রমজানে খাওয়া এবং ঘুমে বদলে যাওয়া অভ্যাস নিয়মিত রুটিনে ব্যাহত হয়। তবে এ বিষয়ে পরিকল্পনা থাকলে স্বাস্থ্যসম্মত রমজান উপভোগ করা যায়। এক্ষেত্রে মাসব্যাপী রোজা রেখে স্বাস্থ্যরক্ষার পাশাপাশি ফিটনেস অক্ষুণ্ণ রাখতে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রমজানে সুস্থ থাকতে খাবার ও পানির বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেয়ার পাশাপাশি হালকা ব্যায়াম করতে হবে এবং যতটা বেশি সময় সম্ভব বিশ্রামে থাকতে হবে। পুষ্টিবিদদের মতে, রোজার সময় যারা নিয়মিতভাবে ব্যায়াম করতে চান, তাদের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই শর্করা জাতীয় খাবার রাখতে হবে। ইফতার, রাতের খাবার এবং শেষ রাতের খাবারে শর্করা জাতীয় খাবার অবশ্যই রাখতে হবে, যা থেকে দ্রুত ক্যালরি পাওয়া যাবে। এ ছাড়াও আরও কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। চলুন বিবিসির এক প্রতিবেদন অনুযায়ী দেখে নেয়া যাক সেগুলো-
রমজানে অনেকে মাথা ব্যথায় ভোগেন। চিকিৎসকরা বলছেন, পানিশূন্যতার কারণে এমনটা হয়। এ ক্ষেত্রে কেউ স্বাভাবিক সময়ে যে পরিমাণ পানি পান করেন, রোজার সময় একই পরিমাণ পানি সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত পান করা উচিত। অর্থাৎ, ওই সময়ের মধ্যে কিছুক্ষণ পরপর অল্প অল্প পানি পান করা যেতে পারে।
খেয়াল রাখতে হবে, শরীরে যেন পুষ্টির ঘাটতি তৈরি না হয়। এক্ষেত্রে চিকিৎকদের পরামর্শ, সেহরিতে প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বিজাতীয় খাবারের পাশাপাশি কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা-জাতীয় খাবার থাকা প্রয়োজন। সঙ্গে যদি কিছু সবজি ও ফল থাকে তাহলে তা বোনাস।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ইফতারে অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে স্বাভাবিকের চেয়ে দুর্বল অনুভব হয়। ফলে পরেরদিনের রোজার জন্য উৎসাহী অনুভব হয় না। পুষ্টিবিদরা বলছেন, পানি দিয়ে ইফতার শুরুর পর খেজুর ও কিছু ফল খাওয়া উচিত। খাওয়ার সময় আপনার ঐতিহ্যবাহী খাবারই খান, কিন্তু সেখানে যেন প্রোটিন কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট ও সবজি থাকে তা নিশ্চিত করুন। সেখানে সুপ, স্টু, মাছ বা মুরগির মাংসের আইটেম থাকতে পারে।
অধিকাংশ মানুষই ইফতারের এক বা দুই ঘণ্টা আগে ব্যায়াম করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। কারণ সেক্ষেত্রে ব্যায়াম শেষ হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা খাবার ও পানি পেতে পারেন। তবে এই পদ্ধতি যদি আপনার সূচির সঙ্গে কাজ না করে, তাহলে আপনি আপনার নিজস্ব সূচি অনুযায়ী চলতে পারেন। তবে রমজানের সময় ইফতারির অন্তত এক ঘণ্টা পরে ব্যায়ামের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।