শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১৬ পূর্বাহ্ন
এ্যাডভোকেট সিরাজ প্রামাণিক: বিবাহবহির্ভূত সন্তান, তার ভবিষ্যত, স্বীকৃতি ও উত্তরাধিকার নিয়ে সম্প্রতি একটি যুগান্তকারী রায় প্রদান করেছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। মামলার রায়ে বলা হয়েছে, ‘আইনগত বিবাহবহির্ভূত সন্তান বৈধ সন্তান হিসেবে গণ্য হবে এবং পিতামাতার অর্জিত ও পৈতৃক সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হবে।’ (রিভানাসিদ্ধাপা ও অন্যান্য বনাম মালিক অর্জুন ও অন্যান্য ২০১১)।
মামলার বাদীপক্ষে ছিলেন মালিক অর্জুনের প্রথম স্ত্রী ও তাঁর দুই সন্তান আর বিবাদীপক্ষে ছিলেন মালিক অর্জুন, তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী ও দুই সন্তান। বাদীপক্ষ পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত যৌথ অংশীদারি সম্পত্তিতে তাদের অংশ দখলের দাবিতে কর্ণাটকের বিচারিক আদালতে বাটোয়ারা মামলা করে। মামলায় বাদীপক্ষ দাবি করে, তিনি বিবাদীর বৈধ স্ত্রী এবং তাঁর দুই সন্তানসহ বিবাদীর সঙ্গে অংশীদারি সম্পত্তির অংশীদার। সেই সঙ্গে তিনি আরো দাবি করেন যে বিবাদীর দ্বিতীয় বিবাহ অবৈধ। কারণ তাঁর প্রথম বিবাহ বর্তমান থাকা অবস্থায় দ্বিতীয় বিবাহ ও তাঁদের সন্তানের জন্ম হয়েছে, যার ফলে তারা অংশীদারি সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হবে না।
কর্ণাটকের বিচারিক আদালত বাদীর দাবির পক্ষে রায় প্রদান করে বলেন, বিবাদীর দ্বিতীয় স্ত্রী ও তাঁর সন্তানরা অবৈধ। কারণ প্রথম স্ত্রী বর্তমান থাকা অবস্থায় বিবাদী দ্বিতীয় বিবাহে আবদ্ধ হয়েছেন। ফলে বাদীপক্ষ দাবীকৃত সম্পত্তির অংশীদার এবং দ্বিতীয় স্ত্রী ও তাঁর সন্তানরা ওই সম্পত্তির অংশীদার নন। বিবাদীপক্ষ অর্থাৎ মালিক অর্জুন ও তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী ও দুই সন্তান ওই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করেন। উচ্চ আদালত বিচারিক আদালতের রায়ের বিপরীতে হিন্দু বিবাহ আইন ১৯৫৫-এর ১৬(৩) ধারা উল্লেখ করে বলেন, বিবাহবহির্ভূত সন্তান বৈধ সন্তান হিসেবে বাদীপক্ষের সঙ্গে যৌথ পারিবারিক সম্পত্তির অংশ দাবি করতে পারবেন। এ রায়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে বাদীপক্ষ অর্থাৎ মালিক অর্জুনের প্রথম স্ত্রী ও তাঁর সন্তানরা হাইকোর্ট বিভাগে প্রথম আপিল করেন। আপিলের রায়ে বলা হয়, যেহেতু দ্বিতীয় বিবাহ ও তাঁর সন্তানরা অবৈধ, সেহেতু অবৈধ সন্তানরা ‘জন্মসূত্রে’ যৌথ অংশীদারি সম্পত্তির অধিকারী নন। সন্তানরা শুধু পিতা-মাতার অর্জিত সম্পত্তির অধিকারী হবেন। আদালত সেই সঙ্গে আরো বলেন, বিবাদীর দ্বিতীয় পক্ষের সন্তানরা পিতার মৃত্যুর পর সম্পত্তির অংশীদার হবেন। ওই প্রেক্ষাপটে বিবাদীপক্ষ অর্থাৎ মালিক অর্জুনের দ্বিতীয় স্ত্রী ও তাঁর সন্তানরা আপিল বিভাগে বর্তমান দ্বিতীয় আপিলটি করেন। রায়ে বিচারক জি এস সিংভি ও এ কে গাংগুলি ঘোষণা করেন, ‘আইনগত বিবাহবহির্ভূত সন্তান বৈধ সন্তান হিসেবে গণ্য হবেন এবং পিতা-মাতার অর্জিত ও পৈতৃক সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হবেন।’ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ (২ নম্বর আদালত) যেসব পর্যবেক্ষণ ও আইনের বিধানের পরিপ্রেক্ষিতে রায় প্রদান করেন তা হলোঃ পূর্ববর্তী আদালতগুলো হিন্দু বিবাহ আইনের ১৬ (৩) ধারাকে অনেক সংকীর্ণ অর্থে দেখেছেন। ১৯৭৬ সালে হিন্দু বিবাহ আইনে ১৯৫৫-এর ১৬ ধারা সংশোধিত হয়। সংশোধিত ১৬ (১) ও (২) ধারায় বিবাহবহির্ভূত সন্তানকে বৈধ সন্তানের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ১৬(৩) ধারায় উল্লিখিত ‘সম্পত্তি’ অর্জিত, না শরিক, না পৈতৃক সম্পত্তি তা পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা হয়নি। তাই ১৬ (৩) ধারা অনুযায়ী সম্পত্তির অধিকারের ক্ষেত্রে বিবাহবহির্ভূত কোনো সন্তানের প্রতি বৈষম্য করা যাবে না। এর পরও এ ধারার একটি সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সংশোধিত ১৬ অনুযায়ী বিবাহবহির্ভূত সন্তান বৈধ সন্তানের মতো পিতা-মাতার জীবদ্দশায় পৈতৃক বা অংশীদারি সম্পত্তির অংশ দাবি করতে পারেন না। কেবল পিতার মৃত্যুর পর তা দাবি করতে পারেন।
রায়ে আদালত হিন্দু বিবাহ আইন সংশোধনের দর্শনগত দিকটিও ব্যাখ্যা করেন। তাতে বলা হয়, সমাজে অতীতে যা অবৈধ ছিল বর্তমানে তা বৈধ হতেও পারে। কারণ সামাজিক ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে বৈধতার ধারণা এগিয়ে যায়। আর আইনের কাজ হচ্ছে সমাজের এই পরিবর্তনগুলো সংশোধনের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্ত করা। এ ক্ষেত্রেও বলা যায়, পিতা-মাতার সম্পর্ক আইন দ্বারা অনুমোদিত নাও হতে পারে, কিন্তু সন্তানের জন্মকে পিতা-মাতার স্বাধীন সম্পর্কের ভিত্তিতে দেখতে হবে এবং এ ধরনের সম্পর্কের ভিত্তিতে জন্মগ্রহণকারী সন্তান বৈধ সন্তানের মতো অধিকার ভোগ করবে। পাশাপাশি ভারতের সংবিধানের প্রস্তাবনায় বলা আছে, প্রত্যেক ব্যক্তি মর্যাদা, অবস্থান ও সুযোগের ক্ষেত্রে সমান অধিকার পাবে। সংবিধানের ৩৭ নম্বর অনুচ্ছেদে আরো বলা আছে, রাষ্ট্র কর্তৃক আইন তৈরির সময় সংবিধানে উল্লিখিত রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিকে স্বীকৃতি দিতে হবে। ৩৯ (ঙ) ও ৩০০(ক) অনুচ্ছেদে বলা আছে, আইন দ্বারা কোনো ব্যক্তিকে সম্পত্তির অধিকার বঞ্চিত করা যাবে না।
এদিকে লিভ টুগেদার করলেও পার্টনারের সম্পত্তির অধিকার পাওয়া যাবে বলে সেন্ট্রাল লন্ডনের কাউন্টি কোর্ট একটি যুগান্তকারী রায় দিয়েছেন। রায়ে লিভ টুগেদার থাকা অবস্থায় কেনা বাড়ীর অর্ধেকে অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বিয়ে বহির্ভূত পার্টনার মহিলার। ভদ্রলোকের পূর্বের স্ত্রীর সাথে কোন প্রকার ছাড়াছাড়ি হয়নি। চলমান আইনে মিঃ মার টিনের মূল স্ত্রী মউরিন মারটিন (যার সাথে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকলেও ডিভোর্স হয়নি) অধিকারে চলে যায়। কিন্তু লিভিং পার্টনার জয় উউইলিয়াম তাঁর লিভ টুগেদারের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে মামলা করেন। পরে রায়ও তাঁর পক্ষে যায়। এ রায়ের ফলে রেজিস্ট্রিকৃত বিয়ে ও লিভ টুগেদার এর ক্ষেত্রে অধিকার প্রায় সমানভাবেই প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে।
