সোমবার, ০৫ Jun ২০২৩, ০৫:১১ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্টঃ আজ সারাদেশে বিএনপির জ্যেষ্ঠ আইনজীবীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে করা গায়েবি’ মামলা নিয়ে করা রিট শুনানির জন্য হাইকোর্টের একক বেঞ্চ আগামী ২০ নভেম্বর দিন ঠিক করেছেন।
আজ সোমবার (৫ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের একক বেঞ্চ রিটকারীদের পক্ষে সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। রিটকারীদের পক্ষে অ্যাডভোকেট মাসুদ রানা আজ আদালতে সময় আবেদন করেন। অন্যদিকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ. কে. এম. আমিন উদ্দিন (মানিক) রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ. কে. এম. আমিন উদ্দিন (মানিক) বলেন তিনি বলেন, আজ সোমবার (৫ নভেম্বর) কার্যতালিকায় মামলাটি শুনানির জন্য ছিল। রিটকারীদের পক্ষে ড. কামাল হোসেন শুনানি করবেন এ গ্রাউন্ডে অ্যাডভোকেট মাসুদ রানা দুই সপ্তাহের সময় প্রার্থনা করলে আদালত তা মঞ্জুর করে ২০ নভেম্বর ২টার সময় শুনানির জন্য ধার্য করেন
এ রিটের ওপর গত গত ৯ অক্টোবর হাইকোর্টের একটি দ্বৈতবেঞ্চ দ্বিধাবিভক্ত আদেশ দিয়েছিলেন।ওই বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী এ বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশসহ রুল জারি করলেও অপর বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল রিট খারিজ করে আদেশ দেন।
এরপর নিয়ম অনুসারে প্রধান বিচারপতির কাছে রিটটি পাঠানো হয়। পরে মামলাটি নিষ্পত্তি করার জন্য প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের একক বেঞ্চে নির্ধারণ করে দেন
জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন ওই দিন আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল হক টুটুল।
২৩ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, আইনজীবী নিতাই রায় চৌধুরী ও সানাউল্লা মিয়া এ রিট দায়ের করেন।
রিটে স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার, গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (নর্থ জোন), রমনা জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, রমনা ও শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বিবাদী করা হয়েছে।
রিট দায়েরের পর খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে সারাদেশে ঢালাওভাবে এ ধরনের ‘কাল্পনিক’ মামলা করার উদ্দেশ্য হচ্ছে বিরোধী দলকে চাপে রেখে বিরোধী নেতাকর্মীদের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করা।
তিনি আরও বলেন, এ ধরনের মামলা সঠিক হয়েছে কিনা তা তদন্ত করতে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিশন গঠন করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ‘কাল্পনিক’ মামলা করে যেন হয়রানি না করা হয় তার নির্দেশনা জারির আবেদন করা হয়েছে। যারা এ ধরনের মামলা করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়েও আবেদন করা হয়েছে।
সেপ্টেম্বরের বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে রিট আবেদনে আবেদনকারী এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অগণিত মানুষের বিরুদ্ধে ‘কাল্পনিক’ মামলা করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং এ ধরনের ‘কাল্পনিক’ মামলাকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না এ মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।