শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৫ অপরাহ্ন
সৈয়দ আলী আহসান:
প্রথমেই আসি নিজস্ব টাকা দিয়ে মিটার ক্রয় করা সত্ত্বেও প্রতি মাসে আমদের কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে মিটার চার্জ। অথচ আমাদের নিজের জায়গায় বিদ্যুৎ খুটি লাগিয়ে এরা যে বছরের পর বছর ব্যবসা করে যাচ্ছে সেটার চার্জ কিন্তু আমরা পাচ্ছিনা।এতে আমাদের জমির ক্ষতি হচ্ছে যাদের ফসলি জমি তাদেরও ব্যপক ক্ষতি হচ্ছে।ক্ষতিটা না হয় মেনেই নিলাম যেহেতু এটা আমাদের স্বার্থেই।কিন্তু ওরাতো আমাদের দিকটা বিবেচনা করছেনা.!!
তারপর আসি বিদ্যুৎ বিল প্রসঙ্গেঃ
১২১ টাকা বিলের মধ্যে ৪৬ টাকা ই অতিরিক্ত। ডিমান্ড চার্জ৩০টাকা + মিটার ভাড়া১০ টাকা + ভ্যাট ৬ টাকা। ৩০+১০+৬=৪৬ টাকা। এখন আসি আলোচনায়,বিদ্যুৎ এটা একটা কম্পানি, তাদের পন্য হচ্ছে বিদ্যুৎ। সুতরাং এই বিদ্যুৎ গ্রাহকের কাছে কিভাবে পৌছাবে? সেটা তারা বুঝবে। কোথাও নষ্ট হলে তারা মেরামত করবে কিন্তু তার চার্জ প্রতি মাসে জনগণের কাছ থেকে ৩০ টাকা করে নেওয়া হয় কেন? আবার প্রতিটি মিটার জনগণের টাকা দিয়ে কেনা, তাহলে প্রতি মাসে ১০ টাকা করে মিটার ভাড়া নেওয়া হয় কেন?
বলছি খোকসা পল্লী বিদ্যুৎ এর ডাকাতির কথাঃ
খোকসা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মিটার রিডিং এর লোকদের বাড়ি বাড়ি মিটার রিডিং না দেখে তাদের মতো করে মনগড়া বিদ্যুৎ বিল করেছে। থানা পাড়ার এক বাসিন্দার প্রতি মাসে বিল আসে ৬০০/৮০০ টাকা। কিন্তু করোনার এপ্রিল/মে মাসে বিদ্যুৎ বিল এসেছে ১৭০০ টাকা। বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার পর প্রথমে খুশি হলে ৮ দিন পর জুন মাসের বিদ্যুৎ বিল এসেছে ৩৬০০ টাকা। যা দেখে মাথায় হাত ঐ বাসিন্দার। জানিপুরে খোকন মিয়া প্রতিমাসে বিল আসে তার ৭০০থেকে ১০০০ কিন্তু গত মে মাসে বিল এসেছে ৩০০০, খোকন মিয়া পল্লী বিদ্যুতের অফিসে গেলে কর্মকর্তারা জানিয়ে দেয় এই মাসের বিল দিয়ে দেন আগামীতে এডজাস্ট করে দেব।
কি ভাবে সম্ভব এই বিদ্যুৎ বিল?
নতুন সংযোগে দুর্নীতিঃ
বলছি পল্লীবিদ্যুৎ-এর সকল জোনাল এবং সাব- জোনাল আফিস এর কথা। লক্ষনীয় যে, প্রায় সব জোনাল এবং সাব জোনাল অফিসে গড়ে ওঠেছে এক বিশাল দালাল চক্র।দুঃখের বিষয় যে অফিসগুলোতে দালাল ব্যাতিত সাধারণ জনগনের কোন আবেদন গ্রহন করা হয় না। জনসাধারনের কোন সেবা পেতে হলে দালালদের নিকট সরনাপন্ন হতে হয়।যেখানে একটি আবাসিক নতুন সংযোগ নিতে গেলে সমস্ত খরচ সহ বাংলাদেশ সরকারের বিধি অনুযায়ী খরচ হবার কথা ৬১৫/- টাকা, কিন্তু খরচ হয় ৫-৬ হাজার টাকা।
জনসাধারনের উদ্দেশ্য কিছু কথাঃ
পরিশেষে জনসাধরনের উদ্দেশ্যে বলতে চাই যদি এখনও আমরা নিজ নিজ জায়গা থেকে সেচ্চার না হই তাহলে এভাবেই প্রতিনিয়ত ডাকাতি করে যাবে এই পল্লীবিদ্যুত।সেই সাথে দালালরা তাদের দালালি করেই যাবে ক্ষতি হবে আপনার আমার।আসুন পল্লীবিদ্যুতের বিরুদ্ধে এবং বিভিন্ন সাবজোনাল আফিসের বিল ও দালালদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াই তাহলেই এই ভয়াবহ দুর্নীতি দমন করা সম্ভব বলে আমি মনে করি।
লেখকঃ রাজনীতিক ও লেখক।