রবিবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:১৬ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্টঃ সরকারী কর্মকর্তাদের গ্রেফতারে পূর্বানুমতির বিধান রেখে সরকারী চাকরি আইন ২০১৮ সংবিধান পরিপন্থী ও বৈষম্যমুলক বলে দাবী করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটি বিষয়টি পূর্ণবিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে।
সোমবার এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন এই প্রস্তাবটির ধারা সংবিধান পরিপন্থি ও বৈষম্য মুলক। কারন একই অপরাধে জড়িত হলে সাধারন নাগরিক ও জনপ্রতিনিধিদের জন্য যেখানে পূর্বানুমতির প্রয়োজন নেই সেখানে বিশেষ মহলের জন্য পূর্বনুমতির বিধান সংযুক্ত করা হয়েছে। সংবিধানে যেখানে বলা হয়েছে সকল নাগরিকের সমান অধিকার সেখানে এই বিধান সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক।
তিনি বলেন এই ধারাটি ১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধি এর ৫৪ ধারার সঙ্গেও সরাসরি সাংঘর্ষিক। যেখানে আমালযোগ্য অপরাধের ব্যাপারে মামলা হলে বা জড়িত থাকার বিশ্বাস যোগ্য তথ্য থাকলে বা জড়িত থাকলে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতারের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।
এছাড়া সরকারী চাকরি আইন ২০১৮ অনুযায়ী ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত সরকারী কর্মকর্তাকে গ্রেফতারে পূর্বানুতির যে খসড়া জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হয়েছে এ বিধান প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তাদের সততা ,স্বচ্ছতা , উন্নততর পেশাদারিত্ব ও নিরপেক্ষ জনপ্রশাসশন নিশ্চিতের জন্য পরিপন্থি ও উদ্বেগজনক।
তিনি আরো বলেন, এই বিধানটি যদি পাশ হয় তাহলে সরকারি খাতে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিরোধ দূরে থাকুক আইনের ছত্রছায়ায় এ ধরনের অপরাধ সুরক্ষা পাবে এবং এ ধরনের অপরাধ আরো বাড়ার ঝুঁকি রয়েছে বলে উল্লেখ করে বিধানটির পুনর্বিবেচনা জন্য তিনি সরকারের প্রতি বিশেষ করে সংসদীয় কমিটির প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি আরোও বলেন এমন বাস্তবাতায় এমন একটি গুরুত্ব আইন যা এতো দীর্ঘকাল আলোর মুখ দেখেনি তা অতি স্বল্প মেয়াদে বর্তমান অধিবেশনে তড়িঘড়ি করে এটি অনুমদিত হলে তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সাময়িক সুবিধার জন্য কিনা এরূপ প্রশ্ন উত্থাপিত হওয়া স্বাভাবিক মনে করছে টিআইবি।
এছাড়া দেশের বৃহত্তর স্বার্থে পরিপূর্ণ খসড়া আইনটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির মাধ্যমে সবার জন্য উন্মুক্ত করে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞসহ সব অংশীজনের মতামত গ্রহণের দাবি জানান ড. ইফতেখারুজ্জামান।