শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০৬ অপরাহ্ন
ইবি প্রতিনিধি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ক্যাম্পাসে জুয়া খেলা অবস্থায় প্রক্টরিয়াল বডির কাছে হাতে নাতে ধরা পড়েন বহিরাগত চার জন। ধরা পরার পর প্রক্টরিয়াল বডির নিকট ঘটনা স্বীকার করেন তারা। পরে ভবিষ্যতে এ ধরণের কাজে জড়িত না হওয়ার শর্তে মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (২১ মে) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিকেট মাঠে এ ঘটনা ঘটে। সহকারী প্রক্টর ইয়ামিন মাসুম ও নাসির মিয়া ধৃত যুবকদের থেকে মুচলেকা নেন।
অভিযুক্তরা হলেন ক্যাম্পাস সংলগ্ন পদমদী এলাকার নজরুল শাহের ছেলে আশিকুর রহমান, উকিল উদ্দিনের ছেলে তানজিল, মোকাদ্দেসের ছেলে সাগর হোসেন ও শেখপাড়া এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে রাকিব হোসেন।
মুচলেকায় অভিযুক্তরা বলেন, আমরা ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকায় মাঝে মাঝে জুয়া খেলি। অত্র বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি আমাদের হাতেনাতে ধরে ফেলে। আমরা অঙ্গিকার করছি যে ভবিষ্যতে এ ধরণের কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হবো না।
অভিযোগ রয়েছে, সম্প্রতি ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের পদচারণা বেড়েছে। তারা ক্যাম্পাসে নিয়মিত আসর করে জুয়া ও মাদক সেবন করছে। অনেক ক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে যোগ দিতে দেখা যাচ্ছে শিক্ষার্থীদেরও। খেলার মাঠ ও জিমনেশিয়ামে বহিরাগতদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের কথা কাটাকাটির ঘটনাও ঘটছে মাঝেমধ্যে। কয়েক দফায় মাইকিং করে ক্যাম্পাসে মাইকিং করে বহিরাগত প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিলেও বহিরাগতদের অবাধ বিচরণ নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি।
সহকারী প্রক্টর ইয়ামিন মাসুম বলেন, প্রক্টর স্যার গোপন সংবাদ পেয়ে আমাদেরকে ঘটনাস্থলে পাঠান। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের পাওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদ করি। পরে ভবিষ্যতে এ ধরণের কাজে জড়িত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে মর্মে সতর্ক করে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেই। বিশ্ববিদ্যালয়কে নিরাপদ রাখার জন্য আমরা আমাদের জায়গা থেকে কাজ করে যাচ্ছি। সবাই যদি নিজ নিজ জায়গা থেকে সহযোগিতা করে তাহলে শিক্ষার্থীরা একটি নিরাপদ ও সুন্দর ক্যাম্পাস পাবে।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, আমি তথ্য পাওয়ার সাথে সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান করা সহকারী প্রক্টরদের জানাই। এছাড়া তাদেরকে প্রয়োজনে পুলিশেরও সহযোগিতা নিতে বলি। পরে তাঁরা গিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদেরকে আটক করে। পরে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জেনেছি৷