সোমবার, ২৯ মে ২০২৩, ০১:৩৮ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ ঢাকা ও জামালপুরে করা দুটি মানহানির মামলায় জামিন পেয়েছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। হাইকোর্ট তার ৫মাসের জামিন মঞ্জুর করেছেন।
রবিবার এই আদেশ দেন বিচারপতি আব্দুল হাফিজ ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ।
আদালতে অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ছিলেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের পক্ষের আইনজীবী। রাষ্ট পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রাফি আহমেদ। তার সঙ্গে ছিলেন এম মাসুদ চৌধুরী ও স্বপন দাস। রাষ্ট্রপক্ষ জানিয়েছেন এ জামিনের বিরুদ্ধে তারা আপিল করবেন।
এর আগে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টির করা মানহানির মামলায় ঢাকা মহানগর হাকিম আসাদুজ্জান নূর সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুর হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
একইদিনে অপর একটি মানহানির মামলায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন জামালপুরের একটি আদালত। রোববার দুপুরে জামালপুরের আমলি আদালত এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে জেলা যুব মহিলালীগের আহ্বায়ক ফারজানা ইয়াসমিন লিটা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে ২০ হাজার কোটি টাকার মানহানির মামলা করেন। সেটি আমলে নিয়ে জামালপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সোলেয়মান কবির আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
এই দুটি মামলায় উচ্চ আদালতে আবেদন করার পর জামিন পান ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন।
উল্লেখ্য, গত ১৬ অক্টোবর একাত্তর টেলিভিশনের টক শো একাত্তরের জার্নাল এ ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি প্রশ্ন করেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে আপনি যে হিসেবে উপস্থিত থাকেন- আপনি বলেছেন আপনি নাগরিক হিসেবে উপস্থিত থাকেন। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই বলছেন, আপনি জামায়াতের প্রতিনিধি হয়ে সেখানে উপস্থিত থাকেন।
মাসুদা ভাট্টির এই প্রশ্নে রেগে গিয়ে মইনুল হোসেন বলেন, ‘আপনার দুঃসাহসের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। আপনি চরিত্রহীন বলে আমি মনে করতে চাই। আমার সঙ্গে জামায়াতের কানেকশনের কোনো প্রশ্নই নেই। আপনি যে প্রশ্ন করেছেন তা আমার জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর।