শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৪:৪৩ অপরাহ্ন

ঘোষনা :
  সম্পূর্ণ আইন বিষয়ক  দেশের প্রথম দৈনিক পত্রিকা   দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল এর  পক্ষ থেকে সবাইকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা   । 
সংবাদ শিরোনাম :
রিমান্ডের যথেচ্ছা ব্যবহার রীতিরকম আইন ও সংবিধানের ব্যত্যয়!

রিমান্ডের যথেচ্ছা ব্যবহার রীতিরকম আইন ও সংবিধানের ব্যত্যয়!

 

এ্যাডভোকেট সিরাজ প্রামাণিক:
সম্প্রতি পুলিশ রিমান্ডের যথেচ্ছা ব্যবহার নিয়ে খোদ সর্বোচ্চ বিচারালয় উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করেছেন। রিমান্ডের ব্যাপকতা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যেও আলোচনা হচ্ছে। রিমান্ড মঞ্জুর প্রশ্নে সমালোচনা হচ্ছে ম্যাজিস্ট্রেটদেরও। পুলিশের ডিমান্ড অনুযায়ী বা পুলিশ চাহিবা মাত্র ম্যাজিস্ট্রেটরা কেন রিমান্ড মঞ্জুর করেন এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার অন্ত নেই। চিত্রনায়িকা পরীমনিকে দফায় দফায় রিমান্ডে নেওয়া রীতিরকম আইন অমান্য করা হয়েছে বলে অভিমত দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি কিসের ভিত্তিতে ম্যাজিস্ট্রেট পরবর্তী দুই দফায় পরীমনির রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন উচ্চ আদালত।

আইনের মীমাংসিত নীতি হচ্ছে সংশ্লিষ্ট আইন অনুসরণ না করে কোনো নাগরিকের অধিকার বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। দেশের উপযুক্ত কোনো আদালত থেকে সিদ্ধান্ত আসার আগে কারও ব্যক্তিগত জীবন ও স্বাধীনতা নিয়ে ‘ট্রলিংয়ের’ মতো অস্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় দ-িত করা উচিত নয়। কারণ আমাদের পবিত্র সংবিধানের ৩৫ (৫) অনুচ্ছেদ বলছে, কোনো ব্যক্তিকে যন্ত্রণা দেওয়া যাবে না কিংবা নিষ্ঠুর, অমানুষিক বা লাঞ্ছনাকর দ- দেওয়া যাবে না কিংবা কারও সঙ্গে অনুরূপ ব্যবহার করা যাবে না। একটি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইনগ্রন্থ সে দেশের সংবিধান। পাঠকের কাছে প্রশ্ন, সে সংবিধান লংঘন করে পুলিশ কি কারও সাথে যথেচ্ছা করার অধিকার রাখে?

রিমান্ডের অপব্যবহার রোধ করার জন্যই উপমহাদেশের বিভিন্ন আদালতের মতো বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত আপিল বিভাগও সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন দিয়েছেন, যা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও অধস্থন আদালতগুলোর জন্য মেনে চলা বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু মানবাধিকার সংগঠনগুলোর বিরামহীন প্রচষ্টার পরও সরকার আজ পর্যন্ত ওই রায়ের আলোকে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি কিংবা করতে পারেনি। পাঠক নিশ্চয়ই রুবেলকে পিটিয়ে হত্যার কথা সবার মনে আছে। শামীম রেজা রুবেল ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্র ছিলেন। ১৯৯৮ সালের ২৩ জুলাই ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী এলাকা থেকে রুবেলকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। তাঁকে নির্যাতন করা হয়। মিন্টো রোডের গোয়েন্দা কার্যালয়ে মারা যান রুবেল। রুবেলের মৃত্যুর ঘটনা তখন ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। সরকার এ ঘটনায় গোয়েন্দা পুলিশ কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার করতে বাধ্য হয়। হত্যার অভিযোগে ওইসব পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। অন্যদিকে এ ধরনের ঘটনা বন্ধ করতে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। ওই বছরের ২৯ নভেম্বর আদালত সরকারের প্রতি রুল জারি করেন। রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০০৩ সালের ৭ এপ্রিল হাইকোর্ট এ ব্যাপারে কয়েক দফা নির্দেশনা ও সুপারিশ দিয়ে রায় দেন। অবশেষে ২০১৬ সালে এপ্রিল মাস থেকে আপীল বিভাগ হাইকোর্টের দেয়া ওই রায়, অভিমত ও নির্দেশনা বহাল রেখেছেন।

নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে, কোনো ব্যক্তিকে আবার জিজ্ঞাসাবাদের (রিমান্ড) প্রয়োজন হলে ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশক্রমে কারাগারের অভ্যন্তরে কাঁচনির্মিত বিশেষ কক্ষে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। কক্ষের বাইরে তার আইনজীবী ও নিকটাত্মীয় থাকতে পারবেন।’ জিজ্ঞাসাবাদের আগে ও পরে ওই ব্যক্তির ডাক্তারী পরীক্ষা করাতে হবে। পুলিশি হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ উঠলে ম্যাজিস্ট্রেট সঙ্গে সঙ্গে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করবেন। আইনে এসব কথা বলা থাকলেও বাস্তবতা ভিন্ন। যে আইন মানবাধিকার রক্ষা করতে পারে না, যে আইন ন্যায়পর নীতিমালা রক্ষা করতে পারে না, যে আইন সংবিধান সমুন্নত রাখতে পারে না, যে আইন সব স্বচ্ছতা, যৌক্তিকতা এবং পদ্ধতিগত সংহতি রক্ষা করতে পারে না, সেই আইন আর যাই হোক জনস্বার্থ রক্ষা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে সক্ষম এ কথা বিশ্বাস করার কোনো যৌক্তিক অবকাশ নেই।

‘রিমান্ড’ চাওয়ারও শেষ নেই এবং উদারভাবে মঞ্জুর করতেও কার্পণ্য নেই। গোটা বিষয়টি অনেক সময় বিষয়ভিত্তিক না হয়ে ব্যক্তিভিত্তিক হয়ে উঠে। আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত সবুজ সংকেতের ইঙ্গিতে অক্ষরে অক্ষরে লালিত পালিত রিমান্ড কার্যক্রম। রিমান্ডের চাহিদা ও তার অপব্যবহার ধারাবাহিকতায় সব সরকারের আমলেই ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে। অথচ আমাদের সাক্ষ্য আইন ১৮৭২-এর ২৫ ও ২৬ ধারা মোতাবেক ‘কোনো অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি পুলিশ কর্মকর্তার কাছে বা পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন অবস্থায় দোষ স্বীকার করলে এটি তার বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যাবে না।’ তাহলে কেন এই রিমান্ড?

 

পাঠক আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে একদা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ তার স্ত্রী বিদিশার বিরুদ্ধে একটা মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে মামলা দায়ের করেছিল। সেই মামলায় গুলশান থানার পুলিশ বিদিশাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে হাজতে পুরে দেয়। চূড়ান্ত বিচারিক রায়ে নির্দোষ প্রমাণিত হওয়া সেই মামলায় গ্রেফতারের শুরুতেই থানা হাজতে বিদিশাকে কীভাবে ঢুকানো হয়েছিল, তা তার নিজ বয়ানেই ‘শত্রুর সাথে বসবাস’ বইয়ে প্রকাশ করেছেন।

“….হঠাৎ পেছন থেকে ওসি নূরে আলমের হুংকার, ‘ঢুকাও, এক্ষুণি ঢুকাও। এতক্ষণ ঢুকাও নাই ক্যান? ঢুকাও। কিসের ভিআইপি, কিসের সিআইপি। খানকি মাগির জন্য আবার এত সম্মান কী! লাইত্থাইয়া ঢুকাও ভিতরে’।
……..সেসব বলে পাঠকদেরকে আর ক্লান্ত করতে চাই না। কেবল একটুকু বলবো, অতি সাধারণ অনেক ঘটনার একটি ছিল আমার হাতের নখ উপড়ে ফেলা”।

