সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:১৫ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্টঃ চলছিলো পরিবহন ধর্মঘট। কোন গাড়ীই চলতে দেবে না এই হলো পরিবহন শ্রমিকদের পণ । কিন্তু এই পণই কেড়ে নিল একটি নিস্পাপ শিশুর প্রান। যার এখনও নামই রাখা হয়নি। যে পৃথিবীতে এসেছিলো মাত্র সাতদিন আগে। যার বুঝার ক্ষমতাই হয়নি ধর্মঘট কি? তাকেই প্রাণ দিতে হলো এই ধর্মঘটের কারনে অ্যাম্বুলেন্সের ভিতরেই।
এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে মৌলভীবাজারের বড় লেখা উপজেলা চান্দগ্রাম এলাকায়। বড়লেখা সদর ইউনিয়ন আজমির গ্রামের কুটন মিয়ার মেয়ে এই হতভাগী।
ঘটনাটি ছিলো এই রকম শিশুটির চাচার ভাষায়, শিশুটি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলো আর শুধুই কাঁদছিলো। সকালে আমরা শিশুটিকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাই। কিন্তু সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে সিলেটে হাসপাতালে নেওয়ার কথা বলে। আমরা অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে সিলেটের উদ্দেশ্যে রওনা হই। কিন্তু বড়লেখা উপজেলার দরগাবাজারে এলাকায় পৌছালে অ্যাম্বুলেন্সটি আটকে দেয় শ্রমিকরা। সেখান থেকে অনেক অনুরোধ করে ছাড়া পেয়ে দাসের বাজার এলাকায় পৌছালে আবার অ্যাম্বুলেন্সটি আটকে দেয় শ্রমিকরা। এখান থেকে ছাড়া পেয়ে আমরা আবার রওনা হই। তারপর চান্দগ্রাম বাজারে গেলে আবারও অ্যাম্বুলেন্সটি আটকে দেয় শ্রমিকরা । এসময় সেখানে অ্যাম্বুলেন্সটির চালকে গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর করে। এরপর আমরা বিয়ানীবাজার হাসাপাতালে নিয়ে গেলে শিশুটি অনেক আগেই মারা গেছে বলে জানান চিকিৎসক। এই বিষয়ে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।