রবিবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:১৮ অপরাহ্ন
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্কঃ এবার কারগারে গেলেন সেই আলোচিত ব্যক্তি যিনি সামান্য ডিস ব্যবসায়ী থেকে তারকা বনে গিয়েছিলেন সেই হিরো আলম। যার পুরো নাম আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম।
তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগে। স্ত্রীকে মারধর করেছিলেন যৌতুকের দাবীতে।
বগুড়ার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আহমেদ শাহরিয়ার তারিক আজ বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
শ্বশুরের অভিযোগ
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী প্রথম আলোকে বলেন, স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে শ্বশুর সাইফুল ইসলাম ওরফে খোকন বুধবার বিকেলে হিরো আলমের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। এতে উল্লেখ করা হয়, হিরো আলম অনেক দিন ধরেই স্ত্রী সাদিয়া বেগম ওরফে সুমির কাছ থেকে দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করছেন। এর মধ্যে গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর সাইফুল ইসলাম জামাইয়ের হাতে এক লাখ টাকা তুলে দেন তিনি। গত ৫ মার্চ দুপুরে হিরো আলম আরও এক লাখ টাকা দাবি করেন। এই টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে স্ত্রীর ওপর রেগে যান হিরো আলম। টাকা না পেয়ে হিরো আলম চেলা কাঠের বাটাম দিয়ে সুমিকে মারধর করেন, কিল-ঘুষি মারেন। সুমির চিৎকারে এলাকায় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করেন। পরে আহত স্ত্রী সাদিয়াকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হিরো আলমের অভিযোগ
অন্যদিকে হিরো আলম গত মঙ্গলবার রাতে শ্বশুরসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুলে বগুড়া সদর থানায় পৃথক অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, গত ৫ মার্চ রাতে আটটার দিকে তাঁর স্ত্রী ও শ্বশুরের সঙ্গে ঝগড়া হয়। এর জেরে শ্বশুরপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে দলবদ্ধভাবে তাঁর সদর উপজেলার আরজি পলিবাড়ি গ্রামে নিজ বাড়িতে প্রবেশ করেন। এ সময় তাঁরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এর প্রতিবাদ করলে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শ্বশুরপক্ষের লোকজন তাঁকে মারধর করেন। একই সঙ্গে তাঁকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করেন। পরে তিনি (হিরো আলম) মাটিতে পড়ে যান। এই সুযোগে শো কেজের ড্রয়ার থেকে নগদ পাঁচ লাখ টাকা, দুইটি মুঠোফোন নিয়ে যান শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এ সময় তাঁরা ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্রও ভাঙচুর করেন এবং হত্যারও হুমকি দেন। তাঁর চিৎকারে আশপাশের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করেন। পরে তিনি বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নেন।
শ্বশুরের অভিযোগের সত্যতা মিলেছে
আলাদা দুটি অভিযোগ পাওয়ার পর বুধবার রাতে দুই পক্ষকে সদর থানায় ডাকা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হিরো আলমের বিরুদ্ধে শ্বশুরের দায়ের করা অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। এ কারণে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সুত্রঃ awyersclubbangladesh.com