শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩১ পূর্বাহ্ন
কীভাবে বুঝবেন, ডেংগু রোগী খারাপ হবে?
১. যদি রোগীর পেটে ব্যাথা থাকে।
২. যদি রোগী শেষ ২৪ ঘন্টায় তিন বা ততোধিক বমি করে।
৩. যদি রোগীর শরীরের যে কোন জায়গা থেকে রক্তক্ষরণ হয়( দাতের গোড়া দিয়ে, নাক দিয়ে, বমির সাথে, পায়খানার সাথে ইত্যাদি)।
৪.বুকে এবং পেটে যদি পানি চলে আছে।
৫. খুব দ্রুত যদি প্লাটিলেট কাউন্ট কমে যায় এবং খুব দ্রুত যদি হেমাটোক্রীট কাউন্ট বেড়ে যায়।
উপরোক্ত ডেংগু রোগীগুলোকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফ্লুইড ম্যানেজমেন্ট না করলে তারা” ক্রিটিকাল পর্যায়” চলে যায়।
কোন রুগীকে আমরা ” ক্রিটিকাল ” বলে থাকি?
১.যদি কোন রুগীর বুকে এবং পেটে পানি চলে আসে এবং তার সাথে যদি রোগীর শ্বাস কষ্ট হয়” এই পর্যায় কে বলা হয় ” প্লাজমা লিকেজ”
২.যদি শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় এবং রক্তচাপ কমে যায় ( প্লাস প্রেশার কমে যায়)
৩. যদি কোন অর্গান ফেইলোর হয়।
যেসব রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা লাগবেঃ
১. বিপদ চিহ্ন যুক্ত রোগী ( উপরে আলোচনা করা হয়েছে)
২. ক্রিটিকাল পর্যায়ের রুগী।
৩. ডেংগু রোগীর যদি আগে থেকে প্রেশার, ডায়বেটিস এই রকম রোগ থেকে থাকে।
৪. ডেংগু রোগী যদি গর্ভবতী হয়ে থাকেন।
ডেংগু সন্দেহ হলে কি পরীক্ষা করাবেন:
১.জ্বরের প্রথম ৩ দিন পর্যন্ত NS1 পরীক্ষার মাধ্যমে ডেংগু সনাক্ত করা সম্ভব।
২. ৩-৭ দিনের মধ্যে Dengue IgM পরীক্ষার মাধ্যমে ডেংগু সনাক্ত করা সম্ভব
৩. পূর্বে ডেংগু হয়েছিলো কিনা তা জানার জন্য ” Dengue IgG পরীক্ষা করা যায়।
৪. তবে সবক্ষেত্রেই “CBC ” পরীক্ষা করা ভালো, এই পরীক্ষার মাধ্যমে প্লাটিলেট কাউন্ট এবং হেমাটোক্রিট কাউন্ট দেখা যায় এবং ডেংগু চিকিৎসার মহাগুরুত্বপূর্ণ ” ফ্লুইড ম্যানেজমেন্ট ” করা সহজ হয়।