সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:০৮ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্টঃ আজ ২৯ অক্টোবর (সোমবার) বেলা ১২ টার দিকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দূর্নীতি মামলার রায় হয়েছে। এই রায়ে খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারদন্ড দেওয়া হয়েছে । মামলার অন্য তিন আসামীকেও সাত বছর করে কারদন্ড দিয়েছেন বিশেষ আদালত। একই সঙ্গে ১০ লক্ষ টাকা করে প্রত্যেকে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া তাদের অনাদায়ে আরোও ৬ মাস করে কারদন্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ট্রাস্টের নামে কেনা কাকরাইলের ৪২ কাঠা জমি রাষ্ট্রায়ত করার আদেশ দেন আদালত।
এ রায় ঘোষনা করেন ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ জজ আদালত -৫ এর বিচারক ড.আখতারুজ্জামান।
রায় ঘোষনার সময় খালেদা জিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। রায় ঘোষনার সময় কারগারে থাকা অন্য দুই আসামী জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষনা সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন না আসামী পক্ষের কোন আইনজীবী।
সাজা প্রাপ্ত তিন আসামী হলেন- হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তখনকার একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। মামলার আগে থেকেই হারিছ চৌধুরী পালতক রয়েছেন।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
উল্লেখ্য গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদন্ডাদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান। রায় ঘোষনার পরই সেই দিন বিকেলেই নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রেীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় বেগম খালেদা জিয়াকে।