নরম্যান মারটিন। পেশায় ডেন্টিস্ট। ১৯৯৪ সালের জুলাই মাসের পূর্ব পর্যন্ত তাঁর বিবাহিত স্ত্রী মউরিন মারটিন এর সাথে দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করেছেন। সেখানে তাঁর দুটি সন্তানও রয়েছে। ১৯৯৪ সালের জুলাই মাসের পর থেকে মিঃ মারটিন রেজিস্ট্রিকৃত সংসার ছেড়ে জয় উইলিয়ামের সাথে লিভ টুগেদার শুরু করেন। পূর্বের স্বামীর থেকে জয় উইলিয়ামের চার সন্তান নিয়ে আসেন ও সন্তানদের ঘরে তাঁর নাতি নাতনি রয়েছে বর্তমানে। ২০১২ সালের ২৫ জুন মিঃ মারটিন হার্ট এটাকে মারা যান। মৃত্যুর পূর্বদিন পর্যন্ত মিঃ মারটিন জয় উইলিয়ামের সাথে লিভ টুগেদার অবস্থায় ছিলেন। মিঃ মারটিন ২০০৯ সালের জুন মাসে আলাদাভবে সমান অংশীদার হয়ে জয় উইলিয়ামের সাথে একটি তিন বেড রুমের বাড়ি কেনেন ডরচেষ্টারে। বাড়িটি কেনা হয় টেনান্সি ইন কমন আইন অনুসরণ করে। এ আইনে বাড়িটি দুজনে মিলেই ব্যবহার করবেন তবে দুজনের আলাদা শেয়ার হিসেবে বিবেচিত হবে। কারও মৃত্যু ঘটলে আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত উত্তরাধিকারের নিকট চলে যাবে। এক্ষেত্রে বাড়িটি হয়ে যায় মাউরিন মারটিনের। দেখা গেল এতদিন একসাথে বাস করে দুজনে মিলে বাড়িটি ক্রয় করেন কিন্তু মৃত্যুর পূর্বে একজন আরেকজনের উপর সকল প্রকার অধিকার প্রতিষ্ঠিত ছিল কিন্তু মৃত্যুর পরে তা ভিন্ন রূপ ধারণ করে। বিচারক নাইজেল জেরাল্ড মনে করেন, লিভিং টুগেদারে উভয়েই কমিটেড এবং লাভিং সম্পর্ক ছিল। এবং এটাও ছিল মার টিন বেঁচে জীবনের বাকী সময়টাও তারা একসাথেই থাকতেন। অপরদিকে মাউরিনের সাথে মার টিনের দাম্পত্য সম্পর্কটি নিবন্ধনে ছিল। তাছাড়া মার টিন নিয়মিত খোরপোষ দিতেন। কারণ ঐ ঘরে দুই সন্তান ছিল। ফলে বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে বিচারক দুজনের মিলে কেনা বাড়িটি জয় উইলিয়ামের কাছে থাকাটাকেই অধিক যুক্তিযুক্ত মনে করলেন। অপরদিকে মাউরিনকে মোকদ্দমা চালানোয় খরচ মেটানোয় ১০০ হাজার পাউন্ড দিতে বলে কোর্ট।
এদিকে বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে প্রাপ্তবয়স্কদের শারীরিক সম্পর্ক ধর্ষণ নয় বলে সম্প্রতি রায় দিয়েছেন বম্বে হাইকোর্ট। প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা এক মামলায় রায়ে ২০১৭ সালে ২১ জানুয়ারী বম্বে হাইকোর্ট এ মতামত দেন।
২১ বছর বয়সী এক যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেন তাঁর সাবেক প্রেমিকা। ওই প্রেমিকার অভিযোগ, যুবক তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এরপর তাঁরা একে অপরের ঘনিষ্ঠ হন। কিন্তু হঠাৎ তাঁদের সম্পর্কে চিড় ধরে। একপর্যায়ে ওই সম্পর্ক ভেঙে যায়। এরপরই প্রেমিকা ওই যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন। এ নিয়ে মামলার রায়ে মুম্বাই হাইকোর্ট বলেন, শিক্ষিত ও প্রাপ্তবয়স্ক নারীদের ক্ষেত্রে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সংসর্গকে ধর্ষণ হিসেবে গণ্য করা যাবে না।
মামলার রায়ে বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি মৃদুলা ভাটকার বলেন, দুজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির মধ্যে যৌন সম্পর্ক যদি সেই মুহূর্তে উভয়ের সম্মতিতেই হয়ে থাকে, তা হলে তা কীভাবে ধর্ষণ হবে? তিনি বলেন, নিজেদের ইচ্ছাতেই প্রেমিক-প্রেমিকা অনেক বেশি ঘনিষ্ঠ হয়ে থাকেন। পরে আবার অনেকেই এটাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে তোলেন। এটা হওয়া উচিত নয়।