পাঠক! একটা মোবাইল ফোন চুরির মামলায় বিদিশাকে যখন গ্রেফতার করা হয়, তখন তার আর্থ-সামাজিক অবস্থান ছিল বাংলাদেশের উচ্চতম পর্যায়ে। সে নিজে একজন কোটিপতি, দেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের স্ত্রী। এরশাদের স্ত্রী হিসেবে এবং তার পাশাপাশি কয়েক বছর রাজনীতি করার কারণে স্বাভাবিকভাবেই দেশের হোমরা-চোমরা এবং দেশে বসবাসরত বিদেশি কূটনীতিকদের সাথে তার সখ্যতা ছিল, ওঠা-বসা ছিল। তার উপর সে বৃটেনের নাগরিক। তবুও, তার বিরুদ্ধে একটি মোবাইল ফোন চুরির মতো একটি হাস্যকর অভিযোগের মামলা পুলিশ লুফে নিয়েছিল। এর অন্যতম কারণটি হচ্ছে- ভদ্রগোছের তরুণী নারীর নগ্ন দেহকে তছনছ করে পুলিশের পৈশাচিক আনন্দ পাবার বর্বরোচিত লালসা। এটা বাংলাদেশ, পুলিশের ঐতিহ্য।

বরাবরই পুলিশের এ নিরঙ্কুশ ক্ষমতার বেনিফিট নেয় ক্ষমতাসীনরা, প্রভাবশালীরা। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের কাউকে প্লেট চুরি, ঘড়ি চুরি, মোবাইল ফোন চুরির মতো মামলা দিয়ে গ্রেফতারের পর পরই নেয়া হয় রিমান্ডে। মামলা আসল উদ্দেশ্য নয়। আসল উদ্দেশ্য রিমান্ডে নিয়ে নাস্তানাবুদ করা। সোজা কথায় ধোলাই দেওয়া। এর প্রক্রিয়া হচ্ছে প্রথমে মামলা সাজানো। এরপর বিদ্যুৎগতিতে গ্রেফতার-নাজেহাল, ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চালান। সেখান থেকে পুলিশ রিমান্ডে। আসামিপক্ষ নামজাদা উকিল-ব্যারিস্টার দিয়েও এ রিমান্ড ঠেকাতে পারে না। আর রিমান্ড হচ্ছে অনেকটা আইনগতভাবে নির্যাতনের পর্ব। প্রচলিত কোনো আইনেই রিমান্ডে নির্যাতন অপরাধ হিসেবে গণ্য নয়। কম্বল থেরাপি (কম্বল প্যাঁচিয়ে পেটানো), বস্তা থেরাপি (বস্তায় পুরে পেটানো-আছড়ানো), বাদুর ধোলাই (উল্টো করে ঝুলিয়ে পেটানো), ড্যান্সিং টর্চার (বৈদ্যুতিক শক), পায়ুপথে লাঠি বা গরম ডিম ঠুকানো, পেনিস থেরাপি ইত্যাদি ধরনের লোমহর্ষক নিপীড়নে হেফাজত করা হয় সেখানে। আর রিমান্ডের আসামিটি নারী হলে হেফাজতের নমুনা হয় আরো জঘন্য-অকথ্য। সুস্থ-স্বাভাবিক কোনো নারীর পক্ষে রিমান্ডের সেই বর্ণনা বাইরের কারো কাছে বলার মতো নয়। অবশ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট মরহুম এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা পুলিশ রিমান্ডে নির্যাতনের কিঞ্চিত বর্ণনা প্রকাশ করেছেন।

