শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪২ পূর্বাহ্ন
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে এক কাতারপ্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার রায়পাড়া এলাকায় স্বামীর বাড়ি থেকে এই মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত মৌসুমি খাতুন (২৭) নামের নামের ওই নারী একই এলাকার কাতারপ্রবাসী মাসুদ হোসেনের স্ত্রী।
ওই গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগ, যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়িসহ স্বামীর বাড়ির লোকজন মৌসুমিকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। হত্যার পরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচার করছে। মৌসুমির বাবা ইউনুছ আলী বলেন, ‘আমার মেয়ের সুখের জন্য আমি ইতিপূর্বে কয়েকবার নগদ টাকা ও আসবাবপত্র দিয়েছি। কিন্তু জামাই বিদেশে যাওয়ার পর আবার যৌতুকের টাকা দাবি করে। এ নিয়ে কয়েকবার সালিস হয়েছে। হঠাৎ ভোররাতে জানতে পারি মেয়ে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে। যৌতুকের টাকা না পেয়ে মেয়ের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও তাদের বাড়ির লোকজন আমার মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে।’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে শাশুড়ি জহুরা খাতুন বলেন, ‘রাতে আমার ছেলে ও বউয়ের ঝগড়া হয়েছিল। সে জন্য বউ গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু ঘটনার পর থেকেই মৌসুমি শ্বশুর, ভাশুর, ভাশুরের স্ত্রী ও ননদ পলাতক। এ বিষয়ে কুমারখালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুজ্জামান বলেন, মরদেহটি স্থানীয়রা আগেই ঝুলন্ত থেকে নামিয়েছিল। খবর পেয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে প্রকৃত ঘটনা পরে জানানো যাবে। তবে গৃহবধূর গলায় দাগ রয়েছে।