স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ ব্যাংক হুন্ডির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়ার পর ভারত ও মিয়ানমার সীমান্তে নতুন কৌশলে চলছে জমজমাট হুন্ডি ব্যবসা। হুন্ডি ব্যবসায় শুধু রাষ্ট্রেরই আর্থিক ক্ষতি হয় না, বরং প্রতারিত হয় গ্রাহকরাও- এই উপলব্ধিতে বাংলাদেশ ব্যাংক জনসাধারণকে হুন্ডির মাধ্যমে লেনদেন না করার পরামর্শ দেয়ার পাশাপাশি এ বিষয়ে ব্যাংকগুলোর প্রতি নির্দেশনাও জারি করেছে। কিন্তু এসব পরামর্শ ও ব্যাংকগুলোর প্রতি নির্দেশনা বিফলে যাচ্ছে।মাদকের মূল্য শোধ করা হচ্ছে। চোরাই পথে আনা গরুর মূল্য শোধ করা হচ্ছে হুন্ডির মাধ্যমে। ঘটনা ঘটছে এভাবে- বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ব্যাংকিং চ্যানেল বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা সিন্ডিকেটের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে। ওই সিন্ডিকেট টাকা রেখে দিয়ে এর বিনিময়ে চোরাই পণ্য, বৈদেশিক মুদ্রা, মাদকদ্রব্য ইত্যাদিসহ বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার করে গরুর দেনা শোধ করছে। আর এভাবেই পাচার হয়ে যাচ্ছে টাকা।কুষ্টিয়া জেলা দৌলতপুর উপজেলায় বিভিন্ন মহিষকুন্ডি,মাঠপাড়া,জামালপুর,মুন্সিগঞ্জ,ভাগজোত,বিলগাথুয়া, প্রাগপুর, পাকুড়িয়া ভাজ্ঞাপাড়া,ঠোটারপাড়া,চর,চল্লিশপারা, বাংলাবাজার,সীমান্তে হুন্ডীর ব্যবসা করছে।গোপন ভিত্তিতে জানা যায়,নাম জানাতে অনিচ্ছুক তারা বলেন যে,হুন্ডীর ব্যবসা বন্ধ হলে, মাদক ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে।তাছাড়া সীমান্তে কোন হত্যা ও বিভিন্ন উত্তেজনা বন্ধ হয়ে যাবে।
নতুন কৌশলে হুন্ডি ব্যবসার বিষয়টি দেশের অর্থনীতির জন্য উদ্বেগজনক। হুন্ডির মাধ্যমে কত টাকা দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে, তার প্রকৃত হিসাব সরকারের কোনো সংস্থার কাছেই থাকে না। ফলে হুন্ডি ব্যবসা বন্ধে নিতে হবে জোরালো পদক্ষেপ। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট ও সরকারের বিভিন্ন এজেন্সিকে বিষয়টি মনিটর করতে হবে। সীমান্ত এলাকার ব্যাংকগুলোতে টাকার প্রবাহ কেন বেড়ে যাচ্ছে, এসব টাকার উৎসই বা কী ইত্যাদি বিষয় যথাযথভাবে মনিটর করে হুন্ডি ব্যবসার গোপন রহস্য সহজেই উন্মোচন করা সম্ভব।সরকার ও প্রশাসনের কাছে জোর দাবী যারা হুন্ডীর ব্যবসার সাথে জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হক।
সম্পাদক ও প্রকাশক : এ্যাডভোকেট পি. এম. সিরাজুল ইসলাম ( সিরাজ প্রামাণিক)
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় :কুষ্টিয়া আদালত চত্ত্বর, খুলনা, বাংলাদেশ।
মোবাইল : 01716-856728, ই- মেইল : seraj.pramanik@gmail.com নিউজ: dainikinternational@gmail.com