বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩৯ পূর্বাহ্ন

ঘোষনা :
  সম্পূর্ণ আইন বিষয়ক  দেশের প্রথম দৈনিক পত্রিকা   দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল এর  পক্ষ থেকে সবাইকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা   । 
সংবাদ শিরোনাম :
রক্তাক্ত মাহমুদুর রহমানের কুষ্টিয়ায় আগমন বনাম দুধের মাছিদের আনাগোনা! জনপ্রশাসন, জেলা প্রশাসক ও স্যার সম্বোধন কতটা সংবিধান ও আইনসম্মত! ক্রেতা ঠকে গেলে বিক্রেতার বিরুদ্ধে যত আইনগত প্রতিকার! আইনে জামিন চর্চা বনাম বিচারকের পদত্যাগের দাবীতে আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ! নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের থেকেই ভিসি নিয়োগের অনুরোধ ইবি শিক্ষকদের সংবিধান সংস্কারঃ সংশোধন না-কি পুনর্লিখন?  সেনাবাহিনীর বিচারিক ক্ষমতাঃ আইন কি বলে? ভূমি অধিগ্রহণে কোনো প্রশ্ন উত্থাপিত হলে কী করবেন? ইবির জিওগ্রাফী বিভাগ: শিক্ষার্থীদের কাছে দরখাস্ত দিয়ে পদত্যাগ করলেন সভাপতি যুগে যুগে দালাল সাংবাদিকদের করুন পরিণতি বনাম কিছু শিক্ষনীয় গল্প!
কিভাবে বুঝবেন আপনার ডেংগু হয়েছে?

কিভাবে বুঝবেন আপনার ডেংগু হয়েছে?

ডা: আব্দুল্লাহ আল মামুন
আপনার জ্বর টা যদি  হঠাৎ করে বেড়ে যায় অর্থাৎ ধরুন আজ আপনার দুপুরে জ্বর আসছে, রাতেই দেখা গেলো আপনার জ্বর  বেড়ে ১০২-১০৪ ডিগ্রি হয়েছে। এই ধরনের জ্বর কে বলা হয়” ভাইরাল ফিভার”।
যদি এই তীব্র জ্বরের সাথে ঠান্ডা, কাশি,গলা ব্যাথা থাকে,  তবে এই গ্রুপকে বলা হয় ‘ ইনফ্লুয়েঞ্জা লাইক ইলনেস”।
আর যদি এই তীব্র জ্বরের সাথে শরীর ব্যাথা,  চোখে পেছনে ব্যাথা, তীব্র মাথা ব্যাথা থাকে,  তবে এই গ্রুপের রুগীকে আমরা ডেংগু জ্বর হিসেবে সন্দেহ করতে পারি।
ডেংগু রোগীর সাধারণত প্রথম ৩ দিন প্রচন্ড জ্বর থাকে। তবে ডেংগু রোগী খারাপ অবস্থার দিকে যায় সাধারণত ৩-৭ দিনের মধ্যে এবং যাদের পূর্বে এক বা একাধিক বার ডেংগু হয়েছে।

কীভাবে বুঝবেন, ডেংগু রোগী খারাপ হবে?
১. যদি রোগীর পেটে ব্যাথা থাকে।
২. যদি রোগী শেষ ২৪ ঘন্টায় তিন বা ততোধিক বমি করে।
৩. যদি রোগীর শরীরের যে কোন জায়গা থেকে রক্তক্ষরণ হয়( দাতের গোড়া দিয়ে, নাক দিয়ে, বমির সাথে, পায়খানার সাথে ইত্যাদি)।
৪.বুকে এবং পেটে যদি পানি চলে আছে।
৫. খুব দ্রুত যদি প্লাটিলেট কাউন্ট কমে যায় এবং খুব দ্রুত যদি হেমাটোক্রীট কাউন্ট বেড়ে যায়।
উপরোক্ত ডেংগু রোগীগুলোকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফ্লুইড ম্যানেজমেন্ট না করলে তারা” ক্রিটিকাল পর্যায়” চলে যায়।

কোন রুগীকে আমরা ” ক্রিটিকাল ” বলে থাকি?
১.যদি কোন রুগীর বুকে এবং পেটে পানি চলে আসে এবং তার সাথে যদি রোগীর শ্বাস কষ্ট হয়” এই পর্যায় কে বলা হয় ” প্লাজমা লিকেজ”
২.যদি শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় এবং রক্তচাপ কমে যায় ( প্লাস প্রেশার কমে যায়)
৩. যদি কোন  অর্গান ফেইলোর হয়।

যেসব রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা লাগবেঃ
১. বিপদ চিহ্ন যুক্ত রোগী ( উপরে আলোচনা করা হয়েছে)
২. ক্রিটিকাল পর্যায়ের রুগী।
৩. ডেংগু রোগীর যদি আগে থেকে প্রেশার, ডায়বেটিস এই রকম রোগ থেকে থাকে।
৪. ডেংগু রোগী যদি গর্ভবতী হয়ে থাকেন।

ডেংগু সন্দেহ হলে কি পরীক্ষা করাবেন:
১.জ্বরের প্রথম ৩ দিন পর্যন্ত NS1 পরীক্ষার মাধ্যমে ডেংগু সনাক্ত করা সম্ভব।
২. ৩-৭ দিনের মধ্যে Dengue IgM পরীক্ষার মাধ্যমে ডেংগু সনাক্ত করা সম্ভব
৩. পূর্বে ডেংগু হয়েছিলো কিনা তা জানার জন্য ” Dengue IgG পরীক্ষা করা যায়।
৪. তবে সবক্ষেত্রেই “CBC ” পরীক্ষা করা ভালো, এই পরীক্ষার মাধ্যমে প্লাটিলেট কাউন্ট এবং হেমাটোক্রিট কাউন্ট দেখা যায় এবং ডেংগু চিকিৎসার মহাগুরুত্বপূর্ণ ” ফ্লুইড ম্যানেজমেন্ট ” করা সহজ হয়।

লেখকঃ কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্র এর মেডিক্যাল অফিসার।

এই সংবাদ টি সবার সাথে শেয়ার করুন




দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।  © All rights reserved © 2018 dainikinternational.com
Design & Developed BY Anamul Rasel