শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৪ পূর্বাহ্ন
ইবি প্রতিনিধি
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করে কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ শিক্ষার্থীর সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোন সংযোগ নেই এবং তারা আন্দোলনকারীদের মুখপাত্র নন বলে দাবি করেছেন আন্দোলনের সমন্বয়করা। সোমবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে এ কথা জানান একাধিক সমন্বয়ক। এরআগে এদিন সকালে প্রশাসনের সঙ্গে দুই ঘন্টা রূদ্ধদ্বার বৈঠক করে কর্মসূচি প্রত্যাহেরর ঘোষণামূলক একটি বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ওই ৯ শিক্ষার্থী।
এ নিয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর ইবির সমন্বয়ক এস এম সুইট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কয়েকজনের থেকে আন্দোলন স্থগিত করা বিষয়ক যে বিবৃতি নেওয়া হয়েছে তার সঙ্গে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবির কোন সংযোগ নেই। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন বন্ধ হচ্ছে না। আমাদের সমন্বয়ক ও নেতৃত্ব স্থানীয় সকলকেই প্রশাসনের সাথে আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হয় এবং প্রত্যেকে তা সুস্পষ্টত প্রত্যাখ্যান করেন। শহিদের রক্তের সাথে কোন বেঈমানী নয়। এই আন্দোলন চলবে, এমন কি আহ্বান করার মতো একজনও যদি না থাকে তবুও। সাধারণ শিক্ষার্থীরা যেন আন্দোলন চালিয়ে যায় সেই অনুরোধ করছি।’
আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক সায়েম আহমেদ বলেন, ‘একজন সহযোদ্ধা হিসেবে আমি বলছি, প্রশাসন থেকে বারবার বলার পরেও আমি বা আমাদের কেউই আলোচনায় রাজি হইনি। প্রাণ থাকতে শহিদের রক্ত মাড়িয়ে সমঝোতা করবো না। আমরা বলেছি, সরকার বা কোন বাহিনীর সাথে আলোচনা নয়,যদি বিশ্ববিদ্যালয় খোলার এজেন্ডা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বসতে চাই,আমরা অবস্থা বুঝে বসতে পারি। যারা আলোচনায় বসেছিলেন, তারা আমার বা আমাদের কারো মুখপাত্র নন। আন্দোলন শেষ হয়নি,দাবি আদায় না করা পর্যন্ত চলবেই। এমন কি একজনও যদি ডাকবার মতো না থাকে, সাধারণ শিক্ষার্থীরাই এই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।’
এদিকে, কর্মসূচি প্রত্যাহার করা নিয়ে বৈঠকে অংশ নেওয়া আবদুর রহমার নামে এক শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেন। তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে কর্মসূচি প্রত্যাহারের কথা বলে ডাকা হয়নি। বলা হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় খোলা নিয়ে কথা বলবে। কিন্তু যাওয়ার পর আগে থেকেই প্রিন্ট করা একটি বিবৃতিতে স্বাক্ষর করানো হয়েছে। আমরা বলেছি আমরা যারা নেতৃত্ব দিচ্ছে তাদের কেউ নই। পরে আমরা কিছু দাবি জানিয়েছি।’