বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:১১ পূর্বাহ্ন

ঘোষনা :
  সম্পূর্ণ আইন বিষয়ক  দেশের প্রথম দৈনিক পত্রিকা   দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল এর  পক্ষ থেকে সবাইকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা   । 
সংবাদ শিরোনাম :
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ইস্যুতে সংবিধান, আইনী নৈরাজ্য ও অতীত ইতিহাস! শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র নিয়ে রাষ্ট্রপতির মিথ্যাচার বনাম সাংবিধানিক সমাধান! সহায় সম্পত্তি পুণ্যের কাজে ওয়াক্ফ গঠন ও প্রাসঙ্গিকতা! শেকড়ের সন্ধানে সাঁইজির ধামেঃ লালন কি জাত সংসারে— রক্তাক্ত মাহমুদুর রহমানের কুষ্টিয়ায় আগমন বনাম দুধের মাছিদের আনাগোনা! জনপ্রশাসন, জেলা প্রশাসক ও স্যার সম্বোধন কতটা সংবিধান ও আইনসম্মত! ক্রেতা ঠকে গেলে বিক্রেতার বিরুদ্ধে যত আইনগত প্রতিকার! আইনে জামিন চর্চা বনাম বিচারকের পদত্যাগের দাবীতে আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ! নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের থেকেই ভিসি নিয়োগের অনুরোধ ইবি শিক্ষকদের সংবিধান সংস্কারঃ সংশোধন না-কি পুনর্লিখন? 
ভাষা শহীদদের স্মরণে হাইকোর্টের বাংলায় রায় ঘোষণা।

ভাষা শহীদদের স্মরণে হাইকোর্টের বাংলায় রায় ঘোষণা।

ভাষা শহীদদের স্মরণে হাইকোর্টের বাংলায় রায় ঘোষণা।

 

ভাষা শহীদদের সম্মানে খালাসের রায় বাংলা ভাষায় ঘোষণা করেন উচ্চ আদালতযশোরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত স্বামী আবদুল্লাহ ওরফে তিতুমীরকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট

 

আসামির আপিল ও ডেথ রেফারেন্স মামলার শুনানি শেষে গতকাল সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

আবদুল্লাহ ওরফে তিতুমীরের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেন আদালত।

আদালতে আসামির পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সারোয়ার আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হারুন অর রশিদ।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হারুন অর রশিদ বলেন, আদালত আজ বাংলায় রায় দিয়ে আসামিকে মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস দিয়েছেন। আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করব।

জানা গেছে, ২০১১ সালে আবদুল্লাহর সঙ্গে যশোর সদর উপজেলার মোবারককাটি গ্রামের কবির হোসেনের মেয়ে সালমা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর যৌতুক হিসেবে পালসার মোটরসাইকেল দাবি করেন আবদুল্লাহ। দাবি মেটাতে ব্যর্থ হওয়ায় স্ত্রীকে নির্যাতন শুরু করেন তিনি।

পরে ২০১২ সালের ৯ জুলাই ভোরে মারধরের পর গায়ে কেরোসিন দিয়ে সালমাকে পুড়িয়ে হত্যা করেন আবদুল্লাহ। এ ঘটনায় নিহত সালমার বাবা যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় আবদুল্লাহ, তার বাবা, মা ও ভাইকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

২০১২ সালের ১১ নভেম্বর আবদুল্লাহ ও তার বাবাকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবদুল মান্নান শেখ। পরে চার্জ গঠনের সময় বাবাকে বাদ দিয়ে আবদুল্লাহকে অভিযুক্ত করে বিচার শুরু করেন আদালত।

২০১৭ সালের ১৭ মে যশোরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে স্বামী আবদুল্লাহকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়।

যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) অমিত কুমার দে এ রায় দেন। পরে ফাঁসির রায় থেকে খালাস চেয়ে আপিল করেন আবদুল্লাহ। ওই আপিল ও ডেথ রেফারেন্স শুনানি শেষে আজ রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

 

এই সংবাদ টি সবার সাথে শেয়ার করুন




দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।  © All rights reserved © 2018 dainikinternational.com
Design & Developed BY Anamul Rasel