বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০১:২৯ অপরাহ্ন

ঘোষনা :
  সম্পূর্ণ আইন বিষয়ক  দেশের প্রথম দৈনিক পত্রিকা   দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল এর  পক্ষ থেকে সবাইকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা   । 
সংবাদ শিরোনাম :
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ইস্যুতে সংবিধান, আইনী নৈরাজ্য ও অতীত ইতিহাস! শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র নিয়ে রাষ্ট্রপতির মিথ্যাচার বনাম সাংবিধানিক সমাধান! সহায় সম্পত্তি পুণ্যের কাজে ওয়াক্ফ গঠন ও প্রাসঙ্গিকতা! শেকড়ের সন্ধানে সাঁইজির ধামেঃ লালন কি জাত সংসারে— রক্তাক্ত মাহমুদুর রহমানের কুষ্টিয়ায় আগমন বনাম দুধের মাছিদের আনাগোনা! জনপ্রশাসন, জেলা প্রশাসক ও স্যার সম্বোধন কতটা সংবিধান ও আইনসম্মত! ক্রেতা ঠকে গেলে বিক্রেতার বিরুদ্ধে যত আইনগত প্রতিকার! আইনে জামিন চর্চা বনাম বিচারকের পদত্যাগের দাবীতে আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ! নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের থেকেই ভিসি নিয়োগের অনুরোধ ইবি শিক্ষকদের সংবিধান সংস্কারঃ সংশোধন না-কি পুনর্লিখন? 
পুলিশের মাধ্যমে জামিননামা দাখিল এবং রেজিস্ট্রি করার নিয়ম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট

পুলিশের মাধ্যমে জামিননামা দাখিল এবং রেজিস্ট্রি করার নিয়ম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট

তদন্তাধীন কোনো মামলায় মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে পুলিশের জিআর (সাধারণ নিবন্ধন) শাখার মাধ্যমে জামিননামা দাখিল এবং রেজিস্ট্রি করার নিয়ম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এ সংক্রান্ত নিয়ম কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ গতকাল রোববার (১১ নভেম্বর) এই আদেশ দেন।

আইন সচিব, ঢাকার সিএমএম কোর্টকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। ওই রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট রাশেদুল হক, সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট তানজিম আল ইসলাম।

এর আগে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মুকসেদ আলী। ওই রিটের শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেন হাইকোর্ট।

এই আদেশের ফলে মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে কোনো আসামির জামিন হওয়ার পর জামিননামা দাখিল এবং বিচারকের স্বাক্ষর (সই) মধ্যে আর কোনো ভূমিকা থাকছে না। এর ফলে বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তি কমবে বলে আশা করছেন আইনজীবীরা। আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মুকসেদ আলী।

আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মুকসেদ আলী সাংবাদিকদের জানান, কোনো ফৌজদারি মামলায় আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা পড়ার আগে বিচারক আসামির জামিন মঞ্জুর করলে আইনজীবীর জামিননামা দাখিল করতে হয় পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা শাখায়। সেখানে পাঁচটি ধাপে জামিন আদেশ তৈরি করে পাঠানো হয় বিচারকের কাছে। বিচারকের সই হওয়ার পর সেই আদেশ কারাগারে পাঠালে জামিনে মুক্তি মিলত বিচারপ্রার্থীর।

আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীরা বলছেন, এই কাজে সাধারণ নিবন্ধন শাখায় প্রতিটি ধাপ পার হতে পুলিশকে ‘খরচাপাতি’ দিতে হত। তাতে বিচারপ্রার্থীকে পোহাতে হত ভোগান্তি।

ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম মো. সাইফুজ্জামান হিরো গত ১২ সেপ্টেম্বর পুরনো ওই প্রক্রিয়া বাতিল করে দিয়েছিলেন। তিনি নতুন যে নিয়ম চালু করেছেন, তাতে যে বিচারক জামিন দেবেন, সেই আদালতের সাঁটলিপিকারের মাধ্যমে জামিননামা দাখিল করতে হবে।

এরপর ঢাকার বর্তমান মুখ্য মহানগর হাকিম মো. জাহিদুল কবির ১৬ অক্টোবর অপর মুখ্য মহানগর হাকিম মো. সাইফুজ্জামান হিরোর ১২ সেপ্টেম্বরের আদেশ বাতিল করে দেন। ১৬ অক্টোবরের আদেশ ১৭ অক্টোবর থেকে চালু হবে বলে আদেশে বলা হয়, ফলে আবার পুরনো নিয়ম পুলিশের মাধ্যমে জামিননামা দাখিল ও রেজিস্ট্রির বিধান চালু হয়।

এরপর বর্তমান মুখ্য মহানগর হাকিম মো. জাহিদুল কবিরের ১৬ অক্টোবরের ওই অফিস আদেশ চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মুকসেদ আলী। রোববার ওই রিটের ওপর শুনানি নিয়ে আদালত রুলসহ আদেশ দেন।

পরে আইনজীবী জানান, সিএমএম কোর্টের জামিননামা পুলিশের মাধ্যমে দাখিল এবং রেজিস্ট্রি করা সংক্রান্ত বিষয়টি অবৈধ ঘোষণা করেছেন আদালত। সঙ্গে রুলও জারি করেছেন। রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এই বিধান স্থগিত করেছেন আদালত।

এর ফলে এখন থেকে সাঁটলিপিকার নথিভুক্ত করার প্রক্রিয়া শেষে বিচারকের কাছে জামিন আদেশ পাঠাবেন স্বাক্ষরের জন্য। এই প্রক্রিয়ায় আর পুলিশের সংশ্লিষ্টতা থাকবে না।

সুত্রঃ lawyersclubbangladesh

এই সংবাদ টি সবার সাথে শেয়ার করুন




দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।  © All rights reserved © 2018 dainikinternational.com
Design & Developed BY Anamul Rasel