বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৮ অপরাহ্ন
মহসিনুল হক:
‘আপনি দোষ স্বীকার করতে বাধ্য নন। ’
‘দোষ স্বীকার করলে আপনার শাস্তি হতে পারে- এটা জেনেও কি আপনি দোষ স্বীকার করবেন?’
‘দোষ স্বীকার না করলে আপনাকে পুলিশের হাতে দেওয়া হবেনা। জেলখানায় পাঠানো হবে। ’
হবিগঞ্জের অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এরফান দোষ স্বীকার করতে আসা আসামী জাহাঙ্গীরকে বিষয়গুলো ব্যাখ্যা করে বলছিলেন।
আসামী জাহাঙ্গীর কথাগুলো শুনে ম্যাজিস্ট্রেট এরফানের দিকে নির্বাক চেয়ে থাকে । কোনো উত্তর দেয়না। এধরনের কর্মকান্ডে পুলিশ সুপারসহ গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন ম্যাজিস্ট্রেট এরফানের ওপর বেজায় ক্ষুব্ধ। বড় বড় শহরে যে ভাবে আসামীর দোষ স্বীকার লিপিবদ্ধ করা হয় তা ভাবতেও পারেনা এরফান। গল্প শুনেছে। নিজের চোখে দেখেনি। সে কারণে তা বিশ্বাস করতেও তার কষ্ট হয়। আইন মাফিক কাজ করেছে বলে তার কখনো ভালো বা বৈধ সুযোগ-সুবিধা আছে এমন স্থানে পোস্টিং হয়নি। এর জন্য আফসোস নাই তার।
এজলাসের দেওয়াল ঘড়িতে বিকাল পাঁচটা । ঢং ঢং ঢং ঢং ঢং শব্দ। জিআরও এএসআই আবু তালেব এরফানের খাস কামড়ায় প্রবেশের অনুমতি চায়। অনুমতি মেলে। এরফান বিচার বিভাগ পৃথক হবার পর কোনোদিনই রাত এগারোটার আগে বাড়ী ফিরতে পারেনি। এক নভেম্বর দুই হাজার সাত থেকে টানা দুই মাস ভারপ্রাপ্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন। দেখতে দেখতে তিন বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। এখন পরিস্থিতি বদলেছে। অনেক অফিসার নিয়োগ হয়েছে । যার জন্য বিকাল পাঁচটায় অফিস থেকে বের হওয়া যায়। আজ এরফান তার ছয় বছর বয়সী মেয়ে মঞ্জুমাকে নিয়ে পৈল গ্রামে যাবে। পৈল এলাকাটা হবিগঞ্জের ইতিহাস সমৃদ্ধ বিখ্যাত গ্রাম। স্বদেশী আন্দোলনের জন্মদাতা বিপিন পালের জন্মভূমি এই পৈল। ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু একবার পৈল এসে সেখানকার মাটি সাথে নিয়ে গিয়েছিলেন। মহাত্মা গান্ধীও একবার পৈল এর মাটি স্পর্শ করে গেছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এসব ইতিহাস নিয়ে কখনো আলোচনা দেখেনি এরফান। যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিচার থেকে শুরু করে রাস্তার ধারের বখাটে ইভ টিচাররা এক কাতারে আজ । তাদের টিচিং এ জাতি অসহায়।
জিআরও তালেব আজ আসামী জাহাঙ্গীরকে নিয়ে যেতে চায়। এরফান অনুমতি দেন না। নিজ দায়িত্বের প্রতি এরফান কখনো অবহেলা করেনি। আজও করবেনা। ওদিকে এরফান তার মেয়ে মঞ্জুমাকে কথা দিয়েছে । আজ তাকে পৈল বেড়াতে নিয়ে যাবে। বাসা থেকে মঞ্জুমার ফোন আসে। ফোন ধরে মেয়েকে রেডি হতে বলে। আরদালী আওয়ালকে বাসায় পাঠিয়ে দেন।
৩০২ ধারার অভিযোগে গ্রেফতারকৃত আসামী জাহাঙ্গীর। দোষ স্বীকারের সিদ্ধান্তে অটল থাকলে তাকে আবারো তিনঘন্টা ভাববার সময় দেন। অর্ডারলী আওয়াল মেয়ে মঞ্জুমাকে বাসা থেকে এনেছে। মঞ্জুমাকে নিয়ে এক মুহূর্ত দেরী না করে এরফান একটা রিক্সা নিয়ে পৈল এর দিকে রওনা দেন। পৈল যাবার রাস্তায় বারের সাবেক সভাপতি সাইদুর রহমান
