি সবার সাথে শেয়ার করুন




দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।  © All rights reserved © 2018 dainikinternational.com
Design & Developed BY Anamul Rasel