শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৮ অপরাহ্ন

ঘোষনা :
  সম্পূর্ণ আইন বিষয়ক  দেশের প্রথম দৈনিক পত্রিকা   দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল এর  পক্ষ থেকে সবাইকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা   । 
সংবাদ শিরোনাম :
ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাবে যা করণীয় জমি আপনার, দখল অন্যের! কী করবেন? রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ইস্যুতে সংবিধান, আইনী নৈরাজ্য ও অতীত ইতিহাস! শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র নিয়ে রাষ্ট্রপতির মিথ্যাচার বনাম সাংবিধানিক সমাধান! সহায় সম্পত্তি পুণ্যের কাজে ওয়াক্ফ গঠন ও প্রাসঙ্গিকতা! শেকড়ের সন্ধানে সাঁইজির ধামেঃ লালন কি জাত সংসারে— রক্তাক্ত মাহমুদুর রহমানের কুষ্টিয়ায় আগমন বনাম দুধের মাছিদের আনাগোনা! জনপ্রশাসন, জেলা প্রশাসক ও স্যার সম্বোধন কতটা সংবিধান ও আইনসম্মত! ক্রেতা ঠকে গেলে বিক্রেতার বিরুদ্ধে যত আইনগত প্রতিকার! আইনে জামিন চর্চা বনাম বিচারকের পদত্যাগের দাবীতে আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ!
নীরবে নিঃশব্দে কাজ করে যেতে আমি অধিক স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি

নীরবে নিঃশব্দে কাজ করে যেতে আমি অধিক স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি

 

প্রফেসর ড. সেলিম তোহাঃ

আগামীকাল ২১ আগস্ট কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার হিসেবে আমার দায়িত্ব পালনের মেয়াদকাল শেষ হতে যাচ্ছে। আমার অতি পরিচিতজনেরা জানেন আমি সবসময়ই প্রচার বিমুখ একজন মানুষ। নীরবে নিঃশব্দে কাজ করে যেতে আমি অধিক স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।

আমার মতো একজন নগন্য শিক্ষককে সরকার যে মর্যাদা দিয়েছেন, মূল্যায়ণ করেছেন তাতেই আমি সীমাহীন ধন্য, কৃতজ্ঞ এবং পরিপূর্ণ রুপে সন্তুষ্ট। মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাগার এবং সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণের যে গুরু দায়িত্ব আমার উপর অর্পণ করেছিলেন তা আমি আমার সাধ্যের শেষ বিন্দু দিয়ে আন্তরিকতার সাথে নিবেদিতপ্রাণ হয়ে সততা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করেছি।
যা আমার দায়িত্ব এবং কর্তব্য ছিল তা আমি আমার গভীর দেশপ্রেম আর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি অগাধ ভালোবাসা নিয়ে সম্পন্ন করেছি।

আমি কাজ করি আমার আনন্দ নিয়ে। প্রতিটি কাজের মূল্যায়ন আমার নিজের কাছে আমার বিবেকের কাছে।
মাননীয় উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্য সহ আমার সকল সহকর্মীদের সাথে কাজ করতে পেরে আমি তৃপ্ত, খুশী এবং আনন্দিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়ন কর্মকান্ডে আমার ভূমিকার সবাই জীবন্ত সাক্ষী।

আমার কাজে আমার দায়িত্ব পালনে আমি নিজে তৃপ্ত হলেই আমার খুশী আমার আনন্দ। জন্মেছি মরে যাবো – মাঝখানে কোন কৃতিত্ব কোন কীর্তি রেখে যেতে পারলাম কিনা সেটাই বিবেচ্য।

আমি যা করেছি তা সংশ্লিষ্ট সকলেই দেখেছেন। তাছাড়া সরকারের নিজস্ব সিসিটিভি ক্যামেরা সমূহ সব সময়ই আমাকে পর্যবেক্ষন করেছে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার পর্যবেক্ষণে আমি আছি-সেটা মনে রেখেই অবিরাম পথচলার চেষ্টা করেছি।
সততা ও ন্যায়ের প্রশ্নে কোনদিন আপোষ করিনি এবং ভবিষ্যতেও করবোনা ইনশাআল্লাহ।

আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি পরম করুনাময় সদয় হলে সদাশয় সরকারের সেই সকল সিসি ক্যামেরার সারমর্ম আমাকে একদিন অবশ্যই মূল্যায়ণ করবে।মনে মনে আমি সবসময়ই তৃপ্ত থাকি এই ভেবে যে, পরম করুনাময় আমাকে যেটুকু দায়িত্ব পালনের সুযোগ দিয়েছেন তাতেই আমি সীমাহীন ধন্য। যতটুকু পেয়েছি সেটারই আমি যোগ্য ছিলামনা এটা ভেবেই পথচলি।
কাজ করি মনের আনন্দে। আমার মূল্যায়ণ সেদিনই যথার্থ হবে যেদিন আমি থাকবোনা।

 

 

 

 

 

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক হিসেবে আমার মূল মূল্যায়ণ আমার অগুনীত শিক্ষার্থীদের কাছে। আমার মূল পরিচয় আমি শিক্ষক। শিক্ষক হিসেবে আমি প্রতিদিনই তাদের কাছে পরীক্ষিত হচ্ছি – এটাই ভেবে আমি সদা জাগ্রত থাকি। সেটাই আমার নিত্য আনন্দ আর ভালোলাগা এবং আনন্দময় ভালোবাসার গভীর উপলব্ধি এবং অনুভূতি।
সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।

লেখকঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার, সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও কলাম লেখক।

এই সংবাদ টি সবার সাথে শেয়ার করুন




দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।  © All rights reserved © 2018 dainikinternational.com
Design & Developed BY Anamul Rasel