শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৬ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ কার্যকর মনিটরিংয়ের অভাবে এভাবে ঘুমাচ্ছে নি¤œ আদালতের বিচারব্যবস্থা। কুষ্টিয়া দৌলতপুর সিনিয়র সহকারী জজ চৌকি আদালতের বেঞ্চ সহকারী তৌহিদুর রহমানের ঘুমেরর একটি দৃশ্য ফেসবুক ও সোস্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় চলছে। অফিস চলাকালীন সময় ঘুমের এ দৃশ্য মোবাইল ক্যামেরায় ধারণ করেছেন কুষ্টিয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য মোঃ জুয়েল। তিনি ফেসবুক ষ্ট্যাটাসে লিখেছেন “কুষ্টিয়া দৌলতপুর সিনিয়র সহকারী জজ চৌকি আদালতের বেঞ্চ সহকারীর অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে পুরো বিচারিক কার্যক্রম করোনায় আক্রান্ত। ১ম কলো শার্টের ছবি ২৫/০৩/২০২০ তারিখ দুপুর ১২টার সময়। সাদা শার্টের ছবিটা ১৮/০৩/২০২০ তারিখ বিকেল ৩টার সময়। এ সমস্ত ছবি প্রতিদিন পাওয়া যাবে। দেখার আমন্ত্রন রইল সবার। একটা চলমান কোর্টের সুন্দর পরিবেশ নষ্ট করার পিছনে যাদের হীন মানষিকতা রয়েছে তাদের কি কোন দায়িত্ব নাই এই সমস্যা সমাধানের। নাকি এই চৌকি আদালতের বিচারকের সাফল্য তারা ইর্শ্বান্বিত হয়ে একজন অকর্মণ্য লোকের উপর গুরু দায়িত্ব দিয়েছেন।” তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন আইনজীবী জানান, বেঞ্চ সহকারী তৌহিদুর রহমানের আচরণ মোটেই ভাল নয়। সম্প্রতি তিনি এ চৌকি আদালতে বদলীর পর কজ লিষ্টে মামলা উঠানোসহ কর্তব্য কাজে নান অনিয়ম করে চলেছেন। কুষ্টিয়া কোর্টপাড়া এলাকায় বাড়ি হওয়ায় মাস্তানি ভাবও রয়েছে এ বেঞ্চ সহকারী বিরুদ্ধে। সেই সাথে রয়েছে মাদক সেবনেরও অভিযোগ। তবে ডোপ টেষ্ট করলে এ বিষয়টি পরিস্কার হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ভুক্তভোগী। ২০০৭ সালে বিচার বিভাগ আলাদাকরণের পর একজন বিচারপতির আত্মীয় হওয়ার সুবাদে বেঞ্চ সহকারী তৌহিদুর রহমাান ও তার আপন বোন কুষ্টিয়া আদালতে কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ পান।
উল্লেখ্য, কুষ্টিয়া জেলা জজ আদালত চত্বরে একজন কর্মচারী তার আপন ভাইয়ের নামে জায়গা বরাদ্দ নিয়ে নিজেই একটি হোটেল খুলে বসেছে। এ স্থানটির আশ-পাশ এখন আদালতের কর্মচারীদের অর্থনৈতিক লেনদেনের একটি অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে প্রসেস সার্ভারদের সমন ও নোটিশ জারির নামে এ স্থানটি উন্মুক্ত অফিস হিসেবে ব্যবহার করে চলেছে। এসবের প্রমাণ পেতে কর্তা ব্যক্তিরা ঝটিকা অভিযান চালালে যথাযথ প্রমাণ পাবেন বলে অভিযোগকারীরা এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।