শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ পূর্বাহ্ন
আপনারা নিশ্চয়ই আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট এর নাম শুনে থাকবেন। প্রায় আড়াই হাজার বছর পূর্বে গ্রীসের পাশে জন্ম নেন অসাধারণ নেতৃত্বগুণে বলিষ্ঠ এক মানব। যিনি জয় করে নেন অর্ধেক পৃথিবী। ইতিহাসের সোনালি পাতায় নিজের নাম অঙ্কিত করেন অবিস্মরণীয় কীর্তিতে। মানুষ যার নামের সঙ্গে মহান শব্দটি যোগ করতে কুন্ঠাবোধ করে না। তিনি আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট।
মৃত্যু শয্যায় মহাবীর আলেকজান্ডার তার সেনাপতিদের ডেকে বলেছিলেন,’আমার মৃত্যুও পর আমার তিনটা ইচ্ছা তোমরা পূরণ করবে। আমার প্রথম অভিপ্রায় হচ্ছে, শুধু আমার চিকিৎসকরাই আমার কফিন বহন করবেন। আমার ২য় অভিপ্রায় হচ্ছে, আমার কফিন যে পথ দিয়ে গোরস্থানে যাবে সেই পথে আমার অর্জিত সোনা ও রুপা ছড়িয়ে থাকবে। আর শেষ অভিপ্রায় হচ্ছে, কফিন বহনের সময় আমার দুই হাত কফিনের বাইরে ঝুলে থাকবে।’ তার সেনাপতি তখন তাঁকে এই বিচিত্র অভিপ্রায় কেন করছেন প্রশ্ন করলেন। দীর্ঘ শ্বাস গ্রহণ করে আলেকজান্ডার বললেন, ‘আমি দুনিয়ার সামনে তিনটি শিক্ষা রেখে যেতে চাই।
আমার চিকিৎসকদের কফিন বহন করতে এই কারনে বলেছি যে, যাতে লোকে অনুধাবন করতে পারে যে চিকিৎসকেরা কোন মানুষকে সারিয়ে তুলতে পারে না। তারা ক্ষমতাহীন আর মৃত্যুর থাবা থেকে রক্ষা করতে অক্ষম। গোরস্থানের পথে সোনা-দানা ছড়িয়ে রাখতে বলেছি মানুষকে এটা বোঝানোর জন্য যে সোনা-দানার একটা কণাও আমার সঙ্গে যাবে না। এগুলো পাওয়ার জন্য সারাটা জীবন ব্যয় করেছি কিন্তু নিজের সঙ্গে কিছুই নিয়ে যেতে পারছি না। মানুষ বুঝুক এসবের পেছনে ছোটা সময়ের অপচয়। কফিনের বাইরে আমার হাত ছড়িয়ে রাখতে বলেছি মানুষকে এটা জানাতে খালি হাতেই পৃথিবী থেকে চলে যাচ্ছি।
পাঠক! আমি লেখাটির প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি। এক চালাক ব্যক্তি কয়েকজন লোকের উদ্দেশ্যে একটি মজার জোকস বললেন। এটি শুনে সবাই পাগলের মতো হাসতে লাগলো। কিছুক্ষন পর লোকটি সবার উদ্দেশ্যে আবার সেই একই জোকসটি বললেন। এবারও তাদের মধ্যে কয়েকজন লোক হাসলেন ও বাঁকীদের আর হাসি আসলো না। এরপর সেই চালাক ব্যক্তি একই জোকস বার বার বলতে লাগলেন। শেষে এমন অবস্থা হলো সে বার বার একই জোকস শুনে হাসার মতো আর কেউ থাকলো না। এবার তিনি মুচকি হাসলেন এবং সবার উদ্দেশ্যে বললেন দেখো, তোমরা একই জোকস শুনে বার বার হাসতে পারো না। তাহলে কেন তোমরা জীবনে পাওয়া কোন একটা কষ্টের জন্যে দিনের দিন কাঁদতে থাকো। জীবন তো একটাই। আসুন জীবনকে উপলব্ধি করি।