শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৪:১২ পূর্বাহ্ন

ঘোষনা :
  সম্পূর্ণ আইন বিষয়ক  দেশের প্রথম দৈনিক পত্রিকা   দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল এর  পক্ষ থেকে সবাইকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা   । 
সংবাদ শিরোনাম :
মাতৃভাষা দিবসে কুষ্টিয়া বৃদ্ধাশ্রমে মায়েদের সাথে ইবি’র আল-ফিকহ শিক্ষার্থীদের ব্যতিক্রম আয়োজন

মাতৃভাষা দিবসে কুষ্টিয়া বৃদ্ধাশ্রমে মায়েদের সাথে ইবি’র আল-ফিকহ শিক্ষার্থীদের ব্যতিক্রম আয়োজন

 

আব্দুল আহাদ: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের ২০১৬/২০১৭ সেশন( ১৪তম ব্যাচ) এর পক্ষ থেকে ”মা ও শিশু পূনর্বাসন কেন্দ্র’’ কুষ্টিয়াতে আশ্রিত অসহায় মা’দের সম্মানে প্রীতিভোজ, উপহার বিতরণ ও মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করা হয়। শিক্ষার্থীরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বৃদ্ধাশ্রমের মা’দের সাথে সময় কাটায়। শিক্ষার্থীরা সকাল এগারোটায় মায়েদেরকে শাড়ি ও জুতা উপহার প্রদান করে। মা’দের সাথে নিয়ে রান্নাবান্না শেষ একত্রে খাওয়া দাওয়া করে। দুপুরের পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে মা’দের মধ্যে অনেকেই কথা বলে। শিক্ষার্থীরা মা’দের কথায় আবেগে আপ্লুত হয়। মায়েরাও শিক্ষার্থীদের পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন।

 

অনুষ্ঠান বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক ও আল-ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের ১৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মুহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, গত ৩ তারিখ বন্ধুদের নিয়ে কুষ্টিয়া শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এই বৃদ্ধাশ্রমে আসলাম। এখানে আসার আগে পুস্তক, পত্রিকা ও ভিডিও ক্লিপ ব্যতিত তেমন কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না বৃদ্ধাশ্রমের বিষয়ে। কিন্তু সেদিন এক নতুন অভিজ্ঞতা যোগ হলো। মলিন মুখ আর বয়সের ছাপে একেক জন মা ঠিক মতো চলতে ফিরতে পারে না। পারে না নিজের কাজ গুলো ঠিক মতো করতে। কয়েকজন কে তো দেখলাম ৩ থেকে ৪ বার স্ট্রোক পর্যন্ত করেছে। তারপর ও তারা নিজের বসবাসের জায়গা, ভিটে মাটি ছেড়ে পরে আছে এক অচেনা আশ্রমে। যেখানে ৮০ বছরের সম্পর্কের মানুষগুলোর কেউ নেই। ৯০ বছর বয়সে পেয়েছে তাদের বয়সেরই কিছু নতুন সঙ্গী। তাদের এহেন অবস্থা মনে দাগ কাটলো। তারপর বন্ধুদের নিয়ে আলোচনায় বসলাম কিছু করা যায় কি না? বন্ধু মুহাম্মদ ইয়াসিন আরাফাত ত্বোহার পরামর্শে আজ আমরা সকল বন্ধুর সমন্বয়ে বৃদ্ধ মায়েদের জন্য যেটুকু আয়োজন করতে পেরেছি তাতে নিজেকে অনেক ধন্য মনে হচ্ছে। সমাজের বিত্তশালী সকলের প্রতি আহবান থাকবে যেন অসহায় এই মা’দের পাশে দাড়িয়ে তাদের সর্বাত্তক সহযোগিতা প্রদান করেন। আর আমার ১৪ ব্যাচের সকল বন্ধুদের প্রতি আমি চিরকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

১৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মু.সাদেকুল ইসলাম বলেন, আমরা সমাজে আজ অর্থ সম্পত্তির মোহে পরে নিজেদের রক্তের সম্পর্কের মানুষগুলোকে খুব সহজেই ভুলে যাই। মানুষ হারিয়ে ফেলছে মনুষত্ববোধ। যার জন্যই আজ বৃদ্ধাশ্রমের মত আশ্রায়ন প্রতিষ্ঠা করতে হচ্ছে। সকলের প্রতি আমার আহ্বান থাকবে যেন কেউ তার মা বাবার প্রতি দূরহ কোন আচরণ না করে। সবাই যেন ভালোবাসার চাদরে ঢেকে রাখে তাদের মা-বাবাকে।

মা ও শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রের সম্মানিত চেয়ারম্যান মানবতাবাদী ইফতেখার ইসলাম মিঠু ও সম্মানিত পরিচালক জনাবা আফরোজা ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের বিজ্ঞ আইনজীবী , বহু আইনগ্রন্থ প্রণেতা জনাব সিরাজুল ইসলাম প্রামাণিক। এছাড়াও ১৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

এই সংবাদ টি সবার সাথে শেয়ার করুন




দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।  © All rights reserved © 2018 dainikinternational.com
Design & Developed BY Anamul Rasel