এ্যাডভোকেট এর বাসা। তিনি মেয়ে সহ এরফানকে রিক্সায় দেখে কিছুটা অবাক হন। এরফান রিক্সা থামিয়ে রিক্সা থেকে নেমে সালাম জানিয়ে কথা বলেন। পৈল যাচ্ছেন জানতে পেরে একটু থামতে বলেন। তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে আরেকটা রিক্সা ডাকেন। রাস্তা ফাঁকা থাকায় দুই রিক্সা থেকেই গল্প চলে। একা পেয়ে রহমান সাহেব এরফানকে বলেন- বারের বেশীরভাগ আইনজীবী জানেন – আপনি ন্যায়বিচারে দৃঢ়। কারো মুখ দেখে বা অনুরোধ শুনে বিচার করেন না। আপনার সততা -নিরপেক্ষতা নিয়ে কারো কোনো প্রশ্ন নেই। তবে হাতে গোনা পাঁচজন তথাকথিত সিনিয়র আইনজীবী আপনার বিরুদ্ধে । এরফান বলে আমি উনাদের চিনি। জেলা জজ মিজান উদ্দিন এই পাঁচজন আইনজীবীকে ভীষণ ভয় পান। সুযোগ পেলেই তিনি এরফানকে উপদেশ দেন। দিনকাল ভালোনা এরফান সাহেব। আপনি সিনিয়র আইনজীবীদের চটাবেন না। তারা সুযোগ পেলেই আপনাকে বিপদে ফেলবে। কথাগুলো শুনে হজম করবার পাত্র নন এরফান। জেলা জজ সাহেবকে সোজা বলে দেন – কোনো কোনো বিচারক এইসব তথাকথিত সিনিয়র আইনজীবীদের অনৈতিক সুবিধা দিতে পারেন। আমি তাদের অন্যায় সুবিধা দেইনি-দেবোনা। আল্লাহ্ র রহমতে কোনো অন্যায়কারী আমার কোনো ক্ষতি করতে পারবেনা। জেলা জজ মিজান উদ্দিন এসব কারণে এরফানকে পছন্দ করেন না। এরফান সম্পর্কে সহকর্মীদের কাছে বলেন- ছেলেটা বেয়াদব । এটা জানতে পেরে একদিন সুযোগ বুঝে জেলাজজ কে একটা হাদীস শুনিয়ে দেন। আড়ালে কোনো ব্যক্তির মিথ্যা সমালোচনা করা গীবত এবং এটা মুনাফেকদের কাজ। কথাটা শুনে জেলাজজ চটে গেলেও এরফানকে কিছু বলতে পারেননি। আসলে মিজান উদ্দিন হবিগঞ্জে প্রচুর অপকর্ম করেছেন এবং করছেন। এসব কারণে তার অধীন সহকর্মীরা তার দৌড় কতটুকু তা জানেন। এরফান সাইদুর রহমানকে বলেন- আমি এসব নিয়ে ভয় পাই না। সিনিয়র জুনিয়র বুঝিনা- যার যা প্রাপ্য তাকে তা‘ ই দেবার যথাসাধ্য চেষ্টা করি । তবে আমি মানুষ। ভুল আমার হতে পারে। কিন্তু আমি জেনে শুনে অন্যায় করিনা। সাইদুর রহমান সম্মতি দেন। গল্পে গল্পে অতি অল্প সময়ে পাঁচ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে পৈল পৌছেঁ যান তারা।
রিক্সা থেকে নেমে বিপিন পাল পাঠাগারে বসেন। এরফান খোঁজ করেন উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ আহমেদুল হক সাহেব এর। সাইদুর রহমান অবাক হন। এরফান বলেন- বিগত সংসদ এবং উপজেলা নির্বাচনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে সৈয়দ আহমেদুল হক এর জনপ্রিয়তা আমি দেখেছি। গবীর মানুষের প্রকৃত প্রতিনিধি মনে হয়েছে তাকে। লোকজনের মুখে জেনেছি এবং বিশ্বাস করেছি – এই অবক্ষয়ের যুগেও নির্বাচনে তার একটি পয়সাও খরচ হয়না। পৈল লাইব্রেরীতে বসে এ্যাডভোকেট লিয়াকত হোসেন চৌধুরীর দেয়া ‘সেইসব জ্যোর্তিময়’ গ্রন্হের কপিতে হাত রাখে এরফান। বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র হবিগঞ্জ প্রকাশ করেছে বইটি । পৈল এ জন্ম নেওয়া বিপিন চন্দ্র পাল এর সংক্ষিপ্ত জীবনী দিয়েই বইটির সূত্রপাত। মেয়ে মঞ্জুমাকে পৈল পাঠাগারের বারান্দায় বসে সেই জীবনী পড়ে শুনান এরফান। মেয়ে মঞ্জুমা এসবের কিছুই বুঝবেনা আজ। কিন্তু তার কচি মনে এটা রেখাপাত করবে। স্বদেশী আন্দোলনের কথা মনে হলে এদেশের মুক্তিযুদ্ধের ছবি ভেসে উঠে এরফানের। সে কারণে নিজের দায়িত্ববোধকে এসময়ের নতুন মুক্তিযুদ্ধ বলে মনে করে সে।
হঠাৎ করে বাহিরে গিয়ে কোনো এক চায়ের দোকান থেকে সৈয়দ আহমেদুল হককে নিয়ে আসেন সাইদুর রহমান। ম্যাজিস্ট্রেট সাহেব চেয়ারম্যান সাহেবের সাথে দেখা করতে চান জেনে এলাকার শত শত মানুষ সেখানে এসে জড়ো হন। তারা কে কি করবে বুঝে উঠতে পারছেনা। লাইব্রেরীর বারান্দায় কুশল বিনিময়ের পর চেয়ারম্যানকে দেখিয়ে মেয়ে মঞ্জুমাকে এরফান বলেন- ‘একজন মানুষ দেখাতে এনেছি তোমাকে – এই দেখো সেই মানুষ।’ চেয়ারম্যান লাজুক হন। আজ রাতে তার এলাকায় থাকতে অনুরোধ করেন। এদিকে দুইঘন্টা সময় পার হয়েছে । এরফান ছটফট করেন। সাইদুর রহমান বুঝতে পারেন। কারণ জিজ্ঞাসা করতেই বলেন- আজ একটা ৩০২ এর আসামী ওয়ান সিক্সটি ফোর করতে এসেছে। আর এক ঘন্টা পর ওর জবানবন্দি রেকর্ড করতে হবে। সাইদুর রহমান এতটুকু বিলম্ব করেন না। এর মধ্যে কোথা থেকে কে যেন মিষ্টি সন্দেশ লুচি সবজি নিয়ে হাজির হন। এরফানের চোখে মুখে বিস্ময়! উপেক্ষা করেন না। খেয়ে সকলের কাছে আবার পৈল আসবেন এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিদায় নেন।
অফিসে পৌছেঁ অর্ডারলী আওয়ালের সাথে অফিস কমপ্লেক্সএর আবাসিক এলাকায় মেয়ে মঞ্জুমাকে পাঠিয়ে দেন। খাস কামড়ায় আসামী জাহাঙ্গীর আসে। তাকে চেয়ারে বসতে দেন। ওয়ান সিক্সটি ফোর এর গুরুত্বপূর্ণ কলামগুলো আবারো পড়ে শুনান এরফান। আসামী জাহাঙ্গীর তার সিদ্ধান্তে অটল থাকলে এবার এরফান তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। সবকিছু শেষ হতে রাত এগারোটা বেজে যায়। এরফান জানে এত রাতে আসামীকে জেলে পাঠানো হলে সে সারারাত না খেয়ে থাকবে। রাত বেশী না হলে জেলারকে ফোন করে খাবারের ব্যবস্থা করা যেতো। আজ সে উপায় নাই। এরফান মানিব্যাগ থেকে একশ টাকা বের করে অর্ডারলী আওয়ালকে ডাকেন। আসামী যা খেতে চায় তা ই এনে দিতে বলেন। টাকাটা হাতে নিয়ে আওয়াল চুপ করে দাড়িয়েঁ থাকে। চোখে মুখে একটা ভয় কাজ করছে । এরফানও বিস্মিত। এরমধ্যে জিআরও তালেব অনুমতি নিয়ে কথাটা বলে।
-স্যার , আসামী জাহাঙ্গীরের মা এসেছে।
-তাতে কি হয়েছে।
– না, স্যার, তার মা এক টিফিনবাটি খাবার এনেছে, আপনার অনুমতি চাইছে।
কথাটা শুনামাত্রই এরফান কোনো রকমে নিজেকে সামলে নেন । তার বুকের ভেতর হু হু করে । খাস কামড়া থেকে বের হয়ে দেখেন অনেক দূরে একজন মহিলা হারিকেন জ্বালানো রিক্সার পাশে চুপ করে দাড়িঁয়ে আছে। সেই মহিলার হাতে একটা ব্যাগ। দৃশ্যটা দেখে বিখ্যাত চলচিত্র‘ এ ব্যালাড অব এ সোলজার’ এর অপেক্ষমান সেই মা এর কথা মনে হয়। আনিসুল হক এর ‘মা’ উপন্যাসে শহীদ আযাদ এর মা এর টিফিন ক্যেরিয়ার ভর্তি ভাত হাতে নিয়ে দাড়িয়েঁ থাকবার দৃশ্য চোখের সামনে ভেসে উঠে। আযাদ এর মা তার ছেলেকে ভাত খাওয়াতে পারেননি। আসামী জাহাঙ্গীরের মা কে কি ফিরিয়ে দেওয়া যায়! বিলম্ব না করে সেই মহিলাকে আসতে বলেন। এজলাস খুলে মা-ছেলেকে বসবার ব্যবস্থা করে দেন। নিজের রুম থেকে একটা থালা এবং গ্লাস পাঠিয়ে দেন। মা পরম যত্নে ব্যাগ থেকে টিফিনবাটি বের করে। দুইদিন ছেলে ভাত খায়নি। এই দুইদিন তার কাছে দুইশ বছর মনে হয়েছে। সে নিজেও এই দুইদিন ভাত খায়নি। ছেলেকে এভাবে খাওয়াতে পারবে এটা তার কল্পনাতেও আসেনি। এলাকার সবাই বলেছে- গিয়ে কোনো লাভ হবেনা। উকিল সাহেবরা বলেছে – ম্যাজিস্ট্রেট এরফান সাহেব, না – উনি আইনের বাইরে এভাবে তোমাকে ভাত দেবার অনুমতি দেবেন না। জেলের ভাত খেতে হবে তোমার ছেলের। মা এর মন কোনো বাঁধা মানেনি। আল্লাহ্ কে স্মরণ করে মা প্রার্থনা করেছে- হে আল্লাহ্ তুমি মালিক- তুমি এই খাবারের বন্দোবস্ত করে দাও। মা এর প্রার্থনা অব্যর্থ। ছেলেকে কাছে পেয়ে মা এর খুশীর সীমা নাই। পরম তৃপ্তিতে ছেলের মুখে হাত বুলায় মা। ছেলের চোখে জল। আঁচল দিয়ে সে জল মুছে দেয় মা। থালায় ভাত নিয়ে নিজ হাতে ছেলেকে খাইয়ে দেন। খাস কামড়ার ভেতর থেকে পর্দার আড়ালে দাড়িয়েঁ এরফান এই দৃশ্য দেখে বাথরুমে ঢুকে জোরে ট্যাপ ছেড়ে দেন। বাতলিতে পানির শব্দ শুরু হলে জোরে জোরে কাঁদতে থাকেন। তার মতো শক্ত মনের মানুষ আজ মা এর এমন ভালবাসা দেখে নির্বাক। একসময় খাস কামড়ায় বসে ভাবতে থাকেন ওয়ান সিক্সটি ফোরের কথা। আসামী বলেছে সে নিজে খুন করেছে। কেন খুন করেছে একথা জিজ্ঞাসা করা যায়না। আসামী জাহাঙ্গীর শুধু এটুকু বলেছে- স্যার, পৃথিবীতে এমন কিছু বিষয় আছে যা কাউকে বলা যায়না। আমি জানি আপনি আমাকে বাঁচাতে চাইবেন। কিন্তু আমি মিথ্যা বলবোনা। হুমায়ুন আহমেদ এর নন্দিত নরকে উপন্যাসে এমন এক চরিত্রের সন্ধান পেয়েছে এরফান। যার জন্য আসামী জাহাঙ্গীরকে আর কিছু বলেনি। মা জানে ছেলে মিথ্যা বলবেনা। ছেলে দোষ স্বীকার করেছে জানতে পেরে মা খুশী। মা ছেলেকে দোয়া করে – এখন আমি মরেও শান্তি পাবো। তুই সত্য কথা বলেছিস বলে।
পৃথিবীতে এমন দৃশ্য এরফান আর কোনোদিন দেখতে পাবে কি না তা সে নিজেও জানে না। এরফান এর বিচারে আসামী জাহাঙ্গীর নিরপরাধ। কারণ অপরাধীরা বাঁচতে চায়। আইনের ফাঁক দিয়ে পালাতে চায়। এদেশে প্রকৃত অপরাধীদের বিচার করা যায় না। প্রকৃতির বিচারে তারা বিনাশ হয়েছে । এমন সময় এরফানের ফোন বেজে উঠে। ঘড়ির কাঁটা রাত বারোটা ছুঁই ছুঁই করছে। কলার আইডি দেখে ফোন ধরেন না। নথী এনে অর্ন্তবর্তীকালীন হাজতী পরওয়ানাতে স্বাক্ষর করেন। আদেশ নামায় লেখেন- আসামী জাহাঙ্গীরকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হউক। এমন আদেশ লিখতে এরফানের আজ ভীষণ কষ্ট হল। একসময় কাউকে কিছু বুঝতে না দিয়ে রুমাল দিয়ে চোখ ঢেকে নিরবে খাস কামড়া থেকে এরফান বের হয়ে যান।
লেখকঃ জেলা ও দায়রা জজ (গল্পটা সত্য ঘটনা অবলম্বনে লেখা, কানাডা থেকে প্রকাশিত একটি গ্রন্থে প্রকাশ হবার ফলে আজ তা স্যারের ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে)]