শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০৯ অপরাহ্ন
ষ্টাফ রিপোর্টারঃ কুষ্টিয়ার খোকসার শিমুলিয়া গ্রামের একই পরিবারের ৫ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে একজন স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। ওই স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্যের বোন।
সোমবার (২৭ এপ্রিল) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কামরুজ্জামান সোহেল।
তিনি বলেন, ডিএমপিতে কর্মরত ওই পুলিশ সদস্য ঢাকা থেকে ফেরার পথে ওই বাড়িতে আশ্রয় নেয়। ধারণা করা হচ্ছে আক্রান্ত ওই পুলিশ সদস্যের সংস্পর্শে তারা সংক্রমিত হয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও দুই নারী বলে জানা গেছে। আক্রান্ত ওই পরিবার উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের শিমুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
ইতোমধ্যেই ওই বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
এর আগে বুধবার (২২ এপ্রিল) কুষ্টিয়ার খোকসায় ঢাকা ফেরত এক পুলিশ সদস্য করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। কাজী আতাউল (৩৫) নামে ঐ পুলিশ সদস্য উপজেলার ওসমানপুর ইঊনিয়নের ওসমানপুর গ্রামের রতন কাজীর ছেলে। তিনি ঢাকা থেকে পালিয়ে এসেছিলেন।
এর আগে ঢাকা ফেরত করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্যের অবস্থার অবনতি ঘটলে (৩৫) উন্নত চিকিৎসার জন্য খোকসা থেকে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে, করোনা আক্রান্ত ওই পুলিশ সদস্য ঢাকা থেকে মোটরসাইকেল যোগে খোকসায় পালিয়ে এসেছিলেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন। ওই পুলিশ সদস্যের নাম কাজী আতাউল (৩৫)। সে উপজেলার ওসমানপুর গ্রামের রতন কাজীর ছেলে।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) রাতে ওই পুলিশ সদস্য ঢাকা থেকে মোটরসাইকেলে পালিয়ে খোকসায় এসেছেন। পুরো রাস্তা জুড়ে তিনি করোনা ছড়াতে ছড়াতে এসেছেন বলে তাদের ধারণা। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার কোনো উপসর্গ নেই এবং সে সুস্থ আছে।
এদিকে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে- পথে পথে এত কড়াকড়ি ও লকাডাউনের পরও কীভাবে তিনি এলাকায় ঢুকতে পেরেছন।
অনেকেই আবার প্রশ্ন তুলেছেন- পুলিশ সদস্য হওয়ার জন্যই কী তিনি ছাড় পেয়েছেন! লকডাউনের মধ্যে তিনি কিভাবে মোটরসাইকেল যোগে খোকসায় আসলেন তার সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি।