শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪১ পূর্বাহ্ন
এ্যাডভোকেট সিরাজ প্রামাণিকঃ
মানবদেহের রোগ মুক্তির দায়ভার যেমন একজন ডাক্তারের উপর অর্পিত থাকে, ইঞ্জিনিয়ার তার ইটের গাঁথুনিতে অবকাঠামোর ভিত গড়ে, ঠিক তেমনি দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনে বিচারাঙ্গণ বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে। বিচার হলো মূলতঃ বিবাদমান দলের মধ্যকার বিরোধের বিষয়ের উপর একটি সিদ্বান্ত বা রায়। কিন্তু বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে চূড়ান্ত রায়ে রূপান্তরিত করতে বিচারক, আইনজীবী, পক্ষ-বিপক্ষ, সাক্ষী একে অন্যের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আইনজীবী আদালতের সামনে সাক্ষ্য প্রমাণ, জেরা, জবানবন্দী এবং সংশ্লিষ্ট আইন উপস্থাপন করে থাকেন। আদালতকে সঠিক সিদ্ধান্তে সাহায্য করাই আইনজীবীদের প্রধান কর্তব্য ও দায়িত্ব। এককভাবে আদালতের পক্ষে সত্যকে উৎঘাটন করে আইনের সমর্থিত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব নয়। সেকারণ আদালত ও আইনজীবীদের যৌথ সহযোগিতায় বিচার ব্যবস্থার ভারসাম্য রক্ষিত হয়। আর এই সত্যতার স্বীকৃতি ঘটেছে উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তে।
লর্ড ম্যাকমিলানের মতে “অন্য কোন পেশা মানবজীবনকে এত স্পর্শ করে না।” একজন অ্যাডভোকেট তার অবস্থানের প্রেক্ষিতে আদালতে অফিসার এবং বিশেষ অধিকার প্রাপ্ত শ্রেণীর অন্তর্গত। সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় তার অবদান ও তার মক্কেলকে পেশাগত উপদেশ প্রদানের জন্য জনসাধারণের ওপর তার প্রভাব অত্যন্ত প্রখর। আর এ প্রভাবের কারণেই ভালো হোক অথবা মন্দ হোক যে কোন কাজই সমাজের অন্যান্য ব্যক্তির চেয়ে একজন আইনজীবীর কর্মকা-, দৃষ্টান্ত ও আর্দশ সমাজের ওপর অনেক বেশি কার্যকর।
অ্যাডভোকেটগণ আদালতে বিনীতভাবে সততার সাথে তার মক্কেলের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের মাধ্যমে সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছতে বিচারককে সরাসরি সহায়তা প্রদান করেন বিধায় অ্যাডভোকেটগণ আইন আদালতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।
অসংখ্য মৌলিক আইন গ্রন্থের প্রণেতা মরহুম গাজী শামসুর রহমান বলেছিলেন, কোন মানুষ ভ্রমের ঊর্ধ্বে নয়, সম্ভবত বিচারকও নয়। বিচারকের ভ্রম ধরিয়ে দিতে পারে শুধু সেই ব্যক্তি যিনি জ্ঞানে, গুণে, মর্যাদায় এবং অবস্থানে বিচারকের সমকক্ষ। সেই ব্যক্তিই অ্যাডভোকেট।
আদালতের ক্ষমতা ও মর্যাদাকে সমুন্নত রাখতে বিচারকগণ যেমন কতিপয় বিশেষাধিকার ভোগ করেন, আইন প্রণয়নকারী সংস্থা হিসেবে জাতীয় সংসদের সদস্যগণও তেমনি কতিপয় বিশেষ অধিকার ভোগ করার অধিকারী।
প্রচলিত আইনে এবং বিভিন্ন নজিরসমূহ থেকে সুপ্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞ অ্যাডভোকেটগণ আদালত অঙ্গনে যেসব বিশেষাধিকার ভোগ করেন তার একটি সংক্ষিপ্ত চিত্র তুলে ধরা হলোঃ
বিচারক কর্তৃক অ্যাডভোকেট এর অবমাননা আদালত অবমাননার শামিল। আইন অ্যাডভোকেট এর সম্মান ও মর্যাদাকে সমুন্নত রাখতে কতটুকু সচেষ্ট তা নিম্নের নজিরসমূহ থেকে পরিষ্কার ধারণা অর্জন করা যাবে।