আমাদের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩)-এর ধারা ১৩-তে বলা হয়েছে যে, ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া শিশুটির তত্ত্বাবধান করবেন শিশুটির মা অথবা মা-পক্ষের আত্মীয়স্বজন। এ সময় শিশুটি মায়ের অথবা বাবার অথবা উভয়ের পরিচয়ে পরিচিত হবে। আরো বলা হয়েছে যে, শিশুটির ভরণপোষণ ব্যয় বহন করবে সরকার। এ ক্ষেত্রে শিশুটি ছেলে হলে ২১ বছর আর মেয়ে হলে বিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত সরকার তার ভরণপোষণ ব্যয় বহন করবে। তবে শিশুটি যদি প্রতিবন্ধী হয়, তবে যত দিন পর্যন্ত সে আত্মনির্ভরশীলতা অর্জন করতে না পারে, তত দিন পর্যন্ত সরকার ভরণপোষণ দেবে। আদালত এ ক্ষেত্রে নির্ধারণ করে দেবেন যে শিশুটিকে প্রতি মাসে ভরণপোষণ বাবদ কত টাকা দেওয়া হবে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩)-এর ধারা ২০-এ বলা হয়েছে যে, এ আইনে দায়ের করা প্রতিটি মামলা ১৮০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে। ধারা ১৩(৩) এ বলা হয়েছে প্রাথমিক অবস্থায় শিশুটির ব্যয়ভার বহন করবে সরকার। কিন্তু পরে আদালতের নির্দেশে ধর্ষণকারীকে শিশুর ব্যয়ভার নির্বাহ করতে হবে। ধর্ষক ভরণপোষণ দিতে ব্যর্থ হলে তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে শিশুর ব্যয়ভার বহন করা হবে। ধারা-১৩ ও ১৫ তে বলা হয়েছে যে, ধর্ষকের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রির মাধ্যমে সংগ্রহকৃত টাকা পর্যাপ্ত না হলে সে ভবিষ্যতে উত্তরাধিকারী হবে এমন সম্পত্তি থেকে ভরণপোষণ ব্যয় নির্বাহ হবে। এ ক্ষেত্রে ওই সম্পত্তির ওপর কোনো ব্যাংক লোন অথবা বন্ধকি থাকলেও শিশুটির অধিকার আগে প্রাধান্য পাবে। ধারা ১৬ তে বলা হয়েছে, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট জেলার কালেক্টর প্রথমে ধর্ষণকারীর সব প্রকার সম্পত্তির একটি তালিকা তৈরি করবেন এবং সরাসরি নিলামের মাধ্যমে সেই সম্পত্তি বিক্রি করে শিশুর ভরণপোষণ ব্যয় নির্বাহ করবেন
ধারা ১৪ তে বলা হয়েছে ধর্ষিতা ও সন্তানের ছবি, নাম, বাসা অথবা স্থায়ী ঠিকানা কোনোটাই পত্রিকা অথবা মিডিয়ায় প্রকাশ করা যাবে না। যদি কেউ জানা সত্ত্বেও ভিকটিমের পরিচয় বা ছবি মিডিয়ায় প্রকাশ করেন, তবে তিনি এক লাখ টাকা অর্থদ-সহ জেল ভোগ করবেন। ধারা ২৪-এ বলা হয়েছে, যদি কোনো পক্ষ আদালতের রায়ের ফলে নিজেকে বঞ্চিত মনে করেন, তাহলে ওই রায় ঘোষণা হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবেন।
কবি সুকান্ত লিখেছেন, এসেছে নতুন শিশু, তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান, এই পৃথিবীকে করে যেতে হবে তার বাসযোগ্য স্থান। প্রেম-ভালবাসা স্বর্গীয়। কিন্তু ধর্ষণের ফলে জন্ম নেয়া শিশুর অধিকার ও দায়িত্ব নিয়ে সভ্য সমাজে এখনও রয়েছে নানা জটিলতা। ফলে ধর্ষণের ঘটনা এবং এর ফলে জন্ম নেওয়া শিশুর সামাজিক জীবন জটিল থেকে জটিলতর হয়ে উঠে। ফলে আইনের সঠিক প্রয়োগের মধ্যে দিয়ে এ জটিল সমস্যার সমাধান হওয়া জরুরী নয় কি?
লেখক: বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী, আইন গ্রন্থ প্রণেতা ও গবেষক। Email:seraj.pramanik@gmail.com, , মোবাইল: ০১৭১৬-৮৫৬৭২৮