শনিবার, ২৭ Jul ২০২৪, ০৫:২৩ পূর্বাহ্ন

ঘোষনা :
  সম্পূর্ণ আইন বিষয়ক  দেশের প্রথম দৈনিক পত্রিকা   দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল এর  পক্ষ থেকে সবাইকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা   । 
করোনা রোগীদের নিয়ে চলছে কুষ্টিয়া হাসপাতালে তামাশা!

করোনা রোগীদের নিয়ে চলছে কুষ্টিয়া হাসপাতালে তামাশা!

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশনে ধুঁকে ধুঁকে মরছে রোগী। গন্ধ ছড়ানোর পর বের করা হচ্ছে লাশ। এভাবে নানা অনিয়ম আর অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে চলছে এ হাসপাতাল। এ জেলায় করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এ পর্যন্ত করোনায় মারা গেছে ১৯ জন। এছাড়া করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে আরো ১৯ জন। এখন পর্যন্ত বহিরাগত বাদে মোট আক্রান্ত সাড়ে ৮৫০ জন।

এদিকে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার বলছেন, লাশের দায়িত্ব আমাদের না। রোগীর পরিবার লাশ নিতে চাচ্ছেন না। এদিকে রোগীর সার্বক্ষণিক চিকিৎসা দেয়ার জন্য কোন ডাক্তার, নার্স এমন কি ওয়ার্ড বয় পর্যন্ত নেই বলে অভিযোগ করছেন ভুক্তভোগী রোগীরা। এ হাসপাতলে ভর্তি হওয়া অসংখ্য রোগীরা অভিযোগ করে জানান, কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আওতায় হাসপাতাল সংলগ্ন যে ভবনে আইসোলেশন সেন্টার করা হয়েছে সেখানে আসলে কোন চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না। ভর্তির পর জেলখানায় আটকের মতো আটকিয়ে যাচ্ছেন। তারপর ধুকে ধুকে মৃত্যু হলে মৃত্যুর পর গন্ধ ছড়ালে লাশ সেখান থেকে বের করা হচ্ছে। আইসোলেশনে যারা মারা গেছেন তার আত্মীয়রাও সঠিক ভাবে বলতে পারেন না কখন সে মারা গেছেন। করোনা ইউনিটের স্বেচ্ছাসেবকরা যখন জানতে পারছেন কেউ মারা গেছেন তখন তারা পরিবারকে খবর দিচ্ছেন।

আইসোলেশনে থাকা বিআরবির কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন জুয়েলের মৃত্যুর একদিন পর পরিবারের মানুষ জানতে পারেন জুয়েল মারা গেছেন। গত মঙ্গলবার বিকেলে একজন মারা গেছেন। লাশ বুধবার দুপুর ১২ টা পর্যন্ত আইসোলেশনে পড়ে থাকে। নিহত ব্যক্তির নাম গোলাম মওলা। তিনি কুষ্টিয়া শহরের কমলাপুরের বাসিন্দা। স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে তার পরিবারের লোকজন মৃত্যুর কথা জানতে পারেন। বর্তমানে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন ৩৩ জন। আইসোলেশন ওয়ার্ডে দায়িত্বে রয়েছেন ৭৫ জন ডাক্তার। কিন্তু সেটি কাগজ কলমে। রোগীরা অভিযোগ করেন, নিয়মিত ডাক্তার আসেন না। মাঝে মাঝে ডাক্তারদের দেখা মেলে। স্বেচ্ছাসেবকরা খাবার দিয়ে যান। রোগীর অক্সিজেন প্রয়োজন হলে অক্সিজেন দেয়ার জন্যও কাউকে পাওয়া যায় না। বিনা চিকিৎসায় ধুকে ধুকে মরছে রোগীরা।

এ বিষয় নিয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ তাপস কুমার সরকার বলেন, হাসপাতালের বাইরে একটি বিল্ডিং এ আইসোলেশন সেন্টার করা হয়েছে। সেখানে বেডের সংখ্যা ৪০। কিন্তু রোগীর চাপ অনেক বেশী। তাছাড়া ভবনটি হাসপাতাল হওয়ার মতো নয়। ডাক্তার নার্স এবং ওয়ার্ড বয়দের সার্বক্ষণিক থাকার জন্য কোন ব্যবস্থা নেই। ফলে চিকিৎসায় কিছুটা  বিচ্যুতি হচ্ছে।

এই সংবাদ টি সবার সাথে শেয়ার করুন




দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।  © All rights reserved © 2018 dainikinternational.com
Design & Developed BY Anamul Rasel