একজন অ্যাডভোকেট যখন তার মক্কেলের মামলা পরিচালনা করেন, তখন যদি আদালত অর্থাৎ বিচারক তার আচরণ নিয়ে মন্তব্য করেন, তবে আদালত অবমাননার অপরাধ হতে পারে। (৩৫সি, ডব্লিউ, এন ১৮৯)
যদি আদালত কোন মোকদ্দমা শুনানিকালে পুলিশ গার্ড ডাকেন এবং কোন যথার্থতা ছাড়াই আইনজীবীকে আদালত কক্ষ হতে বের করে দেন তবে তা আদালত অবমাননার শামিল। (Prag Das Advocate V.Sir P.C. Agrwal’1975 ALI .L.J.41; 1975 Cr. L. J. 659)
উচ্চ আদালতের স্থগিত আদেশের বিষয়ে অ্যাডভোকেট কর্তৃক প্রদত্ত প্রত্যয়নপত্র কোন আদালতে দায়ের হলে সে আদালতের উচিত উক্ত প্রত্যয়নপত্র অনুযায়ী মোকদ্দমা স্থগিত করা। কারণ অ্যাডভোকেট আদালতের একজন অফিসার এবং ঐ প্রত্যয়নপত্রের দায়-দায়িত্ব তিনি বহন করেন। অ্যাডভোকেটের প্রত্যয়নপত্রে প্রদত্ত তথ্যের সত্যতা নিরূপণের চেষ্টা না করে তাকে অবিশ্বাস বা নাকচ করে দেয়া আদালত অবমাননার অপরাধ হবে।(Harikishan Sing V. Chhotan Mahton AIR 1951 Pat. 490; 1951 (Vol. 52) Cr. LJ, 638]
অ্যাডভোকেটের বিরুদ্ধে মিথ্যা দুর্নাম রটানো, অপমান করা যাবে না ঃ
অ্যাডভোকেটের বিরুদ্ধে তার মোকদ্দমা পরিচালনার ব্যাপারে মিথ্যা দুর্নাম রটানো যা তাকে এ মোকদ্দমা পরবর্তী পরিচালনা করতে বিব্রত করে তা আদালত অবমাননা হিসেবে চিহ্নিত হবে। (Anantalal Singha V. Alfred Henry Watson (1930) 58 Cal. 884)
বিচারাধীন মামলায় আইনজীবী যাতে তার দায়িত্ব পালন করতে না পারেন তজ্জন্যে অ্যাডভোকেটকে অপমান করা আদালত অবমাননা।
Thirumalaippa V. Kumaraswami, AIR 1956, Mad. 621 (1956) I. L.R. Mad. 1239)
বিচারাধীন মামলায় একজন আইনজীবী তার মক্কেলের পক্ষে আইনের যুক্তিতর্ক পেশ করার প্রাক্কালে সম্পূর্ণভাবে আইনের স্বাধীনতা পেয়ে থাকেন এবং এজন্যে ঐ সময় যদি সংশ্লিষ্ট মামলাটির “Expunge” বা গুণাগুণের সাথে সম্পর্কহীন এমন কোন মন্তব্য করা হয় যা ঐ মামলা সংক্রান্ত নহে বরং সম্পূণরুপে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীর পেশাগত চরিত্র বা আচরণ সম্পর্কিত, তাহলে ঐ জাতীয় মন্তব্য আদালত প্রদত্ত রায়ের অংশ হিসেবে রেকর্ডে রাখা যাবে না এবং তা রেকর্ড হতে মুছে ফেলতে হবে। ৩১ ডি, এল,আর (এ.ডি) ১৬৩ (১৯৭৯) ।
কিন্তু অপ্রিয় হলেও সত্য, আমাদের বহু জেলাতে আইনের কূটতর্কের বিষয়টি ব্যক্তিগত বিষয় হয়ে পড়ায় বহু ক্ষেত্রে বার ও বেঞ্চের মধ্যকার উত্তেজনা বেড়ে যায় এবং এক পর্যায়ে আদালত বর্জন অনুষ্ঠান চলে। এই অবস্থা কখনও কাম্য নয় এবং তা ন্যায়বিচার প্রত্যাশীদের গাছে তুলে দিয়ে মই কেড়ে নেওয়ার সামিল বলে গণ্য। আইন ও বিচারের প্রতি জনমানুষের শ্রদ্ধা যদি বাঁধার সৃষ্টি করে তবে সামাজিক শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ায় স্বাভাবিক। কাজেই বিচারক, আইনজীবী ও সংশ্লিষ্ট সকলকে যার যার অবস্থান থেকে সঠিক দায়িত্ব পালন করতে হবে। যাতে পক্ষগণ অন্ততঃ বুঝতে পারেন যে, আদালতে ন্যায় বিচার হয়েছে। বিচারকের নীতিমালাতে স্পষ্ট বলা আছে যে, বিচারককে ভয় ভীতির উর্ধ্বে থেকে বিচারকার্য সম্পাদন করতে হবে। বিচারক