মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৪০ পূর্বাহ্ন

ঘোষনা :
  সম্পূর্ণ আইন বিষয়ক  দেশের প্রথম দৈনিক পত্রিকা   দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল এর  পক্ষ থেকে সবাইকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা   । 
সংবাদ শিরোনাম :
শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র নিয়ে রাষ্ট্রপতির মিথ্যাচার বনাম সাংবিধানিক সমাধান! সহায় সম্পত্তি পুণ্যের কাজে ওয়াক্ফ গঠন ও প্রাসঙ্গিকতা! শেকড়ের সন্ধানে সাঁইজির ধামেঃ লালন কি জাত সংসারে— রক্তাক্ত মাহমুদুর রহমানের কুষ্টিয়ায় আগমন বনাম দুধের মাছিদের আনাগোনা! জনপ্রশাসন, জেলা প্রশাসক ও স্যার সম্বোধন কতটা সংবিধান ও আইনসম্মত! ক্রেতা ঠকে গেলে বিক্রেতার বিরুদ্ধে যত আইনগত প্রতিকার! আইনে জামিন চর্চা বনাম বিচারকের পদত্যাগের দাবীতে আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ! নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের থেকেই ভিসি নিয়োগের অনুরোধ ইবি শিক্ষকদের সংবিধান সংস্কারঃ সংশোধন না-কি পুনর্লিখন?  সেনাবাহিনীর বিচারিক ক্ষমতাঃ আইন কি বলে?
র‌্যাব ছদ্মবেশী ৭ জনকে গ্রেফতার করেছ র‌্যাব

র‌্যাব ছদ্মবেশী ৭ জনকে গ্রেফতার করেছ র‌্যাব

ডেস্ক রিপোর্টঃ রবিবার দিবাগত রাতে রাজধানী থেকে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) অপহরণকারী চক্রের মূলহোতাসহ ৭ সদস্যকে আটক করেছে। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, দুটি হাতকড়া, একটি ওয়াকিটকি সেট, র‌্যাবের দুটি জ্যাকেট, একটি র‌্যাব বোর্ড, দুটি সিগন্যাল লাইট, ছয়টি বড় লাঠি, দড়ি, চোখ বাঁধার চারটি কালো কাপড়, নগদ ২৮ হাজার টাকা ও র‌্যাবের স্টিকার যুক্ত একটি কালো কাচের মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়।

আটকৃতরা হলো কাসেম ওরফে জীবন (৫৮), ইব্রাহিম খলিল (৪০), জাকির হোসেন সুমন (২৭), বিল্লাল হোসেন আসলাম (৩২), আবদুল মন্নান (৫০), সোহাগ (২৭) ও মো. আরিফ (২৮)।

কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আজ সোমবার এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়

র‌্যাব জানায়, এই অপরাধী চক্রের মূল হোতা কাসেম। এই দলে ১০ থেকে ১১ জন স্থায়ী সদস্য রয়েছেন। এই সদস্যরা অনেক দিন ধরে নানা ধরনের অপরাধের সঙ্গে যুক্ত। আরও ১৫ থেকে ২০ জন এই চক্রের হয়ে কাজ করেন। তিন–চার মাস ধরে নানা অপরাধ সংঘটিত করেছে এই চক্র

র‌্যাব  আরো জানায়, চক্রটি নানাবিধ কৌশল অবলম্বন করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাংকের গ্রাহকদের অপহরণ করত ও অর্থ ছিনিয়ে নিত। সাধারণত, দলের এক–দুজন সাধারণ ছদ্মবেশে ব্যাংকের বাইরে, দুই–তিনজন গ্রাহকের ছদ্মবেশে ব্যাংকের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতেন।

মূল দলটি মাইক্রোবাস নিয়ে সুবিধাজনক স্থানে অপেক্ষা করত। এরপর সুবিধাজনক গ্রাহক শনাক্ত করে। যে গ্রাহক বেশি টাকা উত্তোলন করেন, কিন্তু নিজস্ব গাড়ি নেই, তাঁদেরই সাধারণত টার্গেট করত তারা। ভেতরের একজন ব্যাংক থেকে বের হয়ে এসে বাইরের জনকে টার্গেট বুঝিয়ে দিত। এরপর মাইক্রোবাসটি সুবিধাজনক স্থানে গতিরোধ করে ওই ব্যক্তিকে তুলে নিত। গাড়ির ভেতরে চোখমুখ বেঁধে সমস্ত টাকা ছিনিয়ে নিয়ে রাস্তায় ফেলে চলে যেত।

আটককৃতদের যত অপরাধঃ

গত সেপ্টেম্বরে হবিগঞ্জের মাধবপুর থেকে একজন ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে তিন লাখ টাকা ও চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থেকে একজন ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় এই চক্র।

গত অক্টোবরে আশুলিয়া সাভার ইপিজেড এলাকা থেকে দুই লাখ টাকা, কুমিল্লা চান্দিনা কাঁচাবাজার থেকে একজনকে অপহরণ করে এক লাখ টাকা, কেরানীগঞ্জ থানাধীন আঁটিপাড়া বাজার থেকে সাত লাখ টাকা, নরসিংদীর শিবপুর বাজার এলাকা থেকে ১০ হাজার টাকা, মাদারীপুর শিবচর বাজার এলাকা থেকে দুই লাখ টাকা, মানিকগঞ্জ পাটুরিয়া শিবালয় থানা এলাকা থেকে এক লাখ টাকা, টাঙ্গাইল মির্জাপুর থেকে একজন ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে তিন লাখ টাকা, সিরাজগঞ্জ জেলার নিমতলাবাজার জোড়া ব্রিজ এলাকা থেকে দুইলাখ টাকা, গাজীপুরের টঙ্গী থেকে দুই লাখ টাকা, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম মিয়ারবাজার থেকে তিন লাখ টাকা, কুমিল্লা চান্দিনা থানাধীন সেনানিবাস এলাকা থেকে তিন লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়।

 

 

 

 

এই সংবাদ টি সবার সাথে শেয়ার করুন




দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।  © All rights reserved © 2018 dainikinternational.com
Design & Developed BY Anamul Rasel