রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৯ অপরাহ্ন
ষ্টাফ রিপোর্টারঃ খোকসার শোমসপুর গ্রামের মকুল, তার বোন ফরিদা ইয়াসমিন (পিয়ারী) এবং স্বামী পিন্টু মোল্লা’র মাদক ব্যবসা এখন চরমে। এলাকার উঠতি যুব সমাজ বিপথে পরিচালিত হচ্ছে। প্রতিবাদ করলেই নিকটাত্মীয়দের বিরুদ্ধে হামালা, মামলা ও পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে হয়রানি করে চলেছে। ইতোমধ্যে হয়রানি ও মিথ্যা সংবাদের শিকার হয়েছেন আপন মামা সাবেক টিএন্ডটি কর্মকর্তা হাজী লুৎফর রহমান ও তার দুই শিক্ষিত সন্তান মোস্তফা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান এবং মেহেদী হাসানুর রহমান। তাদের বিরুদ্ধে বসতভিটা দখলের চেষ্টা ও হুমকীর অভিযোগ এনে স্থানীয় কিছু ভূঁইফোড় নিবন্ধনবিহীন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশ করে তা প্রচার করে বেড়াচ্ছে। মোস্তফা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ ধরণের মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার অব্যহত থাকলে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মিথ্যা সংবাদ প্রচারকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করতে বাধ্য হবো। ইতোমধ্যে ভূক্তভোগী পরিবার পত্রিকায় প্রকাশিত সকল সংবাদ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট, বিভ্রান্তিমূলক, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং কুরুচিপূর্ণ আখ্যা দিয়ে চরম প্রতিবাদ জানিয়েছেন। মেহেদী হাসানুর রহমান জানিয়েছেন, মকুল, পিন্টু, পিয়ারী গং আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি দখলে এ ধরণের নাটক সাজিয়ে আদালতে মিথ্যা মামলা মোকদ্দমা ও মিথ্যা সংবাদ প্রকাশে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
মোস্তফা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আমি চাকুরীর সুবাদে ঢাকায় থাকি। আমার অসুস্থ অসুস্থ বাবা-মাকে নিয়ে আমার ছোট ভাই মেহেদী হাসানুর রহমান শোমসপুর গ্রামে স্থায়িভাবে বসবাস করছেন। এ সুযোগে প্রতিপক্ষ মকুল, পিন্টু, পিয়ারী গং বেপরোয়া হয়ে মাদক ব্যবসার পাশাপাশি আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি জোর করে দখলের চেষ্টা অব্যহত রেখেছে।
সরেজমিন জানা যায়, বেপরোয়া সাজেদুর রহমান মুকুল এর বাড়ি কুমারখালী। তার মাতা রুবিনা রহমান ২০১৮ সালের ২৮ মার্চ হাজী লুৎফর রহমানের নিকট থেকে শোমসপুর মৌজার আর. এস ১৫৭৭ দাগের .০৬৫০ একর জমি ক্রয় করেছেন। তখন হাজি মোঃ লুৎফর রহমান গুরুতর অসুস্থ ছিলেন। সেসময় আত্মীয়তার সুবাদে ভুল বুঝিয়ে অসুস্থ মানুষকে রেজিস্ট্রি অফিসে নিয়ে গিয়ে জমি রেজিস্ট্রি করিয়ে নেওয়ার বিষয়ে কুষ্টিয়া আদালতে মামলা চলছে। অথচ মকুল, পিন্টু, পিয়ারী গং প্রকাশ করে বেড়াচ্ছে যে, তাদের জমি দখল করে হাজী লুৎফর রহমান ও তার ছেলেরা জমি দখল করে কলাগাছ লাগিয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যাচার।
ফরিদা ইয়াসমিন (পিয়ারী) এর স্বামী পিন্টু, তিনি পাবলা জেলার বেড়া অঞ্চলের মানুষ। এলাকায় মাদক ব্যবসায় টিকতে না পেরে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে তিনি শমোসপুর শশুড় বাড়িতে এসে রীতিরকম মদ, গাজা, ফেনসিডিল ও অন্যান্য মাদকদ্রব্যের রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এ কাজে সহযোগিতা করছে স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিন (পিয়ারী) ও সাজেদুর রহমান মকুল। এসব কাজের প্রতিবাদ করলেই চাদা দাবী করছে বলে অভিযোগ আনয়ন করে নানাভাবে হয়রানি করা হয়। এ গ্রুপের মিথ্যাচার ও দৌরাত্ম কমাতে এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।