মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৫৯ পূর্বাহ্ন

ঘোষনা :
  সম্পূর্ণ আইন বিষয়ক  দেশের প্রথম দৈনিক পত্রিকা   দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল এর  পক্ষ থেকে সবাইকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা   । 
সংবাদ শিরোনাম :
ইবির জিওগ্রাফী বিভাগ: শিক্ষার্থীদের কাছে দরখাস্ত দিয়ে পদত্যাগ করলেন সভাপতি যুগে যুগে দালাল সাংবাদিকদের করুন পরিণতি বনাম কিছু শিক্ষনীয় গল্প! তালাকের নোটিশ গ্রহণ না করলেও ৯০ দিন পর তালাক কার্যকর হয়ে যাবে! শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে থাকা, না থাকা নিয়ে যত সংশয়! ইসলাম বিদ্বেষী উগ্র সাম্প্রদায়িকতার বরপুত্র ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর! অপমান ও মানহানির শিকার হলে কী করবেন? গোপনে ধারণকৃত ভিডিও ও ছবি দিয়ে প্রতারণার শিকার হলে কী করবেন? স্বাধীনতার ৫৩ বছরঃ ১৭ বার সংবিধান সংশোধন ও আমাদের জাতীয় সংগীত! Special Education Needs and Disabilities (SEND) আপনার পন্য বা প্রতিষ্ঠানের নকল এড়াতে কিভাবে ট্রেডমার্ক লাইসেন্স করবেন?
ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাতের অভিযোগে মঙ্গল শোভাযাত্রা বন্ধে আইনি নোটিশ

ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাতের অভিযোগে মঙ্গল শোভাযাত্রা বন্ধে আইনি নোটিশ

ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত এবং ইসলাম ধর্মের অপমানের অভিযোগ তুলে পহেলা বৈশাখে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ বন্ধ করতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। রবিবার রেজিস্ট্রি ডাকে নোটিশটি পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান। সংস্কৃতি, ধর্ম, স্বরাষ্ট্রসচিব ছাড়াও ঢাকার জেলা প্রশাসক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিনকে এ নোটিশ পাঠান তিনি।

নোটিশে বাংলা বর্ষবরণ উৎসবের নান্দনিক এই আয়োজনকে অসাংবিধানিক, বেআইনি উল্লেখ করে অবিলম্বে তা বন্ধের উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে। নইলে সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করে হাইকোর্টে রিট করার কথা বলা হয়েছে নোটিশে। এক প্রশ্নে আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পহেলা বৈশাখের আর কয়েক দিন মাত্র বাকি। এবারও মঙ্গল শোভাযাত্র করার আয়োজন চলছে। তাই এ আয়োজন বন্ধে ব্যবস্থা নিতে নোটিশটি পাঠিয়েছি।’

নোটিশে বলা হয়েছে, ‘পহেলা বৈশাখ’ বাঙালি সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। হাজার বছর ধরে, বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী বাঙালি জনগণ একে অপরের ধর্মকে সম্মান করে এই পহেলা বৈশাখ উদযাপন করে আসছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় এই যে, ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামে একটি কৃত্রিম কার্যকলাপ বাঙালি সংস্কৃতির মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। মূলত, এই কৃত্রিম উদ্ভাবিত মঙ্গল শোভাযাত্রার সঙ্গে পহেলা বৈশাখের কোনো সম্পর্ক নেই।’

নোটিশে উইকিপিডিয়ার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ‘১৯৮৯ সালে পহেলা বৈশাখে ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’ নামে এক ধরনের পদযাত্রা শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে এই আনন্দ শোভাযাত্রাকে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ করা হয়েছে।’ নোটিশে আরো বলা হয়েছে, ‘মঙ্গল শব্দটি একটি ধর্মীয় শব্দ। সব ধর্মের লোকজন তাদের সৃষ্টিকর্তার কাছে মঙ্গল প্রার্থনা করে থাকেন। এখন এই মঙ্গল শোভাযাত্রার সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের দৈত্য আকৃতির পাখি, মাছ ও বিভিন্ন প্রাণীর ভাস্কর্য প্রদর্শনের মাধ্যমে মুসলিম জনগণের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা হচ্ছে, যা বাংলাদেশ সংবিধানের ২ (ক) অনুচ্ছেদের সরাসরি লঙ্ঘন। শুধু তাই না, ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাতের পাশাপাশি ইসলাম ধর্মকে অপমান করা হচ্ছে, যা দণ্ডবিধির ২৯৫ (ক) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।’

নোটিশে দাবি করা হয়েছে, ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা বাঙালি সংস্কৃতির কোনো অংশ নয়। এটা সম্পূর্ণ কৃত্রিম উদ্ভাবন। মূলত দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগণের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার জন্য এবং দেশের বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষের মধ্যে সংঘাত সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যেই এই মঙ্গল শোভাযাত্রা নামক কৃত্রিম কার্যকলাপের উদ্ভাবন।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের মঙ্গল শোভাযাত্রা এ বছর ৩৪ বছরে পা রাখছে। ১৯৮৯ সালে চারুকলা থেকে এই শোভাযাত্রার শুরু। বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা ইউনেসকোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পায় ২০১৬ সালে।

এই সংবাদ টি সবার সাথে শেয়ার করুন




দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।  © All rights reserved © 2018 dainikinternational.com
Design & Developed BY Anamul Rasel