শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০২ পূর্বাহ্ন
সিরাজ প্রামাণিকঃ কুষ্টিয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিচারক নেই প্রায় ৪ মাস ধরে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুন্সী মশিউর রহমান গত নভেম্বর’২০২০ মাসে বদলী হন। এর কয়েকদিন পরেই জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরুপ কুমার গোস্বামী অবসরজনিত কারণে এ পদটি শূণ্য হয়। এরপর প্রায় ১০ বছর ধরে একই ষ্টেশনে বিভিন্ন পদে বিচারক হিসেবে দায়িত্বপালনকারী বর্তমান অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক তৌহিদুল ইসলাম নিজের দায়িত্বের পাশাপশি ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এতে ভোগান্তিতে পড়েন আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীগণ। এ বিচারকের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালনকালে মামলা নিষ্পত্তির সংখ্যা একেবারেই কমে যায়। আইনজীবীরা জানান, বিচারক না থাকায় যেমন মামলা দায়েরে বিলম্ব ঘটছে ঠিক তেমনি মামলা জট সৃষ্টি হচ্ছে। মামলা দায়ের ও নিষ্পত্তির সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে। অবশেষে গতকাল কুষ্টিয়ার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক জনাব হাবিবুল ইসলামকে জেলা ও দায়রা জজ (নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল) পদে পদোন্নতি দিয়ে শূন্য এ আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন। তিনি এ পদোন্নতি পেয়ে নিজের ফেসবুক ষ্ট্যাটাসে লিখেছেন ‘আলহামদুলিল্লাহ, জেলা ও দায়রা জজ (নাঃ ও শিঃ নিঃ দমন ট্রাইঃ) পদে বহু প্রত্যাশিত পদোন্নতি পেলাম। সদাশয় কর্তৃপক্ষের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। পরবর্তী কর্মস্থল কুষ্টিয়া। সবার দোয়া কামনা করছি। জুনিয়র ম্যাজিস্ট্রেটদের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হলাম। খুব ভাল আর নিস্পাপ তারা। তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা এবং শুভ কামনা।’ এদিকে কুষ্টিয়ার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক জনাব হাবিবুল ইসলামের প্রমোশনের সংবাদ ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের নতুন বিচারক পাওয়ায় আইনজীবী, বিচার প্রার্থী ও এর সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আনন্দিত হতে দেখা যায়।