শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৬ অপরাহ্ন

ঘোষনা :
  সম্পূর্ণ আইন বিষয়ক  দেশের প্রথম দৈনিক পত্রিকা   দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল এর  পক্ষ থেকে সবাইকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা   । 
সংবাদ শিরোনাম :
সেনাবাহিনীর বিচারিক ক্ষমতাঃ আইন কি বলে?

সেনাবাহিনীর বিচারিক ক্ষমতাঃ আইন কি বলে?

বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিগত ১৭/০৯/২০২৪ ইং তারিখ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদের ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১২(১) ধারার আওতায় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এর কিছু সংখ্যক ক্ষমতা প্রদান করে মহানগর এলাকার বহিরে দায়িত্ব পালনের জন্য স্পেশাল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে ঘোষণা করা হয়। উক্ত প্রজ্ঞাপন দৃষ্টে দেখা যায় ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের মোট- ১৭ টি ধারায় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক প্রয়োগযোগ্য ক্ষমতা সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদের প্রদান করা হয়। ধারাগুলো হল – ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫ (২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ উক্ত ধারাগুলো বিশ্লেষনে দেখা যায় ৬৪ ও ৬৫ ধারায় এক্সিকিউটিভ ম্যজিস্ট্রেট এর গ্রেফতার ও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারীর ক্ষমতা, ৮৩,৮৪ ও ৮৬ ধারায় আদালতের পরোয়ানা অনুযায়ী অভিযুক্তকে গ্রেফতার ও জামিন সম্পর্কে, ৯৫(২) ধারা ডাক ও পোস্ট কর্তৃপক্ষের নিকট কোন ডকুমেন্টেস বা পার্সেল চাওয়া সংক্রান্ত ক্ষমতা, ১০০ ধারা অনুযায়ী অবৈধভাবে আটককৃত ব্যক্তিকে উদ্ধারে তল্লাশী পরোয়ানা প্রদান, ১০৫ অনুযায়ী নিজ উপস্থিতিতে তল্লাশী কর্যক্রম পরিচালনায় আদেশ প্রদানের ক্ষমতা, ১০৭, ১০৯ ও ১১০ ধারা অনুযায়ী কোন অপরাধ সংঘটিত করতে পারে এমন কোন ব্যক্তির নিকট থেকে শান্তি রক্ষা কিংবা ভালো ব্যবহার/চরিত্র বজার রাখার নিশ্চয়তা শর্তে মুচলেকা আদেশ প্রদানের ক্ষমতা, ১২৬ ধারায় মুচলেকার জামিনদারকে অব্যাহতি দিয়ে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করা।  ১২৭, ১২৮ ও ১৩০ ধারা অনুযায়ী বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গের আদেশ প্রদানের ক্ষমতা ও সেনা সদস্যদের ব্যবহারের ক্ষমতা, ১৩৩ ধারা অনুয়ায়ী গন উপদ্রব (জনগনের স্বাভাবিক জীবন যাপনে বাধা সৃষ্টি করে এমন কাজ) নিষিদ্ধ আদেশ প্রদানের ক্ষমতা, ১৪২ ধারায় বলা হয়েছে ১৩৩ ধারার আদেশ প্রদানের পূর্বে গনউপদ্রব সম্পর্কে তদন্ত চলাকালে  উপদ্রব সৃষ্টিকারি ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্তবর্তীকালীন  নিষেধাজ্ঞা জারী করার ক্ষমতা সম্পর্কে বলা আছে। অর্থাৎ  স্পেশাল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে সেনাবাহিনী এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ন্যায় উপরোক্ত  ক্ষমতা সমূহ প্রয়োগ করতে পারবেন। স্পেশাল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কি তা বোঝার প্রথমেই এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কারা তা বোঝা দরকার। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১০(৫) ধারায় উল্লেখ রয়েছে, বিসিএস (প্রশাসন) হিসেবে যে সকল কর্মকর্তা নিয়োগ প্রাপ্ত হন সরকার তাদেরকে  এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ দিবেন এবং ১০(৬) ধারায় উল্লেখ আছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারি ভূমি কমিশনার (এসি ল্যান্ড), অতিরিক্ত উপকমিশনারগণ তাদের স্ব স্ব এখতিয়ারাধীন এলাকায় পদাধীকার বলে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে বিবেচিত হবেন। উক্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটগণ ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৩৬ ও ৩৭ ধারার আলোকে  তৃতীয় ও চতুর্থ তফসিলে উল্লেখিত সাধারণ ও বিশেষ ক্ষমতা সমূহ প্রয়োগ করতে পারেন।  স্পেশাল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারকে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১২(১) ধারা অনুসরণে যেকোনো ব্যক্তিকেই এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের সম্পূর্ণ কিংবা নির্দিষ্ট সংখ্যক ক্ষমতা প্রদানের মাধ্যমে উক্ত ব্যক্তিকে স্পেশাল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে মেট্রোপলিটন এলাকার বাহিরের এলাকায় নিয়োগ করতে পারেন। অর্থাৎ স্পেশাল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটকে সুনির্দিষ্ট করে যে সকল ক্ষমতা অর্পণ করা হয় তার বাহিরে অন্য কোন বিষয়ে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের কর্তৃক প্রয়োগযোগ্য অন্যান্য ক্ষমতা তিনি প্রয়োগ করতে পারবেন না। তারপরেও সঙ্গত কারণে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর জানার আগ্রহ থেকে যায়। যেমন-

১. স্পেশাল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে সেনাবাহিনী কোন ধরনের অভিযুক্ত কে গ্রেপ্তার করতে পারে?

ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৬৪ ধারা অনুসারে ক্ষমতাপ্রাপ্ত স্পেশাল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কোন ব্যক্তি কোন অপরাধ সংগঠিত করলে তাকে তিনি গ্রেপ্তার করার আদেশ প্রদান করতে পারেন। ধারা ৬৫ তে উল্লেখ রয়েছে যে সকল ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একজন ম্যাজিস্ট্রেট তার নিজ উপস্থিতিতে গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করতে পারেন সেই রকম ঘটনা উদ্ভব হলে তিনি অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিতে পারেন। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৯০ ও ২০৪ ধারায় শুধুমাত্র বিচারিক কার্যক্রমে ম্যাজিস্ট্রেট গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রদান করতে পারেন, তবে ৬৫ ধারার আলোকে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৫৪ ধারায় কোন অভিযুক্তকে আমলযোগ্য অপরাধ সংঘটন করেছেন মর্মে বিশ্বাস যোগ্য যৌক্তিক কারন  থাকলে স্পেশাল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এর উপস্থিতিতে এবং তার হুকুমে গ্রেপ্তার করা সম্ভব।  ধারা-  ৮৩ অনুযায়ী স্থানীয় এখতিয়ার সীমানার বাহিরের কোন আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করার জন্য  প্রেরণ করলে উক্ত পরোয়ানা দ্বারা স্পেশাল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে পারবেন। ধারা -৮৪ বিধান অনুযায়ী কোন গ্রেফতারি পরোয়ানা আদালতের স্থানীয় সীমানার বাহিরে কার্যকর করার জন্য কোন পুলিশ কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করলে উক্ত পুলিশ অফিসার স্পেশাল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কিংবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অনুমতি সাপেক্ষে উক্ত গ্রেফতারী পরোয়ানা কার্যকর করতে পারবেন। এমনকি পুলিশ অফিসার গ্রেফতার কার্যকর করার জন্য স্পেশাল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের সহায়তাও নিতে পারবেন।

২. স্পেশাল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে সেনাবাহিনী গ্রেপ্তারকৃত কোনো অভিযুক্তকে জামিন দিতে পারে কিনা?

ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৮৬ ধারা অনুযায়ী স্থানীয় এখতিয়ার সীমানার বাহিরের কোন আদালত কর্তৃক জামিনযোগ্য কোন অপরাধের অভিযুক্ত কে গ্রেপ্তারের জন্য গ্রেফতারি পরোয়ানা স্পেশাল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট অথবা পুলিশ অফিসার এর নিকট প্রেরণ করলে উক্ত পরোয়ানা মূলে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে স্পেশাল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থাপন করলে তিনি অভিযুক্তকে জামিন প্রদান করতে পারবেন।

৩. স্পেশাল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে সেনাবাহিনী কোন অভিযুক্তকে বিচার কিংবা শাস্তি প্রদান করতে পারবে কিনা?

১৮৬০ সালের দণ্ডবিধি কিংবা দেশের প্রচলিত অন্যান্য শাস্তি মুলক বিশেষ আইনের আওতায় সংঘটিত কোন অপরাধের বিচার বিচারিক আদালতে কিংবা ক্ষেত্র মতে মোবাইল কোর্টে হওয়া সম্ভব। বিচারিক আদালতে  আনুষ্ঠানিকভাবে মামলা দায়ের, তদন্ত, সাক্ষ্য গ্রহণ পূর্ব কোন মামলায় অভিযুক্তকে বিচারিক কার্যক্রম শেষে আদালত শাস্তি প্রদান করে থাকেন। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৪(১)(এম) অনুযায়ী আদালতের সাক্ষ্য গ্রহণের যেকোনো কার্যাবলী বিচারিক কার্যক্রম মর্মে গণ্য হয়। অর্থাৎ অপরাধ সংঘটিত না হলে  মামলা দায়ের কিংবা বিচারিক কার্যক্রমের প্রয়োজনীয়তা উদ্ভব হয় না। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের, ১০৭ ধারায় শান্তি রক্ষার্থে মুসলেকা,  ১০৯ ধারায় ভবঘুরে বা সন্দেহজনক ব্যাক্তির নিকট থেকে মুচলেকা ও ১১০ ধারায় অভ্যাসগত অপরাধীর নিকট থেকে ভালো চরিত্র বজায় রাখার শর্তে মুচলেকা নেওয়া যেতে পারে। মুচলেকা কোন অপরাধ সংঘটনের পরে নেওয়া হয় না বরঞ্চ অভিযুক্ত ব্যক্তি কর্তৃক ভবিষ্যতে অপরাধ মূলক কোনো কাজ সংঘটিত না হয় সেই মর্মে অঙ্গীকার সূচক মুচলেকা নেওয়া হয়। সুতরাং যেখানে অপরাধ সংঘটিত হয়নি সেখানে বিচার কিংবা বিচারিক কার্যক্রমের মাধ্যমে শাস্তি প্রদানের প্রশ্নই উঠে না। আর কোন অপরাধ সংঘটিত হয়ে গেলে সেখানে মুচলেকা নয় বরং আদালতে বিচার করা হয় এবং শাস্তি প্রদান করা হয়।

