প্রিন্ট এর তারিখঃ সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪, ১০:২৯ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ সেপ্টেম্বর ১, ২০২৪, ৯:৪২ পি.এম
একটি আবেগঘন স্ট্যাটাস:
আমার নাম মুসতাসীম তানজীর, নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাটর্ণি জেনারেল সিরিয়াল নং ৮১
ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের সাবেক সরকারের ডিএজিদের বা এএজিদের অনেককেই আবার অ্যাটর্ণি জেনারেল অফিসে পুনরায় নিয়োগ করা হয়েছে।
শহীদদের রক্ত মাড়িয়ে তাদের সঙ্গে সহকর্মী হিসেবে আমি যোগদান করবোনা।
অ্যাটর্ণি জেনারেলকে যোগদান না করার সিদ্ধান্ত জানিয়ে এসেছি। ওনার রুক্ষ ব্যবহারে আমি বেশ অবাক হয়েছি।
তবে নির্মম বাস্তবতা হচ্ছে অনেকেই এএজি ও ডিএজি হবার কারণে এই ইস্যু নিয়ে আর মুখ খুলতে সাহস পাবেননা।
কারণ এতে নিয়োগ বা পদোন্নতি পেতে সমস্যা হবে।
এছাড়া কিছু উচ্চপদস্থ নেতা এসব প্রতিবাদ দেখলে চরম অসন্তুষ্ট হবেন এবং মাথাগরম বলে আখ্যায়িত করবেন।
ওনাদেরকেও খুশি রাখতে অনেকেই ব্যস্ত।
ব্যক্তির চাইতে দল বড় - তবে দলের চাইতেও যে দেশ বড় এটা এখন একটা বিস্মৃত উক্তি।
দেশ না থাকলে আপনি দল দিয়ে কি করবেন।
তবে ছোট মুখে একটা কথা বলি।
সবাই এরকম ব্যক্তিগত লাভক্ষতির চিন্তা করলে এই দেশে আবু সাঈদদের মতো মানুষরা রাস্তায় দাড়াতোনা।
৫ই আগস্টের মুক্তিও আসতোনা।
কেউ কেউ এসব হুমকি বা নিজের ক্ষতির সম্ভাবনা সত্বেও মাথা উঁচু করে কথা বলেছেন এবং বলবেন।
তাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা রইলো।
সব বিষয় ক্যারিয়ারের লাভ, পদোন্নতি মোহাচ্ছন্ন ভবিষ্যত বা মোটা টাকার অংক দিয়ে মাপা যায়না।
আল্লাহ রুটি রুজি বা সম্মান তকদীরে লিখে রাখলে এএজি বা ডিএজি না হয়ে বা দলের পদ পদবী না নিয়েও মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকতে পারবো ইনশাল্লাহ।
এক যুগে সুপ্রিম কোর্টে আওয়ামী লীগ সরকারের অন্ধকার সময়ে ওকালতি করার পর যেটুকু অভিজ্ঞতা ও বুদ্ধি বিবেচনা আছে তাতে এসব দেখে মেনে নেওয়া সম্ভব না।
আমি নিতান্তই তুচ্ছ একজন আইনজীবী।
এই লেখাও সম্ভবত খুব বেশী কেউ পড়বেন না।
আমার এএজি পদে যোগদান না করার সামান্য প্রতিবাদে, কারো হয়তো কিছুই যাবে আসবেনা।
তবে আমি অন্তত নিজের বিবেকের কাছে পরিষ্কার ও দায়মুক্ত থাকতে পারবো।
প্রতিবাদ না হলে সমগ্র দেশে ফ্যাসিবাদীদের পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রকৃয়া এভাবেই সবার চোখের সামনে চলতে থাকবে;
যার দীর্ঘমেয়াদী পরিণতি হবে অকল্পনীয় রকম ভয়াবহ।
গত দিনগুলোর কথা ইতিমধ্যেই অনেকের স্মৃতিতে ঝাপসা হয়ে গেছে।
আমি অন্তত ভুলবোনা সেই অন্ধকার সময়ের,
"সহস্রাব্দের শ্রেষ্ঠ খুনির"
সহযোগী সরকারের সেইসব আইনজীবীদের কথা -
"যখন প্রিয়জনদের কান্নাকেও দন্ডিত করা হতো রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে।"
যারা ঘটনার কিছুই জানেন না তাদের জন্য এই ঘটনা সংক্রান্ত কিছু জাতীয় দৈনিকের লিংক কমেন্টের ঘরে দেওয়া হলো।
সম্পাদক ও প্রকাশক : এ্যাডভোকেট পি. এম. সিরাজুল ইসলাম ( সিরাজ প্রামাণিক)
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় :কুষ্টিয়া আদালত চত্ত্বর, খুলনা, বাংলাদেশ।
মোবাইল : 01716-856728, ই- মেইল : seraj.pramanik@gmail.com নিউজ: dainikinternational@gmail.com
ই-পেপার কপি