শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৭ অপরাহ্ন

ঘোষনা :
  সম্পূর্ণ আইন বিষয়ক  দেশের প্রথম দৈনিক পত্রিকা   দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল এর  পক্ষ থেকে সবাইকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা   । 
সংবাদ শিরোনাম :
ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাবে যা করণীয় জমি আপনার, দখল অন্যের! কী করবেন? রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ইস্যুতে সংবিধান, আইনী নৈরাজ্য ও অতীত ইতিহাস! শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র নিয়ে রাষ্ট্রপতির মিথ্যাচার বনাম সাংবিধানিক সমাধান! সহায় সম্পত্তি পুণ্যের কাজে ওয়াক্ফ গঠন ও প্রাসঙ্গিকতা! শেকড়ের সন্ধানে সাঁইজির ধামেঃ লালন কি জাত সংসারে— রক্তাক্ত মাহমুদুর রহমানের কুষ্টিয়ায় আগমন বনাম দুধের মাছিদের আনাগোনা! জনপ্রশাসন, জেলা প্রশাসক ও স্যার সম্বোধন কতটা সংবিধান ও আইনসম্মত! ক্রেতা ঠকে গেলে বিক্রেতার বিরুদ্ধে যত আইনগত প্রতিকার! আইনে জামিন চর্চা বনাম বিচারকের পদত্যাগের দাবীতে আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ!
খোকসার সূর্য সন্তান বীর মাহবুব রক্ত দিয়ে রক্ষা করে গেছেন শেখ হাসিনাকে

খোকসার সূর্য সন্তান বীর মাহবুব রক্ত দিয়ে রক্ষা করে গেছেন শেখ হাসিনাকে

 

সৈয়দ আলী আহসান, খোকসা থেকেঃ  আজ ভয়াল ২১শে আগষ্ট, ২০০৪ সালে শোকাবহ আগষ্ট মাসের এই দিনে জাতির জনকের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্য এবং আওয়ামীলীগ সহ এই জাতিকে নেতৃত্ব শূন্য করার জন্য ঢাকায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউ এ আওয়ামীলীগের জনসভায় তৎকালীন জোট সরকারের সহায়তায় বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলা করে ২৪ জন নেতা কর্মিকে হত্যা করে।

এর মধ্যে খোকসার ফুলবাড়িয়া গ্রামের কৃতিসন্তান মাহবুবুর রশিদ জননেত্রী শেখ হাসিনার দেহরক্ষী ছিলেন,সেদিন তিনিও ঐ বর্বরোচিত হামলায় মারা যান। ২১শে আগষ্টের এই দিনে প্রতিবছরের ন্যায়,পালন করি।
২১শে আগষ্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় নিহিত সকল শহীদের প্রতি রইলো বিনম্র শ্রদ্ধা।

২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে যখন গ্রেনেডের তাণ্ডব তখন শেখ হাসিনাকে নিরাপদে গাড়িতে তুলে দিয়ে ঘাতকের বুলেটবিদ্ধ হয়ে রাজপথে লুটিয়ে পড়েন বিশ্বস্ত দেহরক্ষী মাহবুব।নিভে যায় তার জীবন প্রদীপ।

 

সেদিনের সেই বুলেটটি দেহরক্ষী মাহবুবকে স্পর্শ না করলে কেড়ে নিতে পারত বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর দেহরক্ষী হিসেবে মাহবুব যোগদান করেন ২০০২ সালের অক্টোবর মাসে। এর আগে তিনি ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এক নির্ভীক সেনা, একজন ল্যান্স কর্পোরাল। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট মাহবুবের ছুটি ছিল। তারপরও জনসভায় যোগ দিতে ঢাকার বাসা থেকে দুপুরের খাবার খেয়ে হাজির হন সেখানে। বিকেল ৫টার কিছু সময় পর শেখ হাসিনার ভাষণ শুরু হয়। ঠিক এমন সময় জনসভার উপরে পরতে থাকে একের পর এক গ্রেনেড।

গ্রেনেড হামলায় ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা তার বুলেট প্রুফ গাড়ির দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। মাহবুব তাকে গাড়িতে প্রবেশ করতে অনুরোধ জানান। কিন্তু শেখ হাসিনা মাহবুবকে চিৎকার করে বলে,‘না আমি যাবো না, ওরা মারে আমাকে মারুক।’ নেত্রীর সেই কথায় কান না দিয়ে মাহবুব বুক দিয়ে আগলে গাড়ির মধ্যে তাকে ঠেলে দেন। আর ঠিক এ সময় ঘাতকের একটি বুলেট তার মাথার পেছন দিয়ে প্রবেশ করে মুখ দিয়ে বেরিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে আরো কয়েকটি গুলি তার বুককে বিদ্ধ করে।সেখানেই পড়ে থাকেন জননেত্রীর দেহরক্ষী মাহবুব। কিছুক্ষণ পর সেখান থেকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু সবচেষ্টা বিফল হয়। ২১ আগস্ট রাতেই মাহবুব মারা যান।

এই সংবাদ টি সবার সাথে শেয়ার করুন




দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।  © All rights reserved © 2018 dainikinternational.com
Design & Developed BY Anamul Rasel