কোনো অপরাধজনক ঘটনার পুলিশি তদন্ত চলাকালে ঘটনার সঙ্গে জড়িত কোনো ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট স্বীকারোক্তির জন্য নিয়ে আসলে বা উক্ত ঘটনার সঙ্গে জড়িত কোনো ব্যক্তি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তি দেয়ার জন্য ক্ষমতাসম্পন্ন ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট আসলে ম্যাজিস্ট্রেট প্রথমে ওই ব্যক্তিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে জানবেন উক্ত ব্যক্তি স্বীকারোক্তি দেয়ার জন্য ইচ্ছুক কি না? পুলিশ কর্তৃক গ্রেপ্তার হলে অভিযুক্তকে প্রশ্ন করে জেনে নিতে হবে কখন, কোথায় অপরাধ সংঘটিত হয়েছে এবং কোথা থেকে সে পুলিশের হেফাজতে আছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে যদি ম্যাজিস্ট্র্রেট মনে করেন ওই ব্যক্তি স্বীকারোক্তি প্রদান করতে আগ্রহী তাহলে তাকে এ বিষয়ে চিন্তা-ভাবনার জন্য যুক্তিযুক্ত সময় প্রদান করবেন। সাধারণত ন্যূনতম তিন ঘণ্টা সময় দেয়ার প্রচলন রয়েছে। এ সময়ে উক্ত ব্যক্তি সম্পূর্ণভাবে ম্যাজিস্ট্রেটের নিয়ন্ত্রণাধীন থাকবেন। উক্ত ব্যক্তিকে পুলিশের সঙ্গে বা অন্য কোনো ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ বা পরামর্শ করার সুযোগ দেয়া যাবে না এবং এ সময়ে তিনি যাতে কারো দ্বারা কোনোভাবেই প্রভাবিত না হতে পারেন, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। যুক্তিযুক্ত সময় শেষে উক্ত ব্যক্তি যে স্বেচ্ছাপ্রণোদিতভাবে বিবেকের তাড়নায় পরিণতি সম্পর্কে অবহিত হয়েও স্বীকারোক্তি করছেন সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য ম্যাজিস্ট্রেট প্রয়োজনীয় কিছু প্রশ্ন করবেন এবং তার উত্তর লিখে রাখবেন। এরপর ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৬৪ ধারা অনুসরণে উক্ত ব্যক্তির স্বীকারোক্তি লিখে তা তাকে পড়ে শোনাবেন। পড়ে শোনানোর পর উক্ত ব্যক্তি তা সঠিকভাবে লেখা হয়েছে বলে স্বীকার করলে তাতে তার স্বাক্ষর নেবেন এবং ১৬৪ ধারার বিধান মতে প্রত্যয়নপত্র দিয়ে ম্যাজিস্ট্র্রেট তাতে স্বাক্ষর করবেন। লিখিত স্বীকারোক্তি পড়ে শোনানোর পর যদি স্বীকারোক্তি প্রদানকারী ব্যক্তি তাতে কোনো সংশোধনের কথা বলেন তবে তা সেভাবে সংশোধন করতে হবে। এখানে উল্লেখ্য, স্বীকারোক্তি প্রদানকালীন সময়ের যে কোনো পর্যায়ে স্বীকারোক্তি প্রদানকারী ব্যক্তি স্বীকারোক্তি দেয়ার ব্যাপারে মনোভাব পরিবর্তন করে স্বীকারোক্তি দিতে অস্বীকৃতি জানালে উক্ত স্বীকারোক্তি আর লেখা যাবে না বা স্বীকারোক্তি দিতে তাকে আর বাধ্য করা যাবে না। এমনকি স্বীকারোক্তি লেখার পরও যদি উক্ত ব্যক্তি তাতে স্বাক্ষর করতে রাজি না হন তবে তাকে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা যাবে না এবং এ ক্ষেত্রে তার এটি স্বীকারোক্তি হিসেবেও গণ্য করা যাবে না।

সুতরাং হেফাজতের তোড়ে কোনো আসামি যেসব স্বীকারোক্তি দেয় সেগুলোর আইনগত ভিত্তি নেই। আদালতে সেগুলো সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। তাহলে এ ধরনের স্বীকারোক্তির অর্থ কী? অর্থাৎ নির্যাতনই সার কথা। রিমান্ড মঞ্জুরকারী ম্যাজিস্টেটেরও না জানার কথা নয় হেফাজতকালে পুলিশ গ্রেফতারকৃতকে কী করে, তার সঙ্গে কী আচরণ করে। পুলিশী হেফাজতে প্রায়ই মানুষ মরছে। মৃত্যুগুলোর খবর নিশ্চয়ই রিমান্ড মঞ্জুরকারী ম্যাজিস্ট্রেটরাও জানছেন। এরপরও পুলিশ বা সরকারের ডিমান্ড মতো রিমান্ড মঞ্জুর চলছেই।

প্রিয় পাঠক! আসুন আমরা একটি ইতিবাচক সংবাদের অপেক্ষায় থাকি। যেদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে পত্রিকার পাতায় দেখতে পাবো ‘রিমান্ড নিয়ে উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়েছে’ সেদিন আমাদের সংবিধানের শাশ্বত বাণী চিরন্তন রুপ পাবে। শুরু হবে নতুন এক যুগের।

লেখকঃ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী, আইনগ্রন্থ প্রণেতা ও আইন গবেষক। Email: seraj.pramanik@gmail.com, মোবাইলঃ ০১৭১৬৮৫৬৭২৮

 

এই সংবাদ টি সবার সাথে শেয়ার করুন




দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।  © All rights reserved © 2018 dainikinternational.com
Design & Developed BY Anamul Rasel