শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫৯ অপরাহ্ন

ঘোষনা :
  সম্পূর্ণ আইন বিষয়ক  দেশের প্রথম দৈনিক পত্রিকা   দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল এর  পক্ষ থেকে সবাইকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা   । 
সংবাদ শিরোনাম :
আটক হলো পাকিস্থান হাই কমিশনে চুরির সাথে জড়িত ছয় জন

আটক হলো পাকিস্থান হাই কমিশনে চুরির সাথে জড়িত ছয় জন

ডেস্ক রিপোর্টঃ আটক হলো পাকিস্থান হাই কমিশনে চুরির সাথে জড়িত ছয় জন। আটকৃতরা হলো সজল ওরফে কালু (২২), মোস্তফা (৩৫), দুলাল মিয়া (৩৪), জাহাঙ্গীর আলম (৪৫), নিমাই বাবু (৪২) ও সেকুল ইসলাম (৩৫)।

আজ ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোস্তাক আহমেদ গুলশান থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান

তিনি জানান, সজল ওরফে কালু রাজধানীর গুলশান এলাকায় প্রায়ই বোতল কুড়াতেন।তার নিয়মিত যাতায়ত ছিলো গুলশানের পাকিস্তান হাই কমিশনের পেছনের দেয়াল সংলগ্ন এলাকায়ও। ওই সময় কালুর মাথায় কুবুদ্ধি চাপে হাই কমিশনের পেছনের দেয়ালের কিছু অংশ ভাঙা থাকায়।

দেয়ালের ভাঙা অংশ ওই হাইকমিশনের একটি এসি দেখা যেতো। এরপর পরিকল্পনা অনুযায়ী কয়েকজনের যোগসাজসে এসিটি চুরি করেন কালু। এসি সরাতেই দেখেন ফাঁকা অংশ দিয়ে হাইকমিশনের ভেতরে যাওয়া যায়। তখন ভবনের ভেতরে ঢুকে তিনটি সিপিইউ ও চারটি ইউপিএস চুরি করে নিয়ে যান তিনি।

গত ২৫ নভেম্বর গুলশান থানায় অভিযোগ করে পাকিস্তান হাই কমিশন কর্তৃপক্ষ। এর ভিত্তিতে বিষয়টি তদন্তে নামে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে চুরির মূলহোতা কালুসহ ছয়জনকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তিনটি সিপিইউ, দুটি ইউপিএস, একটটি কম্পিউটার মনিটর ও চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি ভ্যানগাড়ি উদ্ধার করা হয়।

ডিসি মোস্তাক আহমেদ  বলেন, ২৫ নভেম্বর অভিযোগ পাওয়ার পর থানা পুলিশের পাশাপাশি মহানগর গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যায়। এরপর সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, প্রথমে একটি এসি বের করে ভ্যানে করে নিয়ে যাচ্ছে এবং তিনটি সিপিইউ বের করে সিএনজিতে করে নিয়ে যাচ্ছে।

পুরো এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে আমরা একজনের চেহারা শনাক্ত করতে পারি। তারপর সেই ছবিটি এলাকার সুইপারদের দেখালে তারা একে কালু বলে চিহ্নিত করে। তখন কালুর বাসায় গিয়ে তাকে আটক করলে পুরো ঘটনা বেরিয়ে আসে।

তিনি বলেন, কালু এলাকায় বোতল কুড়াতেন। পাকিস্তান হাইকমিশনের পেছনে বোতল কুড়াতে গিয়ে ভাঙা দেয়াল দেখে চুরির পরিকল্পনা করেন তিনি। পরে বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মোস্তফা ও দুলালের সহায়তায় প্রথমে এসিটি চুরি করে। তারপর ভবনের ভেতরে গিয়ে সিপিইউ ও ইউপিএসগুলো চুরি করে পালিয়ে যায়।

তিনি আরোও বলেন, তিনজনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে যেখানে জিনিসপত্রগুলো বিক্রি করেছে সেখান থেকে আইপিএস ও ইউপিসগুলো উদ্ধার করি। কিন্তু যার কাছে এসি বিক্রি করেছে সেখানে গিয়ে এসিটি অক্ষত পাওয়া যায়নি। পরে এ ঘটনায় আরও তিনজনকে আটক করা হয়।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ এলাকায় আমরা সবসময়ই সতর্ক থাকি। এ ঘটনার পর আমরা হাই কমিশনকে দেয়াল ঠিক করতে এবং সিসিটিভি বাড়িয়ে নিরাপত্তা আরও জোরদার করার পরামর্শ দিয়েছি।

 

 

এই সংবাদ টি সবার সাথে শেয়ার করুন




দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।  © All rights reserved © 2018 dainikinternational.com
Design & Developed BY Anamul Rasel