অবশ্যই ন্যায়নিষ্ঠ এবং উন্নত চরিত্রের অধিকারী হবেন। বিচারকরা এমন কোনো সংগঠনের সদস্য হবে না যা ধর্ম, বর্ণ, লিংগ ভেদাভেদের কারণে গঠিত হয়। একজন বিচারক অন্য কারও ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির জন্য তার নিজের পরিচয় এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করবেন না। বিচারককে আইনজীবী এবং বিচারপ্রার্থী জনগনের প্রতি ধৈর্য্যশীল হবেন এবং সম্মানজনক আচরন প্রদর্শণ করবে। বিচারক বা তাঁর পরিবারের কোনো সদস্য কারো কাছ থেকে বিচারিক ক্ষমতার বিনিময়ে উপহার, অনুরোধ, ঋণ বা সুবিধা চাইতে পারবেন না। এক কথায় বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা নিয়ে মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস থাকে, এমন আচরণ করতে হবে।
বিচারকের চোখ অন্ধ, আদালতের সামনে উপস্থাপিত সাক্ষ্য প্রমাণের উপর ভিত্তি করে, আইনের সীমাবদ্ধতার মধ্যে থেকে তিনি রায় ঘোষণা করেন। এখানে ব্যক্তিগত ইচ্ছা-অনিচ্ছা বাস্তবায়নের কোন সুযোগ নেই। যদিও দেওয়ানি কার্যবিধির ১৫১ ধারা, ফৌজদারী কার্যবিধির ৫৬১(ক) ধারা আদালতকে বিপুল ক্ষমতা প্রদান করেছে। তবে আদালতের এই অন্তর্নিহিত ক্ষমতা আইনের বিকল্প নয় বরং আইনের অনুপস্থিতিতে বিচারকের জ্ঞান, প্রজ্ঞা, বিচক্ষণতার সুষ্ঠু প্রয়োগের মাধ্যমে ন্যায় বিচারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। বিচারক আইন অনুযায়ী তাঁর বিচারকর্ম সম্পাদনে সম্পূর্ণ স্বাধীন। বিচারের রায় কোন এক পক্ষের অনুকূলে গেলে বিচারক পক্ষপাতদুষ্ট হবেন এহেন দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন জরুরী। কেননা বিচারক শুধুমাত্র তাঁর নিকট উপস্থাপিত সাক্ষ্য, প্রমাণ, যুক্তি-তর্ক বিবেচনায় রায় প্রদান করেন। এক্ষেত্রে পক্ষদের দূরদর্শিতা, সময়োপযোগী পদক্ষেপ, মামলার আলামত সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সতর্কতা, সাক্ষ্য প্রমাণ উপস্থাপন ইত্যাদি রায় নির্ধারণে বহুলাংশে ভূমিকা রাখে।
এক্ষেত্রে একটি উদাহরণের অবতারনা করা আবশ্যক। একজন ব্যক্তি কর্তৃক অপর একজন ব্যক্তির মৃত্যু হলে সাধারণ মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিতে এটি খুন বলে বিবেচিত হবে। কিন্তু আইনের দৃষ্টিতে একজন মানুষ অপর একজন মানুষ কর্তৃক মৃত হলেই তা খুন বলে বিবেচিত হবে না। তা ক্ষেত্র বিশেষে নরহত্যা হিসাবে গণ্য হবে। কারণ আইনে নরহত্যা এবং খুন দুটি ভিন্ন অপরাধ যা দন্ডবিধির ধারা যথাক্রমে ২৯৯ ও ৩০০ তে বর্ণিত আছে।
ঠিক তেমনি একজন মানুষকে হত্যা করেও হত্যাকারী বেকসুর খালাস পাওয়ার দাবী রাখে যা দন্ডবিধির ৯৬ ধারায় (ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষা অধিকার প্রয়োগকালে কৃত কোন কিছুই অপরাধ বলে গণ্য হবে না) বর্ণিত হয়েছে। কতিপয় ক্ষেত্রে দেহ (১০০ ধারা) এবং সম্পত্তি (১০৩ ধারা) রক্ষায় আক্রমণকারীর মৃত্যু পর্যন্ত ঘটানো আইনের দৃষ্টিতে কোন অপরাধ হবে না। এক্ষেত্রে একজন আইনজীবী যদি তাঁর মক্কেল কে নির্দোষ দাবী করেন কিংবা এই যুক্তি উপস্থাপন করেন যে, আমার মক্কেল খুন করেননি তবে তা আইন সম্পর্কে অজ্ঞ ব্যক্তির পক্ষে সঠিকভাবে বোধগম্য হবে না বরং তিনি আইনজীবীকে মিথ্যাবাদী হিসাবে বিষোদগার করে যাবেন। আর এটাই স্বাভাবিক। কারণ আইনের এই সূক্ষ্ণ ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞানের অভাবহেতু তা অধরাই থেকে যাবে।
