বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:১৫ পূর্বাহ্ন
ষ্টাফ রিপোর্টারঃ সম্প্রতি গত হওয়া জুলাই মাসে কুষ্টিয়ায় করোনা কতটা ভয়ংকর ছিল, তার পরিসংখ্যান রীতিরকম আতকে উঠা মতো। জুলাই মাসে মাত্র ২২ দিনে জেলার দৌলতপুর উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামে ১২ জনের মৃত্যু হয়। এমনকি জেলার করোনা হাসপাতালে গড়ে প্রতিদিন ১২ থেকে ১৩ জন রোগী মারা যেতে থাকে, যা জুন মাসে ছিল ৩ থেকে ৪ জন। কয়েক দিন বাদে টানা দুই মাস ধরে কঠোর বিধিনিষেধ চলে। গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে পড়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়ার পরও ঠেকানো যায়নি করোনার ভয়াবহতা।
জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির দেওয়া জুন মাসের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ওই মাসে ৩০ দিনে করোনা শনাক্ত হয়েছিল ৩ হাজার ৭২ জনের। মারা গেছেন ৯৯ জন। করোনা হাসপাতালে এ সময় রোগীর চাপ সামাল দিতে ২৫ জুন থেকে ২৫০ শয্যার কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালকে করোনা ডেডিকেডেট ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
জুলাই মাসের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ৩১ দিনে জেলায় ৬ হাজার ৩৬৬ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। এর মধ্যে জুনের শনাক্তের তুলনায় দ্বিগুণ রোগী। এ মাসে করোনা পজিটিভ হয়ে মারা যান ৩৪২ রোগী, যা জুন মাসের তিন গুণের বেশি।
এ পর্যন্ত জেলায় ৮১ হাজার ৩৭১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৪ হাজার ৪১৬ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন, মারা গেছেন ৫৫৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১০ হাজার ৭৯৫ জন। ২০০ শয্যার বিপরীতে এই হাসপাতালে গড়ে ২৩০ থেকে ২৫০ রোগী ভর্তি ছিলেন। সর্বোচ্চ ২৮৭ জন রোগীও ভর্তি ছিলেন। জুলাই মাসে কুষ্টিয়ার করোনা হাসপাতালে করোনায় ৩১১ জন ও উপসর্গ নিয়ে ৯৪ জন মারা যান।