শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০২:২৫ পূর্বাহ্ন

ঘোষনা :
  সম্পূর্ণ আইন বিষয়ক  দেশের প্রথম দৈনিক পত্রিকা   দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল এর  পক্ষ থেকে সবাইকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা   । 
সংবাদ শিরোনাম :
জমি সংক্রান্ত বিরোধ, বড় ভাইয়ের লাঠির আঘাতে ছোট ভাইয়ের মৃত্যু

জমি সংক্রান্ত বিরোধ, বড় ভাইয়ের লাঠির আঘাতে ছোট ভাইয়ের মৃত্যু

জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় বড় ভাইয়ের লাঠির আঘাতে ছোট ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে গতকাল শুক্রবার সকালে উপজেলার প্রান্নাথ পাটিকাপাড়া এলাকায় এই মারামারির ঘটনা ঘটে।

নিহত জাকেরুল ইসলাম  মিস্টার (৩৩) উপজেলার প্রান্নাথ পাটিকাপাড়া এলাকার কেরামত আলীর ছোট ছেলে। আর অভিযুক্তরা হলেন, নিহত জাকেরুল ইসলাম মিস্টারের বড় ভাই জহুরুল ইসলাম ও জহুরুল ইসলামের ছেলে রব্বানী ইসলাম মুকুল। জানা গেছে, বড় ভাই জহুরুল ও নিহত ছোট ভাই মিস্টারের বাড়ি পাশাপাশি। তাদের দুজনের মাঝে বাড়ির পাশের তিন শতক জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। সেই বিরোধের জেরে শুক্রবার সকালে ওই দুই ভাইয়ের ঝগড়া বাধে। এর এক পর্যায়ে বড় ভাই জহুরুল ও তার ছেলে মুকুল ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠি দিয়ে মিস্টারের মাথায় আঘাত করলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।  পরে স্থানীয়রা আহত মিস্টারকে উদ্ধার করে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসকরা তার প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানেই শনিবার সকালে চিকিৎসাধীন আবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নিহতের বাবা কেরামত আলী বলেন, আমার বড় ছেলে বাড়ির পাশের তিন শতক জমি আমার ছোট ছেলেকে দিয়ে তার কাছ থেকে অন্য জায়গার তিন শতক জমি মগদলা করে নেয়। কিন্ত পরবর্তীতে বড় ছেলে বাড়ির পাশের সেই জমি মিস্টারকে দিতে নারাজ হন। এ নিয়ে তাদের মাঝে অনেকদিন থেকে বিরোধ চলে আসছিল। স্থানীয় বাসিন্দা মিলন বলেন, যখন ঝগড়া বাধে তখন আমার তাদের থামাই। এরপর সেখান থেকে চলে আসি। পরে খবর পাই জহুরুল তার ছোট ভাই মিস্টারকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করেছে। এরপর শনিবার সকালে খবর পাই যে মিস্টার সেখানে মারা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে নিহতের বড় ভাই জহুরুলের বাড়িতে গেলে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। তাদের ঘর তালাবদ্ধ। এরপর জহুরুলের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাঈম হাসান নয়ন বলেন, জাকেরুল মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পায়। তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ বিষয়ে হতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহা আলম বলেন, গতকাল শুক্রবার মারামরির ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। আজ সকালে মিস্টার নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এই সংবাদ টি সবার সাথে শেয়ার করুন




দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।  © All rights reserved © 2018 dainikinternational.com
Design & Developed BY Anamul Rasel