অতীতে সম্ভান্ত পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীদের জ্ঞান পিপাসার অন্যতম খোরাক ছিল আইন। ফলে তাদের দক্ষতা, যোগ্যতা, মননশীলতা, উন্নত আচরণ আইন পেশাকে অনেক উঁচুতে প্রতিষ্ঠিত করেছিল আর জয় করেছিল মানুষের হৃদয়। কিন্তু এখন গণেশ উল্টে গেছে, দিক ভ্রান্ত পথিকের ভারে আইন পেশা দিগবিদিক শূন্য হয়ে পড়ছে! সাধারণ মানুষের কাছে একটি ধারণা প্রচলিত রয়েছে যে, আইন পেশায় আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার সুযোগ অনেক বেশি। তাই রাতারাতি ধনী হওয়ার আশায় অন্য একটি পেশা ছেড়ে দিয়ে শেষ বেলাতে আইন পেশার দ্বারস্থ হন অনেকেই। নিদিষ্ট বয়সসীমা না থাকায় অনেক সময় নীতি নৈতিকতাহীন ব্যক্তিবর্গের আগমনেরও সুযোগ ঘটে। ফলে হয়রানির স্বীকার হয় বিচার প্রত্যাশী অসহায় মানুষগুলো। তাই বলে মুষ্টিমেয় কিছু লোকের প্রতারণায় দায়ে একটি পেশাকে ঢালাওভাবে দোষারোপ করা বুদ্ধিমত্তার পরিচায়ক নয়। তবে প্রত্যেকটি পেশায় কতিপয় ব্যক্তি তাদের কৃত কর্মের সমালোচনা তথা ক্ষেত্র বিশেষে শাস্তি প্রাপ্তির যোগ্য বটে। এক্ষেত্রে সত্য ও সুন্দরকে প্রতিষ্ঠায় বিচার বিভাগ গুরুদায়িত্ব পালন করে। কিন্তু বিচার বিভাগের একার পক্ষে তা অনেকাংশেই অসম্ভব।
পাঠক নিশ্চয়ই মনে আছে, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ইয়াজউদ্দিন আহমেদ ২০০৪ সালের ২০ এপ্রিল অতিরিক্ত বিচারকের পদ থেকে শাহিদুর রহমানকে সরিয়ে দেন। ২০০৩ সালের এপ্রিলে হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান সৈয়দ শাহিদুর রহমান। ওই বছরের অক্টোবরে নাসিম সুলতানা কনা নামের এক নারী ‘ঘুষের বিনিময়ে জামিন’ করানো সংক্রান্ত একটি অভিযোগ আনেন সংশ্লিষ্ট বিচারকের বিরুদ্ধে। রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল গঠন করে অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেন। কাউন্সিল অভিযোগ তদন্ত করে জানান, বিচারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়নি। যেহেতু অভিযোগটি গুরুতর সেহেতু অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে শাহিদুর রহমানের দায়িত্ব পালন করা উচিত নয়। এর ধারাবাহিকতায় ২০০৪ সালের ২০ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৯৬(৬) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে শাহিদুর রহমানকে অতিরিক্ত বিচারকের পদ থেকে অপসারণ করেন। এ অপসারণ আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন শাহিদুর। ওই রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০০৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রাষ্ট্রপতির অপসারণ আদেশ অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। পরে এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল হয়। আপিল আদালত ওই বিচারক আর বিচারক পদে আর ফিরতে পারবেন না বলে রায় দেন।