৪. স্পেশাল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে সেনাবাহিনী মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে পারবে কিনা?

মোবাইল কোর্ট আইন ২০০৯ এর ৫ ধারায় উল্লেখ রয়েছে সরকার সমগ্র দেশে বা কোন জেলা বা মহানগর এলাকায় যে কোন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এবং ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট তাহার স্থানীয় এখতিয়ার সীমানায় যেকোনো এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার ক্ষমতা অর্পণ করতে পারেন। উক্ত আইনের ২(২) ধারায় উল্লেখ রয়েছে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বলতে বুঝাবে  ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের উল্লেখিত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটকে অর্থাৎ ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১০(৫) ধারায় বিসিএস (প্রশাসন) এ নিযুক্ত কর্মকর্তারাই পদাধিকার বলে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিযুক্ত হন। অপরদিকে ১২(১) ধারায় কোন ব্যক্তিকে সরকার  নির্দিষ্ট সংখ্যক ক্ষমতা দিয়ে স্পেশাল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ দিলে তিনি অর্পিত ক্ষমতার অনুযায়ী একজন স্পেশাল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন অর্থাৎ ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১০ ধারার উল্লেখিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ১২(১) ধারার উল্লেখিত স্পেশাল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ভিন্ন ব্যক্তি এবং তাদের ক্ষমতা প্রয়োগেও রয়েছে সীমাবদ্ধতা। যদিও ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের  ১৭(১) ধারা অনুযায়ী ১০ ধারায় নিযুক্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এবং ১২(১) ধারায় স্পেশাল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট উভয় ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনস্থ মর্মে গণ্য হবেন। আরো উল্লেখ্য ডিসট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট তার অধীনস্থ ম্যাজিস্ট্রেটদের দায়িত্ব বন্টন ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের আওতায় অর্পিত ক্ষমতার সাথে সামঞ্জস্য রেখে তাদের দায়িত্ব বন্টন করবেন। সেহেতু ১২(১) ধারার আওতায় নিযুক্ত স্পেশাল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সরকার কর্তৃক ফৌজদারী কার্যবিধির আওতায় প্রদত্ত ক্ষমতার বাহিরে তাকে অন্য কোন দায়িত্বে নিযুক্ত করা যাবে না আরো উল্লেখ্য ফৌজদার কার্যবিধি আইনের ১৯০(৪) ধারায় সরকার কোন অপরাধ আমল গ্রহণের জন্য এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটকে ক্ষমতা অর্পণ করতে পারেন উক্ত ধারার আলোকে মোবাইল কোর্ট আইন ২০০৪ এর ৬ ধারায় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দের অপরাধ আমল গ্রহণের ক্ষমতা রয়েছে। যেহেতু ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৯০(৪) ধারায় সরকার স্পেশাল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে সেনাবাহিনীকে অপরাধ আমল গ্রহণের ক্ষমতা প্রদান করে  নাই সেহেতু ডিসট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় স্পেশাল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে সেনাবাহিনীকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার ক্ষমতা প্রদান করতে পারবেন না।

অর্থাৎ সার্বিকদিক পর্যালোচনায় বলা চলে সরকার সেনাবাহিনীর কমিশন প্রাপ্ত অফিসারদের স্পেশাল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক প্রয়োগযোগ্য আইন শৃঙ্খলা বজায় ও অপরাধ সংঘটন নিবারণে সাধারণ ক্ষমতা দিলেও অপরাধ আমল গ্রহণ সহ উহার বিচার ও শাস্তি প্রদানের ক্ষমতা প্রদান করে নাই।

 

লেখক,

মোঃ আবুল হোসেন

অ্যাডভোকেট, জেলা ও দায়রা জজ আদালত, ঢাকা।

অ্যাসোসিয়েট, সমাজী এন্ড অ্যাসোসিয়েটস।

এই সংবাদ টি সবার সাথে শেয়ার করুন




দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।  © All rights reserved © 2018 dainikinternational.com
Design & Developed BY Anamul Rasel